ঋগ্বেদের সুক্তসংখ্যা কতটি?
A
১০০৮ টি
B
১০২৮ টি
C
১০২৪ টি
D
১০৮২ টি
উত্তরের বিবরণ
ঋগ্বেদ হলো চার বেদের মধ্যে প্রাচীনতম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বেদ, যা মানবসভ্যতার অন্যতম প্রাচীন ধর্মীয় ও সাহিত্যিক গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত। এতে মোট ১০২৮টি সুক্ত (স্তোত্র) রয়েছে, যা বিভিন্ন দেবতার উদ্দেশ্যে রচিত প্রার্থনা ও প্রশস্তি।
-
প্রতিটি সুক্তে প্রাকৃতিক ও দैবীয় শক্তির প্রতি স্তব, প্রার্থনা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।
-
এতে প্রধান দেবতারা হলেন ইন্দ্র, অগ্নি, বরুণ, সোম, রুদ্র, সূর্য প্রভৃতি।
-
ঋগ্বেদের স্তোত্রগুলো মূলত ঋষিদের অনুপ্রেরণায় রচিত, যা মানুষের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক চেতনার বিকাশে ভূমিকা রেখেছে।
-
এতে প্রকৃতি, ধর্ম, আচার, নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের নানা দিক বর্ণিত হয়েছে।
-
ঋগ্বেদ কেবল ধর্মীয় গ্রন্থ নয়, এটি ভারতীয় ভাষা, সাহিত্য ও চিন্তাধারার মূল ভিত্তি হিসেবেও বিবেচিত।

0
Updated: 1 day ago
রাজা উদয়নের রাজ্যের নাম কি?
Created: 1 day ago
A
উত্তরাখণ্ড
B
কাশ্মীর
C
বৎস রাজ্য
D
দণ্ডকারণ্য
“স্বপ্নবাসবদত্তম” একটি প্রখ্যাত সংস্কৃত নাটক, যার নায়ক রাজা উদয়ন, এবং নাটকের প্রধান প্রেক্ষাপট হলো বৎস রাজ্য। এই রাজ্যকেই নাটকের কাহিনির কেন্দ্রস্থল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
১. রাজ্যের পরিচয়: বৎস রাজ্য ছিল প্রাচীন ভারতের এক সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী রাজ্য, যার রাজধানী ছিল কৌশাম্বী।
২. নায়ক উদয়ন: রাজা উদয়ন ছিলেন বৎসরাজ্যের শাসক—বীর, রসিক ও কাব্যপ্রেমী রাজা, যিনি বীণাবাদন ও কূটনৈতিক দক্ষতার জন্য পরিচিত।
৩. নাট্যের কাহিনি: কাহিনিটি উদয়ন ও বাসবদত্তার প্রেম এবং রাজনীতির সংঘাতে আবর্তিত, যেখানে প্রেম, কৌশল ও রাজ্যনীতি একে অপরের সঙ্গে জড়িত।
৪. প্রেক্ষাপটের গুরুত্ব: বৎসরাজ্য শুধু ভৌগোলিক স্থান নয়, বরং নাটকের রাজনৈতিক ও আবেগিক পরিবেশের ভিত্তি; এখানেই নাটকের প্রধান সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
৫. মূল ভাবার্থ: বৎসরাজ্য নাটকে ক্ষমতা, কূটনীতি ও প্রেমের মেলবন্ধনের প্রতীক—যেখানে উদয়নের বীরত্ব, প্রেম ও প্রজ্ঞা একই সঙ্গে বিকশিত হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
কিরাতার্জুনীয়ম্ মহাকাব্যে কোন বিষয়টি সমধিক ফুটে উঠেছে?
Created: 1 day ago
A
অর্থগৌরবম্
B
কাব্যালংকার
C
শাসনপ্রণালী
D
সিংহাসনলাভ
ভারবি ছিলেন প্রাচীন ভারতের এক অসাধারণ সংস্কৃত কবি, যার রচিত “কিরাতার্জুনীয়ম্” মহাকাব্য সংস্কৃত সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। এটি মহাভারতের বনপর্ব অবলম্বনে রচিত, যেখানে অর্জুনের তপস্যা ও শিবের কিরাতরূপে আবির্ভাবের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।
-
কাব্যটি মোট ১৮ সর্গে বিভক্ত, প্রতিটি সর্গে ভাব, ভাষা ও কৌশলের গভীর মেলবন্ধন রয়েছে।
-
ভারবির কাব্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো অর্থগৌরব (অর্থের গাম্ভীর্য)— তাঁর প্রতিটি শ্লোক চিন্তার গভীরতা ও তত্ত্বগভীর ভাবনায় পরিপূর্ণ।
-
দণ্ডী তাঁর ‘কাব্যাদর্শ’ (১.৬৩) গ্রন্থে বলেছেন — “ভারভিঃ অর্থগৌরবে”, অর্থাৎ ভারবি অর্থের গৌরবে শ্রেষ্ঠ।
-
তাঁর ভাষা সংযত ও মিতবাক, কিন্তু প্রতিটি শব্দ অর্থবহ ও চিন্তাসঞ্জাত।
-
ভারবির কাব্যে অলঙ্কার আছে, কিন্তু সেটি মূল নয়; বরং অর্থের দৃঢ়তা, তত্ত্বগভীরতা ও ভাবগাম্ভীর্যই মুখ্য বৈশিষ্ট্য।
-
সমালোচক বিশ্বনাথ কবিরাজ বলেছেন — “ভারবির কাব্যে অর্থগাম্ভীর্য সর্বোচ্চ।”
-
আনন্দবর্ধন তাঁর ‘ধ্বন্যালোক’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে ভারবির কাব্যে অর্থের শক্তি (ধ্বনি)-ই মুখ্য।
-
একটি বিখ্যাত উক্তি — “দুর্বোধ্যা হি পাণ্ডিতানামপি বাণী ভারবেরিভ।”, অর্থাৎ ভারবির ভাষা এত গভীর যে পণ্ডিতদের কাছেও তা দুর্বোধ্য মনে হয়।
-
এইসব মন্তব্য প্রমাণ করে যে ভারবির কাব্যশক্তির মূল নিহিত তাঁর অর্থগৌরবে, যেখানে চিন্তার গাম্ভীর্য ও ভাষার নিপুণতা একত্রে কাব্যকে দার্শনিক উচ্চতায় উন্নীত করেছে।
চূড়ান্তভাবে বলা যায় — “কিরাতার্জুনীয়ম্” মহাকাব্যে অর্থগৌরবম্ সর্বাধিক প্রকাশিত, কারণ ভারবির কাব্যে গভীর ভাব, তত্ত্বগাম্ভীর্য ও নিখুঁত অর্থনৈপুণ্যই তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের চিহ্ন।

0
Updated: 1 day ago
"শ্রদ্ধাবান লভতে জ্ঞানম" শ্লোকাংশটি গীতার কোন অধ্যায়ে উল্লেখ আছে?
Created: 1 day ago
A
৪র্থ অধ্যায়
B
৭ম অধ্যায়
C
১০ম অধ্যায়
D
৯ম অধ্যায়
“শ্রদ্ধাবান্ লভতে জ্ঞানম্” শ্লোকাংশটি ভগবদ্গীতার চতুর্থ অধ্যায় অর্থাৎ জ্ঞান–কর্ম–সন্ন্যাস যোগ থেকে গৃহীত, যা মানবজীবনে জ্ঞানলাভের মৌলিক শর্ত হিসেবে শ্রদ্ধা ও ইন্দ্রিয়সংযমের গুরুত্ব প্রকাশ করে।
১. শ্লোকাংশের সূত্র: এটি ভগবদ্গীতার ৪র্থ অধ্যায়ের ৩৯তম শ্লোক—
श्रद्धावान् लभते ज्ञानं तत्परः संयतेन्द्रियः।
ज्ञानं लब्ध्वा परां शान्तिमचिरेणाधिगच्छति॥ (ভগবদ্গীতা ৪.৩৯)
২. বাংলা অনুবাদ: যিনি শ্রদ্ধাশীল, একনিষ্ঠ ও ইন্দ্রিয়সংযমী, তিনিই প্রকৃত জ্ঞান লাভ করেন; আর সেই জ্ঞান প্রাপ্ত হয়ে তিনি শীঘ্রই পরম শান্তি অর্জন করেন।
৩. শব্দার্থ বিশ্লেষণ:
-
শ্রদ্ধাবান্: যে বিশ্বাসী ও ভক্তি–পরায়ণ।
-
লভতে জ্ঞানম্: সে জ্ঞান অর্জন করে।
-
তৎপরঃ: যে একাগ্রচিত্ত ও সাধনায় নিমগ্ন।
-
সংযতে ইন্দ্রিয়ঃ: যার ইন্দ্রিয়সমূহ নিয়ন্ত্রিত।
৪. ভাবার্থ: এখানে শ্রীকৃষ্ণ বোঝাতে চেয়েছেন, সত্য জ্ঞান কেবল বুদ্ধিবৃত্তির দ্বারা অর্জন করা যায় না; এর জন্য প্রয়োজন শ্রদ্ধা, একাগ্রতা ও আত্মসংযম।
৫. আধ্যাত্মিক তাৎপর্য: জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মানুষ অজ্ঞতা, দুঃখ ও মোহ থেকে মুক্ত হয়ে পরম শান্তি লাভ করে, যা গীতার শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য।
৬. মূল উপসংহার: তাই এই শ্লোক প্রমাণ করে যে শ্রদ্ধা ও সংযম ছাড়া জ্ঞানসাধনা অসম্পূর্ণ, এবং এই শিক্ষা ভগবদ্গীতার ৪র্থ অধ্যায়ের মূল সুরের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago