কবিষু কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ - এর অনুবাদ কোনটি?
A
কবি কালিদাস শ্রেষ্ঠ
B
কালিদাস আমাদের বড় কবি
C
কালিদাস ছাড়া কবি নাই
D
কবিদের মধ্যে কালিদাস শ্রেষ্ঠ
উত্তরের বিবরণ
এই উক্তিটি কালিদাসের অসামান্য প্রতিভা ও সাহিত্যকীর্তির স্বীকৃতি প্রকাশ করে। সংস্কৃত সাহিত্যে তাঁর স্থান অনন্য, এবং “কবিষু কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ” বাক্যটি তাঁকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
১. “কবিষু” অর্থ কবিদের মধ্যে, যা একটি সমষ্টিবাচক রূপ।
২. “কালিদাসঃ” দ্বারা বোঝানো হয়েছে মহান সংস্কৃত কবি কালিদাসকে।
৩. “শ্রেষ্ঠঃ” মানে সর্বোত্তম বা উৎকৃষ্টতম, যা তাঁর সাহিত্যমানের সর্বোচ্চ পর্যায়কে নির্দেশ করে।
৪. বাক্যটির অর্থ— “কবিদের মধ্যে কালিদাস শ্রেষ্ঠ”, যা তাঁর কাব্যপ্রতিভার সর্বজনস্বীকৃত অবস্থানকে প্রকাশ করে।
৫. কালিদাসের রচনায় প্রকৃতি, প্রেম, মানবতা ও নন্দনচেতনার গভীর প্রকাশ তাঁকে এই শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।

0
Updated: 23 hours ago
বিদিশা নগরীর পাশ দিয়ে কোন নদী বয়ে গেছে?
Created: 1 day ago
A
সরস্বতী
B
যমুনা
C
বেত্রবর্তী
D
পদ্মা
বিদিশা ছিল মধ্যপ্রদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক নগরী, যার পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বেত্রবতী নদী — বর্তমানের বেত্ওয়া নদী (Betwa River)। এই নদীই ছিল নগরীর প্রধান প্রাণশক্তি ও সাংস্কৃতিক বিকাশের অন্যতম উৎস।
-
অবস্থান: বিদিশা বর্তমান ভোপাল জেলার নিকটে অবস্থিত একটি প্রাচীন নগরী।
-
নদীর পরিচয়: বেত্রবতী নদী পরবর্তীতে বেত্ওয়া নদী নামে পরিচিত হয়।
-
সাহিত্যিক উল্লেখ: ভাসের নাটক “স্বপ্নবাসবদত্তম” ও “প্রতিজ্ঞা যৌগন্ধরায়ণম্”-এ এই নদী ও নগরীর বর্ণনা পাওয়া যায়।
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: বেত্রবতী নদী বিদিশার জীবনধারা, কৃষি, বাণিজ্য ও সৌন্দর্যের ভিত্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
-
রাজপ্রাসাদের অবস্থান: উদয়ন রাজার প্রাসাদ এই নদীর তীরে অবস্থিত ছিল বলে কাহিনিতে উল্লেখ পাওয়া যায়।
তাই বেত্রবতী (বেত্রবর্তী) নদীর সঙ্গে বিদিশার ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিক পরিচিতি গভীরভাবে যুক্ত, এবং সে কারণেই সঠিক উত্তর “গ) বেত্রবতী (বেত্রবর্তী)”।

0
Updated: 1 day ago
প্রধান পুরাণ মোট কতটি?
Created: 1 day ago
A
১২ খানা
B
১৮ খানা
C
৮১ খানা
D
২৪ খানা
হিন্দু ধর্মে ১৮টি প্রধান পুরাণ প্রচলিত, যা ধর্ম, ইতিহাস, নীতি, দর্শন ও সংস্কৃতির এক অমূল্য ভাণ্ডার হিসেবে গণ্য। এই পুরাণসমূহে দেবতা, সৃষ্টি, নৈতিকতা ও মানবজীবনের বিভিন্ন দিক বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে। এগুলো সাধারণত তিন শ্রেণিতে বিভক্ত।
-
সৈব পুরাণ: ভগবান শিবকে কেন্দ্র করে রচিত, যেখানে শিবতত্ত্ব, তপস্যা, যোগ ও ভক্তির গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে।
-
প্রধান সৈব পুরাণ: শিব পুরাণ, লিঙ্গ পুরাণ, স্কন্দ পুরাণ, বায়ু পুরাণ, মার্কণ্ডেয় পুরাণ, ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ ইত্যাদি।
-
-
বৈষ্ণব পুরাণ: ভগবান বিষ্ণু ও তাঁর অবতারদের উপাসনার ওপর ভিত্তি করে।
-
প্রধান বৈষ্ণব পুরাণ: বিষ্ণু পুরাণ, ভাগবত পুরাণ, নারদ পুরাণ, গরুড় পুরাণ, পদ্ম পুরাণ, বরাহ পুরাণ ইত্যাদি।
-
-
শাক্ত পুরাণ: দেবী শক্তি বা আদ্যাশক্তির উপাসনার সঙ্গে সম্পর্কিত, যেখানে শক্তিতত্ত্ব, সৃষ্টি ও প্রলয়ের ধারণা আলোচিত।
-
প্রধান শাক্ত পুরাণ: দেবী ভাগবত পুরাণ, কালিকা পুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ, শাণ্ডিল্য পুরাণ, শিব পুরাণ ইত্যাদি।
-
এই ১৮টি পুরাণ হিন্দু ধর্মের ধর্মনীতি, আচার, পৌরাণিক ইতিহাস, জ্যোতিষ, সৃষ্টিতত্ত্ব ও দর্শন—সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা ও জ্ঞান প্রদান করে, যা আজও ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক জীবন্ত উৎস হিসেবে বিদ্যমান।

0
Updated: 1 day ago
উপনিষদের প্রধান বিষয়বস্তু কি?
Created: 23 hours ago
A
জ্যোতিষ
B
আত্মতত্ত্ব
C
ব্রহ্মবিদ্যা
D
যজ্ঞবিদ্যা
উপনিষদ হলো প্রাচীন ভারতীয় দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক গ্রন্থসমূহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মূল উদ্দেশ্য আত্মা ও ব্রহ্মের সম্পর্ক উদ্ঘাটন এবং আত্মজ্ঞান অর্জনের পথ নির্দেশ করা। এগুলো বেদের অন্তিম অংশ হিসেবে ‘বেদান্ত’ নামেও পরিচিত।
-
উপনিষদে আত্মা (ব্যক্তিগত সত্তা) ও ব্রহ্ম (সর্বজনীন সত্তা)-এর ঐক্য নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।
-
এর মূল লক্ষ্য মোক্ষ বা মুক্তি, যা আত্ম-জ্ঞান ও ব্রহ্মজ্ঞান দ্বারা লাভ করা সম্ভব বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
এতে ধ্যান, তপস্যা, মনঃসংযম ও জ্ঞানের মাধ্যমে সত্য অনুধাবনের পথ নির্দেশ করা হয়েছে।
-
উপনিষদগুলোর ভাষা মূলত রূপক, সংলাপ ও দার্শনিক বিশ্লেষণমূলক, যা চিন্তাশীল পাঠককে আত্মবিশ্লেষণে উদ্বুদ্ধ করে।
-
যদিও জ্যোতিষ বা যজ্ঞবিদ্যার মতো বিষয় আংশিকভাবে উল্লেখিত, তবে মূল কেন্দ্রবিন্দু আত্মতত্ত্ব বা আত্মদর্শন।
-
এ কারণে উপনিষদকে ভারতীয় দর্শনের ভিত্তি এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানের শ্রেষ্ঠ উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 23 hours ago