চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রাচীনতম গ্রন্থ কোনটি?
A
চরকসংহিতা
B
ভেলসংহিতা
C
অষ্টাঙ্গসংগ্রহ
D
আয়ুর্বেদ
উত্তরের বিবরণ
চরকসংহিতা প্রাচীন ভারতের চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক অমূল্য গ্রন্থ, যা আয়ুর্বেদের ভিত্তি স্থাপন করেছে। এই গ্রন্থটি চরক নামে এক প্রখ্যাত ঔষধজ্ঞ দ্বারা রচিত বলে ধারণা করা হয় এবং এটি চিকিৎসাশাস্ত্রের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিকের বিস্তৃত বর্ণনা প্রদান করে।
-
এতে অভ্যন্তরীণ রোগসমূহ, তাদের লক্ষণ ও কারণ, এবং উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে।
-
ঔষধ প্রস্তুতি, প্রয়োগ ও ফলাফল সম্পর্কেও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা প্রাচীন চিকিৎসাবিজ্ঞানের উচ্চমানের প্রমাণ বহন করে।
-
গ্রন্থে আয়ুর্বেদের মূল নীতিমালা, যেমন দেহ, মন ও আত্মার সামঞ্জস্য রক্ষা, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারার প্রভাব ইত্যাদি গুরুত্ব পেয়েছে।
-
চরকসংহিতা পরবর্তীকালে সুশ্রুত সংহিতা ও অষ্টাঙ্গ হৃদয়ম্-এর মতো অন্যান্য আয়ুর্বেদিক গ্রন্থের ভিত্তি স্থাপনেও ভূমিকা রেখেছে।
-
এটি আজও আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শিক্ষার প্রধান প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।

0
Updated: 23 hours ago
পাণ্ডবদের বনবাস জীবন 'কীরাতার্জুনীয়ম' কাব্যের কোন সর্গে উল্লেখিত হয়েছে?
Created: 23 hours ago
A
দ্বিতীয় সর্গ
B
প্রথম সর্গ
C
পঞ্চম সর্গ
D
তৃতীয় সর্গ
সংস্কৃত সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্য “কীরাতার্জুনীয়ম্” মহাকবি ভারবী কর্তৃক রচিত একটি মহাকাব্য। এতে মূলত মহাভারতের একটি পর্ব অবলম্বনে অর্জুনের তপস্যা ও কীরাতরূপী শিবের সঙ্গে যুদ্ধের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
-
এতে পাণ্ডবদের বনবাসকালীন জীবন, তাদের দুঃখ, ত্যাগ ও ধৈর্য গভীরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
-
প্রথম সর্গে পাণ্ডবদের বনবাসের প্রেক্ষাপট ও জীবনযাত্রার কঠোর বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে।
-
অর্জুনের কঠোর তপস্যা ও শিক্ষালাভের প্রক্রিয়া অত্যন্ত কাব্যিক ও মনোমুগ্ধকরভাবে বর্ণিত।
-
এখানে প্রকৃতি, ভক্তি ও বীরত্বের সংমিশ্রণের মাধ্যমে কবি চরিত্রগুলোর মানসিক গভীরতা ফুটিয়ে তুলেছেন।
-
কাব্যের মূল আকর্ষণ হলো অর্জুনের কীরাতরূপী শিবের সঙ্গে যুদ্ধ, যা মানুষের আত্মোন্নয়ন ও দেবত্বপ্রাপ্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

0
Updated: 23 hours ago
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার দশম অধ্যায়ের নাম কি?
Created: 1 day ago
A
জ্ঞানযোগ
B
বিভূতিযোগ
C
অভ্যাসযোগ
D
সাংখ্যযোগ
ভগবদ্গীতার দশম অধ্যায় “বিভূতিযোগ” নামে পরিচিত, যেখানে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর মহিমা, ঐশ্বর্য ও সর্বব্যাপী শক্তির প্রকাশ ব্যাখ্যা করেছেন। এই অধ্যায় ঈশ্বরের সর্বত্র বিরাজমান রূপের দার্শনিক ব্যাখ্যা ও ভক্তির গভীর তাৎপর্য তুলে ধরে।
১. অধ্যায়ের মূল বিষয়: শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জানান যে, জগতে যে কোনো মহানতা, শক্তি, জ্ঞান, সৌন্দর্য বা গুণ—সবই তাঁরই এক অংশ বা “বিভূতি”।
২. বিভূতির অর্থ: “বিভূতি” বলতে বোঝায় ঈশ্বরের দিব্য প্রকাশ বা ঐশ্বর্যময় রূপ, যা সৃষ্টির প্রতিটি ক্ষেত্রে বিরাজমান।
৩. দার্শনিক তাৎপর্য: এখানে শ্রীকৃষ্ণ জগতের সবকিছুতেই নিজের অস্তিত্ব নির্দেশ করে বোঝাতে চান যে, ঈশ্বর সর্বব্যাপী এবং সর্বশক্তিমান।
৪. অধ্যায়ের উদ্দেশ্য: ভক্তদের মনে ঈশ্বরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস জাগানো, যাতে তারা প্রতিটি সৃষ্টিতে ঈশ্বরের রূপ উপলব্ধি করতে শেখে।
৫. মূল ভাবার্থ: এই অধ্যায় মানুষকে শেখায় যে ঈশ্বর কেবল এক স্থানে নন, বরং সমস্ত মহত্ত্ব, সৌন্দর্য ও শক্তির মধ্যেই প্রকাশমান। তাই ভক্তি ও উপলব্ধির মাধ্যমে তাঁর ঐশ্বর্যকে জানা সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
কবিষু কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ - এর অনুবাদ কোনটি?
Created: 23 hours ago
A
কবি কালিদাস শ্রেষ্ঠ
B
কালিদাস আমাদের বড় কবি
C
কালিদাস ছাড়া কবি নাই
D
কবিদের মধ্যে কালিদাস শ্রেষ্ঠ
এই উক্তিটি কালিদাসের অসামান্য প্রতিভা ও সাহিত্যকীর্তির স্বীকৃতি প্রকাশ করে। সংস্কৃত সাহিত্যে তাঁর স্থান অনন্য, এবং “কবিষু কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ” বাক্যটি তাঁকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
১. “কবিষু” অর্থ কবিদের মধ্যে, যা একটি সমষ্টিবাচক রূপ।
২. “কালিদাসঃ” দ্বারা বোঝানো হয়েছে মহান সংস্কৃত কবি কালিদাসকে।
৩. “শ্রেষ্ঠঃ” মানে সর্বোত্তম বা উৎকৃষ্টতম, যা তাঁর সাহিত্যমানের সর্বোচ্চ পর্যায়কে নির্দেশ করে।
৪. বাক্যটির অর্থ— “কবিদের মধ্যে কালিদাস শ্রেষ্ঠ”, যা তাঁর কাব্যপ্রতিভার সর্বজনস্বীকৃত অবস্থানকে প্রকাশ করে।
৫. কালিদাসের রচনায় প্রকৃতি, প্রেম, মানবতা ও নন্দনচেতনার গভীর প্রকাশ তাঁকে এই শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।

0
Updated: 23 hours ago