কক্ষে দেয়াল ও বাতির রং এক হলে রং এর তীব্রতা -
A
হ্রাস পায়
B
বৃদ্ধি পায়
C
পরিবর্তন হয় না
D
সামান্য হ্রাস পায়
উত্তরের বিবরণ
যখন দেয়ালের রং এবং আলোর রং একই বা একই বর্ণপরিবারের হয়, তখন দেয়ালের রং আরও উজ্জ্বল ও গাঢ় দেখা যায়। এর মূল কারণ হলো আলো ও বস্তুর রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পারস্পরিক সামঞ্জস্য, যা প্রতিফলনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
-
রঙের প্রতিফলন নীতি অনুযায়ী, কোনো বস্তু তার নিজের রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রতিফলিত করে এবং অন্য তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষণ করে।
-
যখন বাতির রং ও দেয়ালের রং একই হয়, তখন দেয়াল সেই নির্দিষ্ট রঙের আলো সর্বাধিক পরিমাণে প্রতিফলিত করে।
-
এই প্রতিফলনের ফলে রঙের তীব্রতা (Intensity) ও উজ্জ্বলতা (Saturation) উভয়ই বৃদ্ধি পায়।
-
উদাহরণস্বরূপ, লাল দেয়ালের ওপর লাল আলো ফেললে, অন্য রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য শোষিত হয় এবং কেবল লাল আলোই প্রতিফলিত হয়, ফলে রং আরও গভীর ও সমৃদ্ধ দেখায়।
-
এটি Color Amplification নামে পরিচিত একটি প্রক্রিয়া, যেখানে একই রঙের আলো বস্তুর রংকে আরও তীব্রভাবে ফুটিয়ে তোলে।
-
এই কারণে এমন পরিবেশে রঙের গভীরতা ও দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি পায়, যা চোখে বেশি উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত মনে হয়।

0
Updated: 22 hours ago
হরিতকির মিশ্রন থেকে তুলে আয়রন মিশ্রিত পাত্রে ডোবালে কাপড়ে কি রং পাওয়া যায়?
Created: 22 hours ago
A
হলুদ
B
জলপাই
C
কালো
D
লাল
হরীতকী ব্যবহার করে রং করার প্রক্রিয়া একটি প্রাকৃতিক ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি, যেখানে রাসায়নিক রঞ্জকের পরিবর্তে উদ্ভিজ্জ উপাদান ব্যবহৃত হয়। হরীতকী কাপড়ে স্থায়ী ও উজ্জ্বল রং আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। পুরো প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে হয়—
-
কাপড়ের পরিমাণের অর্ধেক পরিমাণ হরীতকী (অর্ধেক পাকা ও অর্ধেক কাঁচা) নিয়ে সামান্য কাপড় কাচার সোডা মিশিয়ে একটি পাত্রে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
-
২৪ ঘণ্টা পর ৩০ মিনিট গরম করতে হবে, তারপর পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে মিশ্রণটি আলাদা রাখতে হবে।
-
অন্য একটি পাত্রে গরম পানিতে পটাশিয়াম বাইক্রোমেট পরিমাণমতো গুলে নিতে হবে।
-
কাপড়টি প্রথমে হরীতকী মিশ্রিত দ্রবণে ডুবিয়ে তুলে পরে পটাশিয়াম বাইক্রোমেট মিশ্রণে ডোবাতে হবে, এতে হলুদ রং পাওয়া যাবে।
-
যদি কাপড়টি কপার সালফেট মিশ্রণে ডোবানো হয়, তাহলে জলপাই রং উৎপন্ন হবে।
-
আর আয়রন মিশ্রণে ডোবালে কালো রং পাওয়া যাবে।
এই প্রক্রিয়ায় হরীতকী মূল রঞ্জক হিসেবে কাজ করে এবং বিভিন্ন ধাতব যৌগের সঙ্গে বিক্রিয়ায় বিভিন্ন শেডের প্রাকৃতিক রং সৃষ্টি করে, যা কাপড়ে স্থায়ীভাবে লেগে থাকে ও সহজে ম্লান হয় না।

0
Updated: 22 hours ago
মধ্য শৈশবের বিকাশমূলক কাজ কোনটি?
Created: 22 hours ago
A
শরীর বৃত্তীয় দক্ষতা অর্জন
B
সমবয়সীদের সাথে সঠিক আচরণ করতে শেখা
C
শক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে শেখা
D
সঠিকভাবে বাক্য গঠন করতে পারা
মধ্য শৈশব (Middle Childhood) সাধারণত ৬ থেকে ১২ বছর বয়সের সময়কালকে বোঝায়। এই পর্যায় শিশুর জীবনে শারীরিক, মানসিক, ভাষাগত ও সামাজিক দিক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে। বিশেষ করে সামাজিক বিকাশে এই সময়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
সামাজিক বিকাশের কেন্দ্রবিন্দু: এই বয়সে শিশুর আগ্রহ ধীরে ধীরে পরিবার থেকে সমবয়সীদের (Peers) দিকে সরে যায়। বন্ধুত্ব, দলবদ্ধ খেলা ও সহপাঠীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলাই সামাজিক বিকাশের প্রধান দিক হয়ে ওঠে।
-
সামাজিক নিয়ম শেখা: বন্ধুত্ব ও দলগত কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা সহযোগিতা, প্রতিযোগিতা, আপোষ, নিয়ম মেনে চলা এবং দ্বন্দ্ব নিরসন করার মতো জটিল সামাজিক দক্ষতা রপ্ত করে। এটি ভবিষ্যৎ সামাজিক জীবনের জন্য এক শক্ত ভিত্তি তৈরি করে।
-
শরীরবৃত্তীয় দক্ষতার বিকাশ: হাঁটা, দৌড়ানো, লাফানোর মতো মৌলিক Gross Motor Skills প্রাথমিক শৈশবে গড়ে ওঠে, তবে মধ্য শৈশবে সেগুলো আরও পরিমার্জিত হয়ে খেলাধুলা ও ক্রীড়াকর্মে প্রয়োগযোগ্য হয়।
-
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: শৈশবকালীন (Infancy) পর্যায়ে শিশুর শক্ত খাদ্য গ্রহণের দক্ষতা বিকশিত হয়, যা মধ্য শৈশবে আরও নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে পরিণত হয়।
-
ভাষাগত দক্ষতা: প্রাক-বিদ্যালয় (২–৫ বছর) পর্যায়ে ভাষা ও বাক্য গঠনের ভিত্তি স্থাপিত হয়, আর মধ্য শৈশবে শিশু জটিল বাক্য ব্যবহার করে গল্প বলা, যুক্তি উপস্থাপন ও মতামত প্রকাশে দক্ষ হয়ে ওঠে।
-
এই পর্যায়েই শিশুর মধ্যে আত্মনিয়ন্ত্রণ, দায়িত্ববোধ ও আত্মপরিচয়ের বোধ বিকাশ লাভ করে, যা কৈশোরে প্রবেশের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করে।

0
Updated: 22 hours ago
কোন পদ্ধতিকে বন্ত্র রং করলে সব ক্ষেত্রেই সৃজনশীল নকশা পাওয়া যায়?
Created: 22 hours ago
A
স্ক্রিন
B
টাই
C
ব্লক
D
রোলার
বিভিন্ন প্রিন্টিং পদ্ধতির মাধ্যমে কাপড়ে নকশা তৈরির কৌশল ভিন্ন হয়। প্রতিটি পদ্ধতির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকলেও, সৃজনশীলতার পরিমাণ সব ক্ষেত্রে সমান নয়। নিচে প্রতিটি পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য ও সৃজনশীলতার মাত্রা তুলে ধরা হলো।
১. স্ফিন (Screen Printing) – নির্দিষ্ট ছাঁচ বা স্ক্রিনের মাধ্যমে আগে থেকে তৈরি নকশা কাপড়ে ছাপানো হয়। প্রতিবার একই স্ক্রিন ব্যবহৃত হওয়ায় নকশা একরূপ থাকে এবং নতুন সৃষ্টির সুযোগ কম।
২. টাই অ্যান্ড ডাই (Tie and Dye) – কাপড়ের অংশবিশেষ বেঁধে রং দেওয়ায় প্রতিবার রঙের ছড়ানো ভিন্নভাবে ঘটে। ফলে প্রতিবার নতুন ও অভিনব নকশা সৃষ্টি হয়, যা এই পদ্ধতিকে অত্যন্ত সৃজনশীল করে তোলে।
৩. ব্লক প্রিন্টিং (Block Printing) – কাঠ বা ধাতুর ব্লক দিয়ে নকশা ছাপানো হয়। একই ব্লক ব্যবহারে নকশা পুনরাবৃত্তি হয়, তাই এতে সৃজনশীলতা সীমিত থাকে।
৪. রোলার প্রিন্টিং (Roller Printing) – বৃহৎ যন্ত্র বা রোলারের মাধ্যমে দ্রুত গতিতে একই নকশা ব্যাপকভাবে ছাপানো হয়। এটি মূলত শিল্পোৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত, ফলে নকশায় বৈচিত্র্য বা নতুনত্বের সুযোগ কম।
এই তুলনায় দেখা যায়, টাই অ্যান্ড ডাই পদ্ধতিই একমাত্র এমন প্রক্রিয়া, যেখানে প্রতিবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে নতুন নকশা সৃষ্টি হয়।

0
Updated: 22 hours ago