কোন পদ্ধতিকে বন্ত্র রং করলে সব ক্ষেত্রেই সৃজনশীল নকশা পাওয়া যায়?
A
স্ক্রিন
B
টাই
C
ব্লক
D
রোলার
উত্তরের বিবরণ
বিভিন্ন প্রিন্টিং পদ্ধতির মাধ্যমে কাপড়ে নকশা তৈরির কৌশল ভিন্ন হয়। প্রতিটি পদ্ধতির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকলেও, সৃজনশীলতার পরিমাণ সব ক্ষেত্রে সমান নয়। নিচে প্রতিটি পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য ও সৃজনশীলতার মাত্রা তুলে ধরা হলো।
১. স্ফিন (Screen Printing) – নির্দিষ্ট ছাঁচ বা স্ক্রিনের মাধ্যমে আগে থেকে তৈরি নকশা কাপড়ে ছাপানো হয়। প্রতিবার একই স্ক্রিন ব্যবহৃত হওয়ায় নকশা একরূপ থাকে এবং নতুন সৃষ্টির সুযোগ কম।
২. টাই অ্যান্ড ডাই (Tie and Dye) – কাপড়ের অংশবিশেষ বেঁধে রং দেওয়ায় প্রতিবার রঙের ছড়ানো ভিন্নভাবে ঘটে। ফলে প্রতিবার নতুন ও অভিনব নকশা সৃষ্টি হয়, যা এই পদ্ধতিকে অত্যন্ত সৃজনশীল করে তোলে।
৩. ব্লক প্রিন্টিং (Block Printing) – কাঠ বা ধাতুর ব্লক দিয়ে নকশা ছাপানো হয়। একই ব্লক ব্যবহারে নকশা পুনরাবৃত্তি হয়, তাই এতে সৃজনশীলতা সীমিত থাকে।
৪. রোলার প্রিন্টিং (Roller Printing) – বৃহৎ যন্ত্র বা রোলারের মাধ্যমে দ্রুত গতিতে একই নকশা ব্যাপকভাবে ছাপানো হয়। এটি মূলত শিল্পোৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত, ফলে নকশায় বৈচিত্র্য বা নতুনত্বের সুযোগ কম।
এই তুলনায় দেখা যায়, টাই অ্যান্ড ডাই পদ্ধতিই একমাত্র এমন প্রক্রিয়া, যেখানে প্রতিবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে নতুন নকশা সৃষ্টি হয়।

0
Updated: 1 day ago
বর্ণ আভা কোনটি?
Created: 41 minutes ago
A
লাল+নীল=বেগুনী
B
লাল+কালো+মেরুন
C
লাল+হলুদ=কমলা
D
লাল+সাদা=গোলাপী
রঙের জগতে মৌলিক, গৌণ, প্রান্তিক ও শেড–টিন্টের ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলোর মাধ্যমেই বিভিন্ন ধরনের রঙ তৈরি ও চিত্রকলায় ব্যবহার করা সম্ভব হয়। প্রতিটি রঙের ধরন নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং শিল্প, নকশা বা পোশাক নির্মাণে তা বিশেষ ভূমিকা রাখে।
১. মৌলিক রং: লাল, হলুদ ও নীল এই তিনটি মৌলিক রং অন্য কোনো রঙের সংমিশ্রণে তৈরি করা যায় না। এদের মাধ্যমেই অন্যান্য সব রঙের জন্ম হয়।
২. গৌণ বা মিশ্র রং: দুটি মৌলিক রং সমপরিমাণে মিশিয়ে গৌণ বা মাধ্যমিক রং তৈরি করা হয়। উদাহরণ—
-
লাল + হলুদ = কমলা
-
নীল + হলুদ = সবুজ
-
লাল + নীল = বেগুনি
৩. প্রান্তিক রং: একটি মৌলিক রং ও একটি মাধ্যমিক রং মিশিয়ে প্রান্তিক রং তৈরি হয়। উদাহরণ— -
লাল + বেগুনি = লালচে বেগুনি
-
হলুদ + কমলা = হলুদাভ কমলা
-
নীল + সবুজ = নীলাভ সবুজ
৪. শেড (Shade): কোনো রঙের সঙ্গে কালো মেশালে যে গাঢ় রং তৈরি হয়, তাকে শেড বলা হয়। যেমন—লাল + কালো = মেরুন।
৫. টিন্ট (Tint) বা বর্ণ আভা: কোনো রঙের সঙ্গে সাদা মেশালে যে হালকা রং সৃষ্টি হয়, তাকে টিন্ট বলা হয়। যেমন—লাল + সাদা = গোলাপী।
৬. রঙের ভারসাম্য ও সৃজনশীলতা: এই মৌলিক নীতিগুলির সাহায্যে অসংখ্য নতুন রঙের সংমিশ্রণ তৈরি করা যায়, যা চিত্রকলা, পোশাক নকশা ও অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জায় সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ দেয়।

0
Updated: 41 minutes ago
কাজ সহজকরণে কোন পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 day ago
A
ভারী সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করা
B
দেহের অবস্থান ও গতি ঠিক রাখা
C
দ্রুততার সাথে কাজ করা
D
কম দৈহিক শক্তি প্রয়োগ করা
কাজ সহজকরণ পদ্ধতি (Work Simplification System) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোনো কাজকে সহজ, দ্রুত এবং দক্ষ উপায়ে সম্পন্ন করা যায়। মার্কিন অধ্যাপক Lillian Moller Gilbreth–এর মতে, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কাজ করাই কাজ সহজকরণের মূল ভিত্তি। এর সংজ্ঞা অনুযায়ী—
Work Simplification হলো নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় ও শক্তি ব্যবহার করে বেশি কাজ সম্পন্ন করা, অথবা একই কাজ সম্পন্ন করতে কম সময় ও শক্তি ব্যয় করা। এখানে মূল গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সময় ও শক্তি এই দুই সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারে।
এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য Marvin E. Mundel পাঁচ প্রকার পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছেন, যার মধ্যে প্রথমটি হলো দেহের অবস্থান ও গতির পরিবর্তন (Changes in body position and motions)। এর অধীনে কার্যকর কিছু নির্দেশনা হলো—
-
কাজের সময় দুই হাত ব্যবহার করা, যাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ে।
-
কাজের ধারা এমনভাবে সাজানো উচিত যেন অতিরিক্ত শ্রম না পড়ে বা একাধিক কাজ একসাথে করা যায়।
-
সঠিক দেহভঙ্গি বজায় রেখে কাজ করলে ক্লান্তি কমে এবং কাজের মান বাড়ে।
-
কাজের আগে ও চলাকালীন কাজের ধারা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি, যাতে সময় অপচয় না হয়।
-
ভারী কাজের পরপরই হালকা কাজ করা উচিত, যাতে শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য বজায় থাকে।
এই নীতিগুলো মেনে চললে কাজ শুধু সহজ হয় না, বরং কর্মদক্ষতা ও উৎপাদনক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

0
Updated: 1 day ago
বসবাসের জন্য কোনমূখী গৃহ উত্তম?
Created: 41 minutes ago
A
উত্তর-দক্ষিণ
B
পূর্ব-পশ্চিম
C
দক্ষিণ-পূর্ব
D
উত্তর-পশ্চিম
দক্ষিণ-পূর্বমুখী গৃহকে সাধারণত বসবাসের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে ধরা হয়, বিশেষত গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে। এই দিকের ঘরগুলো আলো, বাতাস ও তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে, যা বাসিন্দাদের আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রদান করে।
-
আলো ও তাপের নিয়ন্ত্রণ: পূর্ব-পশ্চিমমুখী ঘরে দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তীব্র আলো পড়ে, যা ঘরকে অতিরিক্ত গরম করে তোলে। দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘরে এই সমস্যা কম থাকে।
-
সকালের সূর্যালোক প্রবেশ: সূর্য দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে উদয় হয়, ফলে সকালে ঘরে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো ও তাপ প্রবেশ করে। এতে ঘর শুকনো থাকে এবং জীবাণু ধ্বংসে সহায়তা করে।
-
দক্ষিণ দিক থেকে বাতাস প্রবাহ: বাংলাদেশের জলবায়ু অনুযায়ী দক্ষিণ দিক থেকে শীতল বাতাস প্রবাহিত হয়, যা দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘরে সহজেই প্রবেশ করে ঘরকে ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখে।
-
দুপুরের প্রচণ্ড রোদ থেকে সুরক্ষা: পশ্চিম দিকের রোদ সবচেয়ে তীব্র, কিন্তু দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘর পশ্চিম রোদের সরাসরি প্রভাব থেকে আংশিক সুরক্ষা পায়, ফলে ঘরের ভেতর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে।
-
বাতাস ও আলোয় ভারসাম্য: সকালে পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং বিকেলে হালকা ছায়া ঘরে আলো-অন্ধকার ও তাপমাত্রার সুষম পরিবেশ সৃষ্টি করে।
-
স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক পরিবেশ: এই দিকের ঘরগুলোতে বাতাস চলাচল ভালো হয়, আর্দ্রতা কম থাকে এবং আলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তির জন্য উপযোগী।

0
Updated: 41 minutes ago