দুর্যোধন যুধিষ্ঠিরকে পরাজিত করে কোন রাজ্যে অধিষ্ঠিত হন?
A
বৎসরাজ্য
B
কৌরবরাজ্য
C
হস্তিনারাজ্য
D
স্বর্গরাজ্য
উত্তরের বিবরণ
মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ ছিল কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে সংঘটিত এক মহান যুদ্ধ, যার রাজনৈতিক ও নৈতিক প্রেক্ষাপট গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। যুদ্ধের সময় এবং তার পূর্বে দুর্যোধন কৌরবপক্ষের রাজা হিসেবে হস্তিনাপুরে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
-
হস্তিনাপুর ছিল কুরুবংশের প্রাচীন রাজধানী, যেখানে থেকেই কৌরব ও পাণ্ডবদের শাসন কার্য পরিচালিত হতো।
-
যুদ্ধ শুরুর পূর্বে দুর্যোধন নিজের কৌশল, সামরিক দক্ষতা ও প্রভাবের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন।
-
যুদ্ধকালীন সময়ে হস্তিনাপুর ছিল কৌরব সেনার প্রধান কেন্দ্র, এবং সেখান থেকেই যুদ্ধের নির্দেশ জারি করা হতো।
-
যদিও কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পর পাণ্ডবরা রাজ্য পুনরুদ্ধার করে, তবুও যুদ্ধ চলাকালীন দুর্যোধনের রাজাসন হস্তিনাপুরেই ছিল।
-
এভাবে হস্তিনাপুর মহাভারতের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু ও বীরত্ব, ন্যায়-অন্যায়ের সংঘাতের প্রতীক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

0
Updated: 23 hours ago
কোনটি সঠিক?
Created: 1 day ago
A
উৎ+ছাস=উচ্ছাস
B
উৎ+ শ্বাস-উচ্ছ্বাস
C
উৎ+শাস=উৎশাস
D
উছ+শাস=উচ্ছ্বাস
“উৎ” এবং “শ্বাস” — এই দুটি শব্দ যুক্ত হয়ে গঠিত হয় “উচ্ছ্বাস”, যা প্রবল আনন্দ, উল্লাস বা আবেগের প্রকাশ বোঝায়। শব্দটি সংস্কৃত ব্যুৎপত্তিগত নিয়মে গঠিত এবং মানসিক উৎফুল্লতার স্বাভাবিক প্রকাশকে নির্দেশ করে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
শব্দগঠন: “উৎ + শ্বাস = উচ্ছ্বাস”।
-
“উৎ” এর অর্থ: উর্ধ্বে, উপরে উঠা, বা প্রকাশ পাওয়া।
-
“শ্বাস” এর অর্থ: নিশ্বাস, প্রাণপ্রবাহ, বা ভিতরের উদ্দীপনা।
-
সমাসফল শব্দ: মিলিত হয়ে বোঝায় আবেগ, আনন্দ বা প্রাণোচ্ছলতার প্রকাশ।
-
অর্থ: আনন্দ, উল্লাস, উচ্ছল ভাব বা আবেগের উত্থান।
-
ব্যবহার: “উচ্ছ্বাসে ভরে উঠল মন”, “তার কণ্ঠে আনন্দের উচ্ছ্বাস” — এ ধরনের বাক্যে ব্যবহৃত হয়।
-
অন্য বিকল্পগুলো: গঠন ও অর্থের নিয়ম অনুসারে সঠিক শব্দসংযোগ তৈরি করে না, তাই সেগুলো ভুল।

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোন দুটি কালিদাসের রচিত?
Created: 23 hours ago
A
মালবিকাগ্নিমিত্র ও পঞ্চতন্ত্র
B
সৌন্দরনন্দ ও বজ্রসূচী
C
কর্ণভার ও বালচরিত
D
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ ও মেঘদূতম্
কালিদাস ছিলেন প্রাচীন ভারতের এক অমর প্রতিভা, যিনি সংস্কৃত ভাষায় কাব্য ও নাটকের মাধ্যমে বিশ্বসাহিত্যে অমরত্ব লাভ করেছেন। তাঁর রচনাগুলো প্রাচীন ভারতীয় জীবন, প্রকৃতি, প্রেম ও আধ্যাত্মিক ভাবনা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত।
১. অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ – এটি একটি বিখ্যাত নাটক, যেখানে রাজা দুষ্যন্ত ও শকুন্তলার প্রেমকাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। এতে মানব-প্রেম, বেদনা ও পুনর্মিলনের অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়।
২. মেঘদূত – এটি একটি খণ্ডকাব্য, যেখানে নির্বাসিত এক যক্ষ তার প্রিয়ার কাছে বার্তা পাঠানোর জন্য মেঘকে দূত হিসেবে কল্পনা করে। প্রকৃতি ও প্রেমের অনুপম বর্ণনা এই কাব্যের মূল সৌন্দর্য।
৩. রঘুবংশম্ – একটি মহাকাব্য, যেখানে রঘুবংশের রাজাদের বংশধারা ও তাঁদের বীরত্বের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
৪. কুমারসম্ভবম্ – আরেকটি মহাকাব্য, যা পার্বতী ও শিবের বিবাহ এবং তাঁদের পুত্র কার্তিকেয়ের জন্মকথা নিয়ে রচিত।
৫. তাঁর রচনায় প্রকৃতি, প্রেম, ধর্ম ও নন্দনতত্ত্বের সুষমা প্রকাশ পেয়েছে, যা তাঁকে ভারতীয় সাহিত্যজগতের শ্রেষ্ঠ কবিদের অন্যতম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

0
Updated: 23 hours ago
কিরাত কে?
Created: 1 day ago
A
মহাদেব
B
বনদেবতা
C
যুধিষ্ঠির সখা
D
অর্জুনের সখা
“কিরাত” শব্দটি এখানে বোঝায় ভগবান মহাদেবকে, যিনি অর্জুনের তপস্যা পরীক্ষা করার জন্য শিকারীর রূপে আবির্ভূত হন। “কিরাতার্জুনীয়ম্” মহাকাব্যে (রচয়িতা: ভারবী) এই ঘটনার কাব্যিক চিত্রায়ণ হয়েছে।
১. ‘কিরাত’ শব্দের অর্থ হলো পাহাড়ি বা শিকারী রূপধারী ব্যক্তি, যা এখানে শিবের ছদ্মবেশ নির্দেশ করে।
২. অর্জুন স্বর্গীয় অস্ত্র লাভের উদ্দেশ্যে কঠোর তপস্যা করছিলেন, এবং তাঁর ভক্তি ও সংযম পরীক্ষা করার জন্য শিব কিরাতরূপে তাঁর সামনে উপস্থিত হন।
৩. অর্জুন প্রথমে কিরাতকে সাধারণ শিকারী ভেবে যুদ্ধের আহ্বান জানান, এবং এক কঠিন সংঘর্ষে অবতীর্ণ হন।
৪. দীর্ঘ যুদ্ধের পর অর্জুন শিবের প্রতি প্রণতি জ্ঞাপন করলে শিব তাঁর দিব্য রূপ প্রকাশ করে তাঁকে আশীর্বাদ প্রদান করেন।
৫. এই পরীক্ষার ফলস্বরূপ অর্জুন লাভ করেন শিবের প্রসাদস্বরূপ ‘পাশুপতাস্ত্র’, যা ছিল এক দেবদত্ত মহাস্ত্র।
৬. কিরাতার্জুনীয়ম্ মহাকাব্যের এই কাহিনি ভক্তি, ত্যাগ ও ঈশ্বরপ্রদত্ত শক্তির প্রতীক হিসেবে ভারতীয় সাহিত্য ও পুরাণে চিরস্মরণীয়।
সঠিক উত্তর: ক) মহাদেব

0
Updated: 1 day ago