উপনিষদের প্রধান বিষয়বস্তু কি?
A
জ্যোতিষ
B
আত্মতত্ত্ব
C
ব্রহ্মবিদ্যা
D
যজ্ঞবিদ্যা
উত্তরের বিবরণ
উপনিষদ হলো প্রাচীন ভারতীয় দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক গ্রন্থসমূহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মূল উদ্দেশ্য আত্মা ও ব্রহ্মের সম্পর্ক উদ্ঘাটন এবং আত্মজ্ঞান অর্জনের পথ নির্দেশ করা। এগুলো বেদের অন্তিম অংশ হিসেবে ‘বেদান্ত’ নামেও পরিচিত।
-
উপনিষদে আত্মা (ব্যক্তিগত সত্তা) ও ব্রহ্ম (সর্বজনীন সত্তা)-এর ঐক্য নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।
-
এর মূল লক্ষ্য মোক্ষ বা মুক্তি, যা আত্ম-জ্ঞান ও ব্রহ্মজ্ঞান দ্বারা লাভ করা সম্ভব বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
এতে ধ্যান, তপস্যা, মনঃসংযম ও জ্ঞানের মাধ্যমে সত্য অনুধাবনের পথ নির্দেশ করা হয়েছে।
-
উপনিষদগুলোর ভাষা মূলত রূপক, সংলাপ ও দার্শনিক বিশ্লেষণমূলক, যা চিন্তাশীল পাঠককে আত্মবিশ্লেষণে উদ্বুদ্ধ করে।
-
যদিও জ্যোতিষ বা যজ্ঞবিদ্যার মতো বিষয় আংশিকভাবে উল্লেখিত, তবে মূল কেন্দ্রবিন্দু আত্মতত্ত্ব বা আত্মদর্শন।
-
এ কারণে উপনিষদকে ভারতীয় দর্শনের ভিত্তি এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানের শ্রেষ্ঠ উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 1 day ago
কিরাত কে?
Created: 1 day ago
A
মহাদেব
B
বনদেবতা
C
যুধিষ্ঠির সখা
D
অর্জুনের সখা
“কিরাত” শব্দটি এখানে বোঝায় ভগবান মহাদেবকে, যিনি অর্জুনের তপস্যা পরীক্ষা করার জন্য শিকারীর রূপে আবির্ভূত হন। “কিরাতার্জুনীয়ম্” মহাকাব্যে (রচয়িতা: ভারবী) এই ঘটনার কাব্যিক চিত্রায়ণ হয়েছে।
১. ‘কিরাত’ শব্দের অর্থ হলো পাহাড়ি বা শিকারী রূপধারী ব্যক্তি, যা এখানে শিবের ছদ্মবেশ নির্দেশ করে।
২. অর্জুন স্বর্গীয় অস্ত্র লাভের উদ্দেশ্যে কঠোর তপস্যা করছিলেন, এবং তাঁর ভক্তি ও সংযম পরীক্ষা করার জন্য শিব কিরাতরূপে তাঁর সামনে উপস্থিত হন।
৩. অর্জুন প্রথমে কিরাতকে সাধারণ শিকারী ভেবে যুদ্ধের আহ্বান জানান, এবং এক কঠিন সংঘর্ষে অবতীর্ণ হন।
৪. দীর্ঘ যুদ্ধের পর অর্জুন শিবের প্রতি প্রণতি জ্ঞাপন করলে শিব তাঁর দিব্য রূপ প্রকাশ করে তাঁকে আশীর্বাদ প্রদান করেন।
৫. এই পরীক্ষার ফলস্বরূপ অর্জুন লাভ করেন শিবের প্রসাদস্বরূপ ‘পাশুপতাস্ত্র’, যা ছিল এক দেবদত্ত মহাস্ত্র।
৬. কিরাতার্জুনীয়ম্ মহাকাব্যের এই কাহিনি ভক্তি, ত্যাগ ও ঈশ্বরপ্রদত্ত শক্তির প্রতীক হিসেবে ভারতীয় সাহিত্য ও পুরাণে চিরস্মরণীয়।
সঠিক উত্তর: ক) মহাদেব

0
Updated: 1 day ago
দুর্বাসা মুনি কে ছিলেন?
Created: 1 day ago
A
সাধক
B
দেবতা
C
শকুন্তলার পালক পিতা
D
অভিশাপদানকারী মুনি
দুর্বাসা মুনি প্রাচীন ভারতের পুরাণ ও সাহিত্যে এক বিখ্যাত ঋষি, যিনি তাঁর কঠোর স্বভাব ও অভিশাপদানের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর চরিত্র বিভিন্ন কাব্য ও নাটকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
দুর্বাসা মুনি ছিলেন এক মহান তপস্বী, যিনি সামান্য অসন্তোষেও রুষ্ট হতেন এবং সঙ্গে সঙ্গে অভিশাপ দিতেন।
-
কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম্’ নাটকে, শকুন্তলা যখন দুষ্যন্তের স্মৃতিতে বিভোর হয়ে দুর্বাসার আগমন উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হন, তখন রুষ্ট ঋষি তাঁকে অভিশাপ দেন যাতে তাঁর স্বামী তাঁকে ভুলে যান।
-
এই অভিশাপের ফলেই নাটকের মূল সংঘাত সৃষ্টি হয় এবং তা গল্পকে গভীর আবেগপূর্ণ ও নাটকীয় মোড়ে নিয়ে যায়।
-
দুর্বাসা মুনির এই আচরণ ভারতীয় সাহিত্যে রাগ ও তপস্যার দ্বন্দ্বের এক প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
বহু পুরাণে তাঁকে মহর্ষি অত্রি ও অনসূয়া-এর পুত্র বলা হয়েছে, যা তাঁর ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় মর্যাদাকে আরও সুদৃঢ় করে।

0
Updated: 1 day ago
ঋনং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ এই বাক্যটির অর্থ কি?
Created: 1 day ago
A
ঋণ নাও ঘি খাও
B
ঋণ দ্বারা ঘি পাওয়া যায়
C
ঋণ করে ঘি খাও
D
ঋণকে ঘৃণা কর
“ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ” এই সংস্কৃত বাক্যটির অর্থ হলো, ঋণ করে হলেও ঘি খাও। এটি একটি প্রাচীন ভারতীয় প্রবাদ যা জীবনযাপনের একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে, যেখানে সুখভোগ বা প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদনের জন্য সাময়িক ঋণ গ্রহণকেও সমর্থন করা হয়েছে।
-
ঋণং কৃত্বা অর্থ — ঋণ করে বা ধার নিয়ে।
-
ঘৃতং পিবেৎ অর্থ — ঘি খাও বা পান করো।
-
প্রবাদটি নির্দেশ করে যে সাময়িক ঋণ গ্রহণ করেও জীবনযাত্রায় প্রয়োজনীয় ভোগ বা আনন্দ থেকে বিরত থাকা উচিত নয়।
-
এটি মূলত ভোগবাদী মনোভাবের প্রতিফলন, যেখানে ভবিষ্যতের চিন্তার চেয়ে বর্তমান সুখকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
-
সমাজে এটি নৈতিক নির্দেশ নয় বরং জীবনের একটি দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে প্রচলিত।
-
এই দৃষ্টিভঙ্গি পরবর্তীকালে চার্বাক দর্শনের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়েছে, যা বস্তুবাদী চিন্তাধারার প্রবক্তা।

0
Updated: 1 day ago