হরিতকির মিশ্রন থেকে তুলে আয়রন মিশ্রিত পাত্রে ডোবালে কাপড়ে কি রং পাওয়া যায়?
A
হলুদ
B
জলপাই
C
কালো
D
লাল
উত্তরের বিবরণ
হরীতকী ব্যবহার করে রং করার প্রক্রিয়া একটি প্রাকৃতিক ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি, যেখানে রাসায়নিক রঞ্জকের পরিবর্তে উদ্ভিজ্জ উপাদান ব্যবহৃত হয়। হরীতকী কাপড়ে স্থায়ী ও উজ্জ্বল রং আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। পুরো প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে হয়—
-
কাপড়ের পরিমাণের অর্ধেক পরিমাণ হরীতকী (অর্ধেক পাকা ও অর্ধেক কাঁচা) নিয়ে সামান্য কাপড় কাচার সোডা মিশিয়ে একটি পাত্রে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
-
২৪ ঘণ্টা পর ৩০ মিনিট গরম করতে হবে, তারপর পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে মিশ্রণটি আলাদা রাখতে হবে।
-
অন্য একটি পাত্রে গরম পানিতে পটাশিয়াম বাইক্রোমেট পরিমাণমতো গুলে নিতে হবে।
-
কাপড়টি প্রথমে হরীতকী মিশ্রিত দ্রবণে ডুবিয়ে তুলে পরে পটাশিয়াম বাইক্রোমেট মিশ্রণে ডোবাতে হবে, এতে হলুদ রং পাওয়া যাবে।
-
যদি কাপড়টি কপার সালফেট মিশ্রণে ডোবানো হয়, তাহলে জলপাই রং উৎপন্ন হবে।
-
আর আয়রন মিশ্রণে ডোবালে কালো রং পাওয়া যাবে।
এই প্রক্রিয়ায় হরীতকী মূল রঞ্জক হিসেবে কাজ করে এবং বিভিন্ন ধাতব যৌগের সঙ্গে বিক্রিয়ায় বিভিন্ন শেডের প্রাকৃতিক রং সৃষ্টি করে, যা কাপড়ে স্থায়ীভাবে লেগে থাকে ও সহজে ম্লান হয় না।

0
Updated: 1 day ago
মোম প্রয়োগ করে কাপড়ে রং লাগানোকে কি বলে?
Created: 1 day ago
A
টাই ডাই
B
ব্লক
C
বাটিক
D
স্ক্রিন
কাপড়ে মোম প্রয়োগ করে রং করার পদ্ধতিকে বাটিক (Batik) বলা হয়, যা একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিল্পরীতি। এতে মোম ব্যবহারের মাধ্যমে কাপড়ে নকশা তৈরি করে রং প্রতিরোধ করা হয়, ফলে নকশার অংশটি রঙিন না হয়ে আলাদা ভাবে ফুটে ওঠে।
-
বাটিক প্রক্রিয়ায় প্রথমে কাপড়ের নির্দিষ্ট অংশে গলিত মোম দিয়ে নকশা আঁকা হয়।
-
মোমটি রং প্রতিরোধক (Resist Agent) হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ মোম দেওয়া স্থানে রং লাগে না।
-
এরপর কাপড়টি রঙের দ্রবণে ডুবিয়ে রঞ্জিত করা হয়।
-
রং শুকিয়ে গেলে মোম তুলে ফেললে কাপড়ের সেই অংশটি সাদা বা আসল রঙে থেকে যায়, যা নকশাকে উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ করে।
-
এই প্রক্রিয়ায় তৈরি বস্ত্রের নকশাগুলো সাধারণত অতি সূক্ষ্ম ও বহুস্তর রঙিন হয়, যা শিল্পগুণে ভরপুর।
-
বাটিক শিল্পের উদ্ভব ইন্দোনেশিয়ায় হলেও এটি পরবর্তীতে ভারত, বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশেও জনপ্রিয়তা লাভ করে।
-
অনুরূপ অন্যান্য পদ্ধতি হলো—
-
টাই-ডাই (Tie-Dye): কাপড়ের নির্দিষ্ট অংশ দড়ি বা সুতা দিয়ে বেঁধে রেখে রং করা হয়, ফলে বেঁধে রাখা অংশে রং লাগে না।
-
ব্লক প্রিন্টিং (Block Printing): কাঠ বা ধাতুর ছাঁচ (Block) ব্যবহার করে কাপড়ে রং ছাপানো হয়।
-
স্ক্রিন প্রিন্টিং (Screen Printing): একটি সূক্ষ্ম জাল (Screen) এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট নকশা অনুসারে কাপড়ে রং ছড়ানো হয়।
-

0
Updated: 1 day ago
কোনটি ফ্যাশন চক্রের ধাপ?
Created: 1 day ago
A
প্রসার → প্রবর্তন → বিলুপ্তি
B
প্রবর্তন → বিলুপ্তি → প্রসার
C
প্রসার → বিলুপ্তি → প্রবর্তন
D
প্রবর্তন → প্রসার → বিলুপ্তি
ফ্যাশন চক্র হলো কোনো নির্দিষ্ট পোশাক, স্টাইল বা নকশার জনপ্রিয়তার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটি দেখায় কীভাবে একটি নতুন ফ্যাশন সমাজে প্রবেশ করে, জনপ্রিয় হয় এবং সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যায়।
১. প্রবর্তন (Introduction) – এই ধাপে নতুন ফ্যাশন বা স্টাইল প্রথমবারের মতো বাজারে আসে। এটি সাধারণত ফ্যাশন ডিজাইনার, মডেল বা ট্রেন্ড-সচেতন অল্পসংখ্যক মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। দাম তুলনামূলক বেশি থাকে এবং জনসাধারণের আগ্রহ তখনও সীমিত থাকে।
২. প্রসার (Growth/Peak/Acceptance) – ফ্যাশনটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পায়। উৎপাদন বাড়ে, দাম তুলনামূলকভাবে কমে, এবং এটি মূলধারার ফ্যাশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। এই সময়েই ফ্যাশন তার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছায়।
৩. বিলুপ্তি (Decline/Obsolescence) – সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাশনের প্রতি আগ্রহ কমে যায়। নতুন স্টাইল আসার ফলে পুরনো ফ্যাশন ধীরে ধীরে অপ্রচলিত হয়ে বাজার থেকে হারিয়ে যায়।
এই চক্রের মাধ্যমে বোঝা যায়, ফ্যাশন একটি গতিশীল ও পরিবর্তনশীল প্রক্রিয়া, যা সমাজ, সংস্কৃতি ও সময়ের প্রভাবের ওপর নির্ভর করে।

0
Updated: 1 day ago
কাজ সহজকরণে কোন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 day ago
A
ভারী সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করা
B
দেহের অবস্থান ও গতি ঠিক রাখা
C
দ্রুততার সাথে কাজ করা
D
কম দৈহিক শক্তি প্রয়োগ করা
কাজ সহজকরণ পদ্ধতি (Work Simplification System) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোনো কাজকে সহজ, দ্রুত এবং দক্ষ উপায়ে সম্পন্ন করা যায়। মার্কিন অধ্যাপক Lillian Moller Gilbreth–এর মতে, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কাজ করাই কাজ সহজকরণের মূল ভিত্তি। এর সংজ্ঞা অনুযায়ী—
Work Simplification হলো নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় ও শক্তি ব্যবহার করে বেশি কাজ সম্পন্ন করা, অথবা একই কাজ সম্পন্ন করতে কম সময় ও শক্তি ব্যয় করা। এখানে মূল গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সময় ও শক্তি এই দুই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারে।
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য Marvin E. Mundel পাঁচ প্রকার পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছেন, যার মধ্যে প্রথমটি হলো দেহের অবস্থান ও গতির পরিবর্তন (Changes in body position and motions)। এর অধীনে কার্যকর কিছু নির্দেশনা হলো—
-
কাজের সময় দুই হাত ব্যবহার করা, যাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ে।
-
কাজের ধারা এমনভাবে সাজানো উচিত যেন অতিরিক্ত শ্রম না পড়ে বা একাধিক কাজ একসাথে করা যায়।
-
সঠিক দেহভঙ্গি বজায় রেখে কাজ করলে ক্লান্তি কমে এবং কাজের মান বাড়ে।
-
কাজের আগে ও চলাকালীন কাজের ধারা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি, যাতে সময় অপচয় না হয়।
-
ভারী কাজের পরপরই হালকা কাজ করা উচিত, যাতে শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য বজায় থাকে।
এই নীতিগুলো মেনে চললে কাজ শুধু সহজ হয় না, বরং কর্মদক্ষতা ও উৎপাদনক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

0
Updated: 1 day ago