মোম প্রয়োগ করে কাপড়ে রং লাগানোকে কি বলে?
A
টাই ডাই
B
ব্লক
C
বাটিক
D
স্ক্রিন
উত্তরের বিবরণ
কাপড়ে মোম প্রয়োগ করে রং করার পদ্ধতিকে বাটিক (Batik) বলা হয়, যা একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিল্পরীতি। এতে মোম ব্যবহারের মাধ্যমে কাপড়ে নকশা তৈরি করে রং প্রতিরোধ করা হয়, ফলে নকশার অংশটি রঙিন না হয়ে আলাদা ভাবে ফুটে ওঠে।
-
বাটিক প্রক্রিয়ায় প্রথমে কাপড়ের নির্দিষ্ট অংশে গলিত মোম দিয়ে নকশা আঁকা হয়।
-
মোমটি রং প্রতিরোধক (Resist Agent) হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ মোম দেওয়া স্থানে রং লাগে না।
-
এরপর কাপড়টি রঙের দ্রবণে ডুবিয়ে রঞ্জিত করা হয়।
-
রং শুকিয়ে গেলে মোম তুলে ফেললে কাপড়ের সেই অংশটি সাদা বা আসল রঙে থেকে যায়, যা নকশাকে উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ করে।
-
এই প্রক্রিয়ায় তৈরি বস্ত্রের নকশাগুলো সাধারণত অতি সূক্ষ্ম ও বহুস্তর রঙিন হয়, যা শিল্পগুণে ভরপুর।
-
বাটিক শিল্পের উদ্ভব ইন্দোনেশিয়ায় হলেও এটি পরবর্তীতে ভারত, বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশেও জনপ্রিয়তা লাভ করে।
-
অনুরূপ অন্যান্য পদ্ধতি হলো—
-
টাই-ডাই (Tie-Dye): কাপড়ের নির্দিষ্ট অংশ দড়ি বা সুতা দিয়ে বেঁধে রেখে রং করা হয়, ফলে বেঁধে রাখা অংশে রং লাগে না।
-
ব্লক প্রিন্টিং (Block Printing): কাঠ বা ধাতুর ছাঁচ (Block) ব্যবহার করে কাপড়ে রং ছাপানো হয়।
-
স্ক্রিন প্রিন্টিং (Screen Printing): একটি সূক্ষ্ম জাল (Screen) এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট নকশা অনুসারে কাপড়ে রং ছড়ানো হয়।
-

0
Updated: 1 day ago
বাহ্যিক দৃষ্টিতে কোন রং দেহের আয়তন হ্রাস করে?
Created: 1 day ago
A
লাল
B
নীল
C
হলুদ
D
কমলা
নীল রং বাহ্যিক দৃষ্টিতে দেহের আয়তন কমিয়ে দেখায়, কারণ এটি শীতল রং (Cool Color) হিসেবে আলো কম প্রতিফলিত করে এবং বস্তুকে চোখে পিছনে সরিয়ে ছোট দেখানোর ভ্রম সৃষ্টি করে। মানুষের দৃষ্টিভ্রমে রঙের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, এবং রঙকে সাধারণত দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়।
-
উষ্ণ রং (Warm Colors): যেমন লাল, কমলা, হলুদ ইত্যাদি। এই রংগুলো চোখে সামনের দিকে এগিয়ে আসার ভ্রম তৈরি করে। ফলে কোনো বস্তু বা দেহ আসল আকারের তুলনায় বড় বা স্থূল দেখায়।
-
শীতল রং (Cool Colors): যেমন নীল, সবুজ, বেগুনি ইত্যাদি। এই রংগুলো দৃষ্টিতে পিছনের দিকে সরে যাওয়া বা সঙ্কুচিত হওয়ার অনুভূতি সৃষ্টি করে, ফলে কোনো বস্তুকে বা দেহকে ছোট ও সরু দেখায়।
-
নীল রং যেহেতু আলো কম প্রতিফলিত করে, তাই এটি তুলনামূলকভাবে শান্ত, স্থির ও ঠান্ডা প্রভাব সৃষ্টি করে।
-
এই কারণেই ফ্যাশন, অভ্যন্তরীণ নকশা ও চিত্রকলায় নীল ও অন্যান্য শীতল রং ব্যবহার করা হয় সঙ্কোচন, গভীরতা ও স্থিরতার অনুভূতি প্রকাশে।

0
Updated: 1 day ago
কাপড়ের শুষ্ক ধৌতকরণ পদ্ধতিতে কোন নিয়মটি পালন করতে হবে?
Created: 1 day ago
A
কাছাকাছি আগুন না রাখা
B
আবন্ধ স্থানে ধৌত করা
C
অধিক পানি ব্যবহার করা
D
রোদ্রের উপস্থিতিতে ধৌত করা
শুষ্ক ধৌতকরণ একটি বিশেষ ধরণের পরিস্কার পদ্ধতি, যেখানে পানির পরিবর্তে জৈব দ্রাবক (organic solvent) ব্যবহার করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় কাপড়ের গঠন অক্ষুণ্ণ রেখে ময়লা ও তেলজাত দাগ কার্যকরভাবে দূর করা যায়, তবে এতে নিরাপত্তা ঝুঁকিও বিদ্যমান।
১. শুষ্ক ধৌতকরণে সাধারণত পারক্লোরোইথিলিন (Perchloroethylene) বা অনুরূপ জৈব দ্রাবক ব্যবহৃত হয়, যা কাপড়ের আঁশে পানি শোষণের ঝুঁকি কমায়।
২. এই দ্রাবকগুলো অত্যন্ত দাহ্য (Highly Flammable), ফলে অল্প তাপ বা স্পার্ক পেলেও সহজেই আগুন ধরে যেতে পারে।
৩. দ্রাবকের বাষ্প বিস্ফোরণযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে পারে, তাই শুষ্ক ধৌতকরণ কক্ষে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক।
৪. নিরাপত্তার জন্য কাজের স্থানের আশেপাশে আগুন, ধূমপান, বৈদ্যুতিক স্পার্ক বা উচ্চ তাপের উৎস রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৫. শ্রমিকদের প্রতিরক্ষামূলক পোশাক, গ্লাভস ও মাস্ক ব্যবহার করা উচিত, যাতে দ্রাবকের সংস্পর্শে শ্বাসযন্ত্র বা ত্বকের ক্ষতি না হয়।
৬. ব্যবহৃত দ্রাবক পুনঃব্যবহারের আগে বিশুদ্ধকরণ (Distillation) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফিল্টার করা প্রয়োজন, যাতে পরিবেশ দূষণ কমে এবং দ্রাবকের কার্যকারিতা বজায় থাকে।
এইভাবে শুষ্ক ধৌতকরণ পদ্ধতি কার্যকর হলেও সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনুসরণ না করলে তা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

0
Updated: 1 day ago
গৃহ সজ্জায় কিভাবে ছন্দ সৃষ্টি করা হয়?
Created: 1 hour ago
A
রেখার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে
B
রং এর পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে
C
কক্ষে আলো-ছায়ার ব্যবহার
D
উপরের সবগুলিই সঠিক
ছন্দ গৃহসজ্জার এমন একটি নান্দনিক উপাদান, যা চোখকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে সাহায্য করে। এটি পুরো নকশায় সুষম গতি, ধারাবাহিকতা ও দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য সৃষ্টি করে।
-
রেখার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে: নকশা বা আসবাবের রেখাগুলোকে বারবার ব্যবহার করলে একটি সুনির্দিষ্ট ছন্দ তৈরি হয়। যেমন—লম্বা টেবিলের পায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জানালার খড়খড়ি বা দেওয়ালের উল্লম্ব স্ট্রাইপ ব্যবহার করা হলে তা নকশায় ভারসাম্য ও ছন্দ এনে দেয়।
-
রঙের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে: কোনো নির্দিষ্ট রঙ ঘরের বিভিন্ন উপকরণে যেমন পর্দা, কুশন, কার্পেট বা ফুলদানিতে পুনরায় ব্যবহার করলে দৃষ্টিতে ধারাবাহিক প্রবাহ তৈরি হয়।
-
আলো-ছায়ার ব্যবহারে: সঠিক আলো ও ছায়ার তারতম্য এবং বৈসাদৃশ্যের মাধ্যমে একটি স্বাভাবিক গতি ও গভীরতা সৃষ্টি হয়, যা কক্ষের নান্দনিকতায় ছন্দ যোগ করে।
-
আকার ও আকৃতির পুনরাবৃত্তি: একই ধরনের বস্তুর আকার, প্যাটার্ন বা বিন্যাস বারবার ব্যবহার করলে দৃষ্টিতে ছন্দ বজায় থাকে।
-
বিন্যাসের সামঞ্জস্যতা: আসবাব বা সজ্জার উপকরণ সমান দূরত্বে বা ছন্দময়ভাবে সাজালে পুরো স্থাপনায় ভারসাম্য ও সাদৃশ্য তৈরি হয়।

0
Updated: 1 hour ago