আসবাব নির্বাচনে প্রথম বিবেচ্য বিষয় কোনটি?
A
আসবারের স্থায়িত্ব
B
নিজ পেশা
C
কক্ষের অন্যান্য আসবাবের সাথে সামঞ্জস্য
D
দেশের কালচারের সাথে সামঞ্জস্য
উত্তরের বিবরণ
আসবাবপত্র নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ গৃহস্থালি সিদ্ধান্ত, যা শুধু সৌন্দর্যের বিষয় নয় বরং ব্যবহারিক প্রয়োজন ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের সঙ্গেও সম্পর্কিত। স্থায়িত্ব (Durability) এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ—আসবাব সাধারণত দীর্ঘদিন ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কেনা হয়, এবং টেকসই না হলে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি ঘটে যা অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আসবাবপত্র নির্বাচনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা প্রয়োজন—
-
পরিবারের আয় অনুযায়ী ব্যয় নির্ধারণ করা উচিত।
-
মূল্য যেন মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।
-
উপযোগিতা অর্থাৎ নির্দিষ্ট প্রয়োজন পূরণে আসবাবের সক্ষমতা থাকতে হবে।
-
প্রয়োজনীয়তা বিচার করে অপ্রয়োজনীয় জিনিস এড়ানো উচিত।
-
আরামদায়কতা ব্যবহারকারীর স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে।
-
নমনীয়তা বা ব্যবহারভেদে স্থানান্তরের সুবিধা থাকা ভালো।
-
স্থায়িত্ব অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারযোগ্যতা অবশ্যই যাচাই করতে হবে।
-
নির্মাণ উপকরণ যেমন কাঠ, ধাতু, বা প্লাস্টিক—গুণমানের দিক থেকে বিবেচনা করা জরুরি।
-
রুচি বা ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইন বেছে নিতে হবে।
-
নকশা ঘরের সজ্জা ও ব্যবহারিক দিকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া দরকার।
-
পরিবারের আকার ও কাঠামো অনুযায়ী আসবাবের পরিমাণ ও আকার নির্ধারণ করতে হবে।
-
চাকরির প্রকৃতি যেমন স্থানান্তরযোগ্য পেশা হলে হালকা ও সহজে বহনযোগ্য আসবাব উত্তম।
-
যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হওয়া প্রয়োজন যাতে দীর্ঘস্থায়িত্ব বজায় থাকে।
-
কক্ষের আকার ও আয়তন অনুযায়ী উপযুক্ত মাপের আসবাব বেছে নেওয়া উচিত।
-
শিল্পনীতি ও উপাদান বিবেচনায় দেশীয় উৎপাদন ও মানসম্পন্ন উপকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া ভালো।

0
Updated: 1 day ago
গৃহ ব্যবস্থাপনায় সংগঠন বলতে কি বোঝায়?
Created: 1 hour ago
A
কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন
B
কাজের সাফল্য ও ব্যর্থতা পরিমাপ
C
পারিবারিক মূলাবোধের সর্বোচ্চ ব্যবহার
D
গৃহে সবার মধ্যে কর্ম বন্টন ও সমন্বয় সাধন
গৃহ ব্যবস্থাপনায় সংগঠন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যার মাধ্যমে পরিকল্পনাকে বাস্তবে কার্যকর করার জন্য পরিবারে শ্রম, সম্পদ ও সময়কে সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যস্ত করা হয়। এটি পরিবারের দক্ষতা বৃদ্ধি ও লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে।
১. কর্ম বণ্টন (Division of Work): পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের যোগ্যতা, আগ্রহ ও সময় অনুযায়ী কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়, যাতে সবাই নিজ নিজ দায়িত্বে কার্যকরভাবে অবদান রাখতে পারে।
২. দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব নির্ধারণ: কে কোন কাজ করবে এবং সেই কাজের জন্য কে দায়িত্ব নেবে তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হয়। এতে দায়িত্বজ্ঞান বাড়ে ও বিভ্রান্তি কমে।
৩. সমন্বয় সাধন (Coordination): পরিবারের সব সদস্যের কাজ যেন একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, সে জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়া জরুরি। সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিবারের সব প্রচেষ্টা একটি অভিন্ন লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।
৪. কার্যকর যোগাযোগ: সংগঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো স্পষ্ট ও ইতিবাচক যোগাযোগ, যা ভুল বোঝাবুঝি কমিয়ে পারিবারিক ঐক্য বজায় রাখে।
৫. সম্পদ ব্যবস্থাপনা: মানবশক্তি ছাড়াও সময়, অর্থ ও উপকরণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা সংগঠনের মূল উদ্দেশ্যগুলির মধ্যে একটি।
৬. ফলাফল মূল্যায়ন: নির্ধারিত কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনে পরিবর্তন আনার মাধ্যমেও সংগঠন কার্যকর রাখা যায়।

0
Updated: 1 hour ago
কোনটি স্বেচ্ছা সঞ্চয়?
Created: 42 minutes ago
A
পেনশন
B
প্রভিডেন্ড ফান্ড
C
জীবন বীমা
D
গ্র্যাচুইটি
স্বেচ্ছা সঞ্চয় হলো এমন একটি ব্যক্তিগত আর্থিক সিদ্ধান্ত, যেখানে ব্যক্তি নিজের ইচ্ছা ও সামর্থ্য অনুযায়ী ভবিষ্যতের নিরাপত্তা বা প্রয়োজন পূরণের জন্য অর্থ সঞ্চয় করেন। এই সঞ্চয় কোনো সরকারি বা প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মে বাধ্যতামূলক নয়, বরং সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তির সচেতন পরিকল্পনার ফল।
-
জীবন বীমা (Life Insurance): এটি একটি স্বেচ্ছা সঞ্চয় পদ্ধতি, যেখানে ব্যক্তি নিজের ও পরিবারের ভবিষ্যৎ আর্থিক সুরক্ষার কথা ভেবে নিজ উদ্যোগে প্রিমিয়াম প্রদান করেন। এটি বাধ্যতামূলক নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার এক মাধ্যম।
-
পেনশন (Pension): এটি সাধারণত সরকারি বা প্রাতিষ্ঠানিক চাকরির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বাধ্যতামূলক সঞ্চয় ব্যবস্থা, যা চাকরি শেষে অবসরকালীন ভাতা হিসেবে প্রদান করা হয়।
-
প্রভিডেন্ট ফান্ড (Provident Fund - PF): এটি চাকরির শর্ত অনুযায়ী নিয়োগকর্তা ও কর্মচারী উভয়ের যৌথ অবদানে গঠিত, এবং চাকরির সময়ে এটি বাধ্যতামূলকভাবে কেটে রাখা হয়।
-
গ্র্যাচুইটি (Gratuity): এটি চাকরির নির্দিষ্ট মেয়াদ পূরণের পর নিয়োগকর্তার পক্ষ থেকে প্রদত্ত এককালীন অর্থ, যা কোনো সঞ্চয় নয় বরং একটি পুরস্কার বা সুবিধা হিসেবে বিবেচিত।
-
স্বেচ্ছা সঞ্চয় সাধারণত ব্যক্তির আত্মনিয়ন্ত্রণ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও আর্থিক সচেতনতার প্রতিফলন, যা ব্যক্তি ও পরিবারের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।

0
Updated: 42 minutes ago
বসবাসের জন্য কোনমূখী গৃহ উত্তম?
Created: 42 minutes ago
A
উত্তর-দক্ষিণ
B
পূর্ব-পশ্চিম
C
দক্ষিণ-পূর্ব
D
উত্তর-পশ্চিম
দক্ষিণ-পূর্বমুখী গৃহকে সাধারণত বসবাসের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে ধরা হয়, বিশেষত গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে। এই দিকের ঘরগুলো আলো, বাতাস ও তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে, যা বাসিন্দাদের আরামদায়ক ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রদান করে।
-
আলো ও তাপের নিয়ন্ত্রণ: পূর্ব-পশ্চিমমুখী ঘরে দিনের বেশিরভাগ সময় সূর্যের তীব্র আলো পড়ে, যা ঘরকে অতিরিক্ত গরম করে তোলে। দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘরে এই সমস্যা কম থাকে।
-
সকালের সূর্যালোক প্রবেশ: সূর্য দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে উদয় হয়, ফলে সকালে ঘরে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো ও তাপ প্রবেশ করে। এতে ঘর শুকনো থাকে এবং জীবাণু ধ্বংসে সহায়তা করে।
-
দক্ষিণ দিক থেকে বাতাস প্রবাহ: বাংলাদেশের জলবায়ু অনুযায়ী দক্ষিণ দিক থেকে শীতল বাতাস প্রবাহিত হয়, যা দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘরে সহজেই প্রবেশ করে ঘরকে ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখে।
-
দুপুরের প্রচণ্ড রোদ থেকে সুরক্ষা: পশ্চিম দিকের রোদ সবচেয়ে তীব্র, কিন্তু দক্ষিণ-পূর্বমুখী ঘর পশ্চিম রোদের সরাসরি প্রভাব থেকে আংশিক সুরক্ষা পায়, ফলে ঘরের ভেতর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে।
-
বাতাস ও আলোয় ভারসাম্য: সকালে পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং বিকেলে হালকা ছায়া ঘরে আলো-অন্ধকার ও তাপমাত্রার সুষম পরিবেশ সৃষ্টি করে।
-
স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক পরিবেশ: এই দিকের ঘরগুলোতে বাতাস চলাচল ভালো হয়, আর্দ্রতা কম থাকে এবং আলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়, যা স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তির জন্য উপযোগী।

0
Updated: 42 minutes ago