বাহ্যিক দৃষ্টিতে কোন রং দেহের আয়তন হ্রাস করে?
A
লাল
B
নীল
C
হলুদ
D
কমলা
উত্তরের বিবরণ
নীল রং বাহ্যিক দৃষ্টিতে দেহের আয়তন কমিয়ে দেখায়, কারণ এটি শীতল রং (Cool Color) হিসেবে আলো কম প্রতিফলিত করে এবং বস্তুকে চোখে পিছনে সরিয়ে ছোট দেখানোর ভ্রম সৃষ্টি করে। মানুষের দৃষ্টিভ্রমে রঙের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, এবং রঙকে সাধারণত দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়।
-
উষ্ণ রং (Warm Colors): যেমন লাল, কমলা, হলুদ ইত্যাদি। এই রংগুলো চোখে সামনের দিকে এগিয়ে আসার ভ্রম তৈরি করে। ফলে কোনো বস্তু বা দেহ আসল আকারের তুলনায় বড় বা স্থূল দেখায়।
-
শীতল রং (Cool Colors): যেমন নীল, সবুজ, বেগুনি ইত্যাদি। এই রংগুলো দৃষ্টিতে পিছনের দিকে সরে যাওয়া বা সঙ্কুচিত হওয়ার অনুভূতি সৃষ্টি করে, ফলে কোনো বস্তুকে বা দেহকে ছোট ও সরু দেখায়।
-
নীল রং যেহেতু আলো কম প্রতিফলিত করে, তাই এটি তুলনামূলকভাবে শান্ত, স্থির ও ঠান্ডা প্রভাব সৃষ্টি করে।
-
এই কারণেই ফ্যাশন, অভ্যন্তরীণ নকশা ও চিত্রকলায় নীল ও অন্যান্য শীতল রং ব্যবহার করা হয় সঙ্কোচন, গভীরতা ও স্থিরতার অনুভূতি প্রকাশে।

0
Updated: 1 day ago
কোন দিক দিয়ে কাপড় কাটলে বেশী টেকসই হয়?
Created: 1 hour ago
A
পড়েন সুতার
B
টানা সুতার
C
আড় সুতার
D
তেরছা সুতার
পোশাক তৈরির কাজ শুরু হওয়ার আগে কাপড়কে উপযুক্ত অবস্থায় আনা খুবই জরুরি। এতে কাপড়ের মাপ, আকৃতি এবং গুণগত মান বজায় থাকে এবং চূড়ান্ত পোশাক নিখুঁতভাবে তৈরি হয়।
১. চূড়ান্ত প্যাটার্ন তৈরি: দেহের মাপ অনুযায়ী বাদামি কাগজে প্যাটার্ন তৈরি করা হয় এবং সেই অনুসারে কাপড় কাটা হয়।
২. পানিতে ডুবানো: কাটার আগে কাপড় ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে নিতে হয়। ধোয়ার পর কাপড় থেকে পানি নিংড়ে ঝুলিয়ে শুকাতে হয়। এতে কাপড়ের বুনন সংকুচিত হয় এবং মাড় বা রাসায়নিক পদার্থ দূর হয়, ফলে পরে সংকোচনের ঝুঁকি থাকে না।
৩. ধার সোজা করা: কাপড়ের ধার সোজা না থাকলে কাটা সঠিক হয় না। তাই হালকা ভেজা অবস্থায় কাপড় টেনে ইস্ত্রি করে ধার সোজা করা হয় যাতে সেলাইয়ের সময় কাপড় বেঁকে না যায়।
৪. ইস্ত্রি করা: ধোয়ার পর কাপড়ে কুঁচকানো ভাব দূর করতে ইস্ত্রি করা প্রয়োজন। এতে কাপড় সমতল হয় এবং প্যাটার্ন বসিয়ে নিখুঁতভাবে কাটা যায়।
৫. গ্রেন লাইন ঠিক রাখা: কাপড়ের টানা (লম্বা) ও পড়েন (আড়া) সুতার দিক অনুযায়ী কাটাই গুরুত্বপূর্ণ। টানা সুতার দিকে কাটলে কাপড় বেশি টেকসই হয়, তবে বিশেষ নকশা বা গলার অংশে তেরছাভাবে কাটা প্রয়োজন হয় যাতে কাঙ্ক্ষিত আকৃতি পাওয়া যায়।
৬. কাপড় কাটা ও সেলাই: সব প্রস্তুতি শেষে প্যাটার্ন অনুযায়ী কাপড় কেটে সেলাই করা হয়, যা পোশাক তৈরির চূড়ান্ত ধাপ।

0
Updated: 1 hour ago
অতিরক্ষিত সন্তানের ক্ষেত্রে কোনটি প্রযোজ্য?
Created: 42 minutes ago
A
শিশুসুলভ আচরণের দীর্ঘ মেয়াদ
B
স্বাধীনচেতা মনোভাব
C
আক্রমনাত্মক আচরণ
D
নির্দেশ অমান্য করার প্রবনতা
অতিরিক্ত রক্ষিত সন্তানরা সাধারণত এমন একটি পরিবেশে বেড়ে ওঠে যেখানে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়া বা সমস্যার সমাধান করার সুযোগ খুব সীমিত থাকে। এই অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা তাদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে এবং শিশুসুলভ আচরণ দীর্ঘ সময় ধরে বজায় থাকে।
-
আবেগীয় নির্ভরশীলতা: এরা নিজেদের আবেগ ও সিদ্ধান্তের জন্য সবসময় অন্যের ওপর নির্ভর করে, বিশেষত পিতা-মাতা বা অভিভাবকের উপর।
-
আত্মবিশ্বাসের অভাব: যেহেতু তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত নয়, তাই নতুন বা কঠিন পরিস্থিতিতে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।
-
অস্বাধীনতা ও সিদ্ধান্তহীনতা: নিজের জীবন ও কর্মকাণ্ডে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা গড়ে ওঠে না, ফলে তারা প্রায়ই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বা ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।
-
সমস্যা সমাধানে দুর্বলতা: ছোট-বড় যে কোনো সমস্যার সমাধানে তারা অন্যের সাহায্যের ওপর নির্ভর করে, যার ফলে বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়।
-
শিশুসুলভ আচরণের স্থায়িত্ব: তারা বয়স বাড়লেও আচরণে শিশুসুলভ বৈশিষ্ট্য (যেমন—অতিরিক্ত বায়না ধরা, সহজ কাজ করতে অনীহা, আবেগপ্রবণতা) বজায় রাখে।
-
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব: এই ধরনের লালনপালন ভবিষ্যতে তাদের সামাজিক অভিযোজন, কর্মজীবন ও সম্পর্কের ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি করে, কারণ তারা স্বাধীনভাবে চিন্তা ও কাজ করতে অভ্যস্ত হয় না।

0
Updated: 42 minutes ago
বসবাসের জন্য কোনমূখী গৃহ উত্তম?
Created: 42 minutes ago
A
উত্তর-দক্ষিণ
B
পূর্ব-পশ্চিম
C
দক্ষিণ-পূর্ব
D
উত্তর-পশ্চিম
দক্ষিণ-পূর্বমুখী গৃহকে সাধারণত বসবাসের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে ধরা হয়, বিশেষত গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে। এই দিকের ঘরগুলো আলো, বাতাস ও তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে, যা বাসিন্দাদের আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রদান করে।
-
আলো ও তাপের নিয়ন্ত্রণ: পূর্ব-পশ্চিমমুখী ঘরে দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তীব্র আলো পড়ে, যা ঘরকে অতিরিক্ত গরম করে তোলে। দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘরে এই সমস্যা কম থাকে।
-
সকালের সূর্যালোক প্রবেশ: সূর্য দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে উদয় হয়, ফলে সকালে ঘরে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো ও তাপ প্রবেশ করে। এতে ঘর শুকনো থাকে এবং জীবাণু ধ্বংসে সহায়তা করে।
-
দক্ষিণ দিক থেকে বাতাস প্রবাহ: বাংলাদেশের জলবায়ু অনুযায়ী দক্ষিণ দিক থেকে শীতল বাতাস প্রবাহিত হয়, যা দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘরে সহজেই প্রবেশ করে ঘরকে ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখে।
-
দুপুরের প্রচণ্ড রোদ থেকে সুরক্ষা: পশ্চিম দিকের রোদ সবচেয়ে তীব্র, কিন্তু দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘর পশ্চিম রোদের সরাসরি প্রভাব থেকে আংশিক সুরক্ষা পায়, ফলে ঘরের ভেতর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে।
-
বাতাস ও আলোয় ভারসাম্য: সকালে পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং বিকেলে হালকা ছায়া ঘরে আলো-অন্ধকার ও তাপমাত্রার সুষম পরিবেশ সৃষ্টি করে।
-
স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক পরিবেশ: এই দিকের ঘরগুলোতে বাতাস চলাচল ভালো হয়, আর্দ্রতা কম থাকে এবং আলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তির জন্য উপযোগী।

0
Updated: 42 minutes ago