ঋনং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ এই বাক্যটির অর্থ কি?
A
ঋণ নাও ঘি খাও
B
ঋণ দ্বারা ঘি পাওয়া যায়
C
ঋণ করে ঘি খাও
D
ঋণকে ঘৃণা কর
উত্তরের বিবরণ
“ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ” এই সংস্কৃত বাক্যটির অর্থ হলো, ঋণ করে হলেও ঘি খাও। এটি একটি প্রাচীন ভারতীয় প্রবাদ যা জীবনযাপনের একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে, যেখানে সুখভোগ বা প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদনের জন্য সাময়িক ঋণ গ্রহণকেও সমর্থন করা হয়েছে।
-
ঋণং কৃত্বা অর্থ — ঋণ করে বা ধার নিয়ে।
-
ঘৃতং পিবেৎ অর্থ — ঘি খাও বা পান করো।
-
প্রবাদটি নির্দেশ করে যে সাময়িক ঋণ গ্রহণ করেও জীবনযাত্রায় প্রয়োজনীয় ভোগ বা আনন্দ থেকে বিরত থাকা উচিত নয়।
-
এটি মূলত ভোগবাদী মনোভাবের প্রতিফলন, যেখানে ভবিষ্যতের চিন্তার চেয়ে বর্তমান সুখকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
-
সমাজে এটি নৈতিক নির্দেশ নয় বরং জীবনের একটি দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে প্রচলিত।
-
এই দৃষ্টিভঙ্গি পরবর্তীকালে চার্বাক দর্শনের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়েছে, যা বস্তুবাদী চিন্তাধারার প্রবক্তা।

0
Updated: 1 day ago
"শ্রদ্ধাবান লভতে জ্ঞানম" শ্লোকাংশটি গীতার কোন অধ্যায়ে উল্লেখ আছে?
Created: 1 day ago
A
৪র্থ অধ্যায়
B
৭ম অধ্যায়
C
১০ম অধ্যায়
D
৯ম অধ্যায়
“শ্রদ্ধাবান্ লভতে জ্ঞানম্” শ্লোকাংশটি ভগবদ্গীতার চতুর্থ অধ্যায় অর্থাৎ জ্ঞান–কর্ম–সন্ন্যাস যোগ থেকে গৃহীত, যা মানবজীবনে জ্ঞানলাভের মৌলিক শর্ত হিসেবে শ্রদ্ধা ও ইন্দ্রিয়সংযমের গুরুত্ব প্রকাশ করে।
১. শ্লোকাংশের সূত্র: এটি ভগবদ্গীতার ৪র্থ অধ্যায়ের ৩৯তম শ্লোক—
श्रद्धावान् लभते ज्ञानं तत्परः संयतेन्द्रियः।
ज्ञानं लब्ध्वा परां शान्तिमचिरेणाधिगच्छति॥ (ভগবদ্গীতা ৪.৩৯)
২. বাংলা অনুবাদ: যিনি শ্রদ্ধাশীল, একনিষ্ঠ ও ইন্দ্রিয়সংযমী, তিনিই প্রকৃত জ্ঞান লাভ করেন; আর সেই জ্ঞান প্রাপ্ত হয়ে তিনি শীঘ্রই পরম শান্তি অর্জন করেন।
৩. শব্দার্থ বিশ্লেষণ:
-
শ্রদ্ধাবান্: যে বিশ্বাসী ও ভক্তি–পরায়ণ।
-
লভতে জ্ঞানম্: সে জ্ঞান অর্জন করে।
-
তৎপরঃ: যে একাগ্রচিত্ত ও সাধনায় নিমগ্ন।
-
সংযতে ইন্দ্রিয়ঃ: যার ইন্দ্রিয়সমূহ নিয়ন্ত্রিত।
৪. ভাবার্থ: এখানে শ্রীকৃষ্ণ বোঝাতে চেয়েছেন, সত্য জ্ঞান কেবল বুদ্ধিবৃত্তির দ্বারা অর্জন করা যায় না; এর জন্য প্রয়োজন শ্রদ্ধা, একাগ্রতা ও আত্মসংযম।
৫. আধ্যাত্মিক তাৎপর্য: জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মানুষ অজ্ঞতা, দুঃখ ও মোহ থেকে মুক্ত হয়ে পরম শান্তি লাভ করে, যা গীতার শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য।
৬. মূল উপসংহার: তাই এই শ্লোক প্রমাণ করে যে শ্রদ্ধা ও সংযম ছাড়া জ্ঞানসাধনা অসম্পূর্ণ, এবং এই শিক্ষা ভগবদ্গীতার ৪র্থ অধ্যায়ের মূল সুরের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago
কৃষক খেতে চাষ করছে- এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
কৃষকঃ ক্ষেত্রে কর্ষতি
B
কৃষকাঃ ক্ষেত্রে কর্ষণঃ
C
কৃষকঃ ক্ষেত্রেং কৃষতি
D
কৃষকঃ ক্ষেত্রায় কৃষতি
বাক্যটি “কৃষক খেতে চাষ করছে” এর সংস্কৃত অনুবাদ গঠিত হয় সঠিক কারক ও ক্রিয়াপদ প্রয়োগের মাধ্যমে, যেখানে প্রতিটি পদ নির্দিষ্ট ব্যাকরণগত ভূমিকা পালন করে।
-
কৃষকঃ: কর্তা বা কর্মসম্পাদক, তাই এটি কর্তৃকারক, প্রথমা বিভক্তি, একবচন, পুংলিঙ্গ।
-
ক্ষেতে (ক্ষেত্রে): কাজটি যেখানে সম্পন্ন হচ্ছে, অর্থাৎ অধিকরণ কারক, যা সপ্তমী বিভক্তি দ্বারা প্রকাশিত হয়।
-
কर्षতি: মূল ধাতু “কৃষ্” (চাষ করা) থেকে উৎপন্ন বর্তমানকালের ক্রিয়াপদ, যার অর্থ “চাষ করছে”।
অতএব, ব্যাকরণ অনুযায়ী সঠিক বাক্যগঠন হবে — “कृषकः क्षेत्रे कर्षति” (কৃষকঃ ক্ষেত্রে কর্ষতি), যার অর্থ — “কৃষক খেতে চাষ করছে।”

0
Updated: 1 day ago
গদ্যসাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন কোন বেদে পাওয়া যায়?
Created: 1 day ago
A
ঋগ্বেদে
B
যজুর্বেদে
C
সামবেদে
D
ধনুর্বেদে
ঋগ্বেদ হল চার বেদের মধ্যে প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে প্রামাণ্য ধর্মগ্রন্থ, যা প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতির ভিত্তি স্থাপন করেছে। এতে দেবতা, প্রকৃতি ও মানবজীবনের প্রতি ভক্তি ও দার্শনিক চিন্তার প্রকাশ ঘটেছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
পরিচয়: ঋগ্বেদ হলো প্রাচীনতম বেদ, যা সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
-
বিন্যাস: এটি গদ্য ও ছন্দবদ্ধ স্তোত্র দ্বারা গঠিত।
-
বিষয়বস্তু: মূলত দেবতা ও প্রকৃতির প্রতি স্তোত্র, প্রার্থনা ও ভক্তিগীতি সংবলিত।
-
ধর্মীয় গুরুত্ব: এতে অগ্নি, ইন্দ্র, বরুণ, মিত্র, সূর্য প্রভৃতি দেবতাদের উদ্দেশ্যে স্তোত্র রয়েছে।
-
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য: ঋগ্বেদে ভক্তিমূলক, দার্শনিক ও সামাজিক চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।
-
গদ্যসাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন: এটি ভারতীয় গদ্য ও সাহিত্যিক রচনার সূচনা হিসেবে গণ্য, কারণ এর ভাব, রূপ ও ভাষা পরবর্তীকালের উপনিষদ ও দর্শনগ্রন্থের ভিত্তি স্থাপন করেছে।

0
Updated: 1 day ago