পুণ্যং কুরু স্বর্গং গমিষ্যাসি - এর অনুবাদ কোনটি?
A
পুণ্য কর স্বর্গে যাবে
B
পূণ্য ছাড়া স্বর্গে যায় না
C
পূণ্য নাই স্বর্গ নাই
D
পূণ্যই একমাত্র পথ
উত্তরের বিবরণ
“পুণ্যং কুরু স্বর্গং গমিষ্যাসি” একটি সংস্কৃত বাক্য, যার অর্থ “পুণ্য করো, তুমি স্বর্গে যাবে।” এই উক্তি প্রাচীন ভারতীয় নৈতিকতা ও ধর্মীয় দর্শনের গভীর তাৎপর্য বহন করে, যেখানে মানবজীবনের শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য হিসেবে সৎকর্ম বা পুণ্যকর্মকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
-
‘পুণ্যং কুরু’ মানে সৎ কাজ করো বা নৈতিক আচরণ অনুসরণ করো।
-
‘স্বর্গং গমিষ্যাসি’ অর্থ তুমি পরকালে স্বর্গ লাভ করবে, অর্থাৎ সৎকর্মের ফলস্বরূপ শুভ পরিণতি লাভ হবে।
-
বাক্যটি মানুষকে অধর্ম পরিহার করে ধর্মাচরণে উৎসাহিত করে।
-
এটি প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ ও আচারনীতিতে প্রচলিত এক নৈতিক বাণী, যা সমাজে ন্যায়, সত্য ও সদাচরণের মূল্যবোধ স্থাপন করে।
-
এই দর্শনে মানবজীবনের সাফল্য শুধু বস্তুগত নয়, বরং আধ্যাত্মিক উন্নতির মাধ্যমেও নির্ধারিত হয়।

0
Updated: 1 day ago
বিধ্যাহীলোক পশুর সমান- এর অনুবাদ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
বিদ্যাহীনাঃ পশুস্য সমানা
B
বিদ্যাহীনঃ পশুঃ সমানঃ
C
বিদ্যাহীনাঃ পশুভিঃ সমানাঃ
D
বিদ্যাহীনয়া পশুস্য সমানঃ
সংস্কৃত নীতিবাক্য “বিদ্যাহীনাঃ পশুভিঃ সমানাঃ” মানবজীবনে শিক্ষার অপরিহার্যতার গভীর বার্তা বহন করে। এর দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে যে ব্যক্তি শিক্ষাহীন, সে পশুর সমান— কারণ বিদ্যাই মানুষকে মানবিক ও নৈতিক গুণে উন্নীত করে।
১. বিদ্যাহীনাঃ (Vidyāhīnāḥ) — অর্থ “যাদের বিদ্যা নেই” বা “অশিক্ষিত ব্যক্তি”; এখানে “হীন” অর্থ অভাবগ্রস্ত বা বঞ্চিত।
২. পশুভিঃ (Paśubhiḥ) — অর্থ “পশুদের সঙ্গে”, এটি তৃতীয়া-বিভক্তি, যা “সঙ্গে” বা “তুলনায়” অর্থ প্রকাশ করে।
৩. সমানাঃ (Samānāḥ) — অর্থ “সমান” বা “তুল্য”।
৪. তাই বাক্যের পূর্ণ অর্থ দাঁড়ায় — “যারা বিদ্যাহীন, তারা পশুদের সঙ্গে সমান।”
৫. এই নীতিবাক্যের অন্তর্নিহিত ভাব হলো, বিদ্যা মানুষকে চিন্তা, নৈতিকতা ও আত্মজ্ঞানে উন্নীত করে, যা পশুর থেকে মানুষের প্রধান পার্থক্য।
৬. সুতরাং, শিক্ষাই মানুষের প্রকৃত অলঙ্কার এবং বিদ্যাহীন জীবন মানেই জ্ঞানের আলোহীন অন্ধকার অস্তিত্ব।
সঠিক উত্তর: গ) বিদ্যাহীনাঃ পশুভিঃ সমানাঃ

0
Updated: 1 day ago
ক্ষমাহি শ্রেষ্ঠ গুণঃ- বাক্যের অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
ক্ষমাই শ্রেষ্ঠ কথা
B
ক্ষমা ছাড়া গুণ নাই
C
ক্ষমাই শ্রেষ্ঠ গুণ
D
ক্ষমা পেতে গুণ চাই
“ক্ষমাহি শ্রেষ্ঠ গুণঃ” একটি নীতিমূলক ও ধর্মনৈতিক সংস্কৃত উক্তি, যা মানবগুণের শ্রেষ্ঠত্বে ক্ষমার অবস্থান নির্দেশ করে। এখানে ক্ষমাকে সর্বোচ্চ নৈতিক মূল্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
-
ক্ষমা: দোষ ক্ষমা করা, দয়াশীলতা বা সহিষ্ণু মনোভাব বোঝায়।
-
হি: এখানে ক্রিয়াপদ হিসেবে “হয়” বা “ই” অর্থে ব্যবহৃত।
-
শ্রেষ্ঠ গুণঃ: অর্থাৎ সর্বোত্তম বা সেরা গুণ।
-
অর্থ: “ক্ষমা হল সর্বোত্তম গুণ”, অর্থাৎ অন্যান্য সকল গুণের মধ্যেও ক্ষমাই সর্বাধিক মহৎ।
-
নৈতিক তাৎপর্য: এটি নীতিশাস্ত্র, ধর্মগ্রন্থ ও সংস্কৃত সাহিত্য জুড়ে পুনঃপুন উল্লেখিত একটি ভাব, যা মানবিকতা, আত্মসংযম ও করুণাবোধের প্রতীক।
-
ভুল বিকল্পসমূহ: “ক্ষমাই শ্রেষ্ঠ কথা” বা “ক্ষমা ছাড়া গুণ নাই” — এই রূপগুলো মূল শব্দার্থ ও ব্যাকরণগত যথার্থতা বজায় রাখে না।
অতএব, বাক্যটির সঠিক অর্থ ও ভাব অনুযায়ী উত্তর হলো — “গ) ক্ষমাই শ্রেষ্ঠ গুণ।”

0
Updated: 1 day ago
অহিংসা শ্রেষ্ঠ ধর্ম- এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
অহিংসা বৃহৎ ধর্মঃ
B
অহিংসাহি পরম ধর্মঃ
C
অহিংসা পরমো ধর্মঃ
D
অহিসাং পরা ধর্মঃ
বাক্যটি “অহিংসা শ্রেষ্ঠ ধর্ম” সংস্কৃত ভাষায় অনুবাদ করলে হয় “অহিংসা পরমো ধর্মঃ”। এটি একটি প্রসিদ্ধ নীতিবাক্য, যা বহু ধর্মগ্রন্থ ও শাস্ত্রে উদ্ধৃত হয়েছে এবং মানবধর্মের সারকথা প্রকাশ করে।
১. অহিংসা অর্থাৎ জীব বা প্রাণীর প্রতি কোনো প্রকার হিংসা না করা, কারো ক্ষতি না করা বা আঘাত না দেওয়া।
২. পরমঃ শব্দের অর্থ “শ্রেষ্ঠ” বা “সর্বোত্তম”।
৩. ধর্মঃ অর্থ নীতি, কর্তব্য বা মানবজীবনের সঠিক পথ।
৪. ফলে “অহিংসা পরমো ধর্মঃ”-এর অর্থ দাঁড়ায় — “অহিংসাই সর্বোত্তম ধর্ম” বা “অহিংসাই মানবতার শ্রেষ্ঠ আদর্শ।”
৫. এই নীতি বৌদ্ধ, জৈন ও হিন্দু ধর্মে সমভাবে গুরুত্ব পেয়েছে; মহাত্মা গান্ধীও অহিংসাকে জীবনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
৬. এই বাক্য মানবসভ্যতার সর্বজনীন নৈতিক আদর্শ হিসেবে আজও প্রাসঙ্গিক।
সঠিক উত্তর: গ) অহিংসা পরমো ধর্মঃ

0
Updated: 1 day ago