দুর্বাসা মুনি কে ছিলেন?
A
সাধক
B
দেবতা
C
শকুন্তলার পালক পিতা
D
অভিশাপদানকারী মুনি
উত্তরের বিবরণ
দুর্বাসা মুনি প্রাচীন ভারতের পুরাণ ও সাহিত্যে এক বিখ্যাত ঋষি, যিনি তাঁর কঠোর স্বভাব ও অভিশাপদানের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর চরিত্র বিভিন্ন কাব্য ও নাটকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
দুর্বাসা মুনি ছিলেন এক মহান তপস্বী, যিনি সামান্য অসন্তোষেও রুষ্ট হতেন এবং সঙ্গে সঙ্গে অভিশাপ দিতেন।
-
কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম্’ নাটকে, শকুন্তলা যখন দুষ্যন্তের স্মৃতিতে বিভোর হয়ে দুর্বাসার আগমন উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হন, তখন রুষ্ট ঋষি তাঁকে অভিশাপ দেন যাতে তাঁর স্বামী তাঁকে ভুলে যান।
-
এই অভিশাপের ফলেই নাটকের মূল সংঘাত সৃষ্টি হয় এবং তা গল্পকে গভীর আবেগপূর্ণ ও নাটকীয় মোড়ে নিয়ে যায়।
-
দুর্বাসা মুনির এই আচরণ ভারতীয় সাহিত্যে রাগ ও তপস্যার দ্বন্দ্বের এক প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
বহু পুরাণে তাঁকে মহর্ষি অত্রি ও অনসূয়া-এর পুত্র বলা হয়েছে, যা তাঁর ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় মর্যাদাকে আরও সুদৃঢ় করে।

0
Updated: 23 hours ago
অশ্বঘোষ কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন?
Created: 1 day ago
A
হিন্দুধর্ম
B
জৈনধর্ম
C
বৌদ্ধধর্ম
D
মানবধর্ম
অশ্বঘোষ ছিলেন প্রাচীন ভারতের এক বিশিষ্ট কবি, নাট্যকার ও দার্শনিক, যিনি সাহিত্য ও দর্শনের মাধ্যমে বৌদ্ধধর্মের মহাযান শাখার আদর্শ প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর রচনাগুলো বৌদ্ধ চিন্তা, নীতি ও আধ্যাত্মিক আদর্শের কাব্যময় প্রকাশ।
মূল তথ্যসমূহ:
-
পরিচয়: প্রাচীন ভারতের অন্যতম খ্যাতনামা বৌদ্ধ কবি ও চিন্তাবিদ।
-
ধর্মীয় পরিচয়: বৌদ্ধধর্মের অনুসারী এবং মহাযান বৌদ্ধধর্মের প্রধান প্রচারক।
-
প্রধান রচনা:
-
“বুদ্ধচরিত” — বুদ্ধের জীবনীমূলক মহাকাব্য, যেখানে তাঁর জীবন, ত্যাগ ও জ্ঞানপ্রাপ্তির কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।
-
“সৌন্দরানন্দ” — নন্দ ও সুন্দরীর কাহিনির মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মের আধ্যাত্মিক শিক্ষা তুলে ধরা হয়েছে।
-
“সারিপুত্রপ্রকরন” — বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম শিষ্য সারিপুত্রকে কেন্দ্র করে রচিত দার্শনিক গ্রন্থ।
-
-
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য: তাঁর রচনায় কাব্যরস, দর্শন ও নীতিবোধের সংমিশ্রণ দেখা যায়, যা ধর্মীয় আদর্শকে সহজ ও হৃদয়গ্রাহীভাবে প্রকাশ করেছে।
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: অশ্বঘোষের সাহিত্যকর্ম বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার ও দার্শনিক ভাবনার বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছিল এবং প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃত সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।

0
Updated: 1 day ago
যুধিষ্ঠির মহারাজ দুর্যোধনের রাজ্যশাসন অবস্থা জানার জন্য কাকে প্রেরণ করেছিলেন?
Created: 1 day ago
A
অর্জুনকে
B
শিবকে
C
বনেচরকে
D
ভীমকে
মহাভারতের উদ্যোগ পর্বে যুদ্ধের পূর্বে যুধিষ্ঠির দুর্যোধনের রাজ্যনীতি ও প্রশাসনিক অবস্থা জানার জন্য তাঁর এক বিশ্বস্ত গুপ্তচর বনেচরকে হস্তিনাপুরে পাঠান। এই ঘটনার মাধ্যমে যুধিষ্ঠিরের শান্তিপ্রিয় স্বভাব ও কূটনৈতিক দূরদর্শিতা প্রকাশ পায়।
-
যুধিষ্ঠিরের উদ্দেশ্য ছিল দুর্যোধনের রাজনৈতিক মানসিকতা ও রাজ্যের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত সংবাদ সংগ্রহ করা।
-
বনেচর ছিলেন যুধিষ্ঠিরের একজন বিশ্বস্ত গুপ্তচর ও দূত, যিনি রাজদরবারে প্রবেশ করে পরিস্থিতির সঠিক খবর নিয়ে ফিরে আসেন।
-
এই ঘটনা বর্ণিত হয়েছে মহাভারত, উদ্যোগ পর্বে (Mahabharata, Udyoga Parva), যেখানে যুদ্ধের পূর্ববর্তী কূটনৈতিক আলোচনাগুলি বিশদভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
-
যুধিষ্ঠির শুরুতে যুদ্ধ চাননি; তিনি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজতে চেয়েছিলেন। তাই প্রথমে তিনি বনেচরকে তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেন।
-
এই ঘটনা প্রমাণ করে, যুধিষ্ঠির শুধু ধর্মপরায়ণ নন, বরং রাজনৈতিক বিচক্ষণতা ও কূটনৈতিক প্রজ্ঞাতেও তিনি সমানভাবে দক্ষ ছিলেন।

0
Updated: 1 day ago
গীতা এর কোন অধ্যায়ে সর্বাধিক শ্লোক রয়েছে?
Created: 1 day ago
A
প্রথম অধ্যায়
B
দ্বিতীয় অধ্যায়
C
দ্বাদশ অধ্যায়
D
অষ্টাদশ অধ্যায়
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা মোট ১৮টি অধ্যায় নিয়ে গঠিত, যেখানে প্রতিটি অধ্যায় আলাদা যোগ বা দর্শনব্যাখ্যায় নিবেদিত। এর মধ্যে অষ্টাদশ অধ্যায়, অর্থাৎ “মোক্ষসংন্যাস যোগ”, সবচেয়ে দীর্ঘ এবং এতে ৭৮টি শ্লোক রয়েছে।
-
অষ্টাদশ অধ্যায়ে ভগবান কৃষ্ণ অর্জুনকে সংন্যাস, কর্ম, ভক্তি ও মোক্ষের দর্শন বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন।
-
এখানে মানবজীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য— মোক্ষ বা মুক্তি, এবং তা অর্জনের উপায়— কর্মযোগ, জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগের সমন্বয় আকারে উপস্থাপিত হয়েছে।
-
অধ্যায়টি গীতার উপসংহারমূলক অংশ, যেখানে সমগ্র শিক্ষার সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে।
-
বিষয়বস্তু বিস্তৃত ও দার্শনিকভাবে গভীর হওয়ায়, এ অধ্যায়ের শ্লোকসংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
তুলনামূলকভাবে কয়েকটি অধ্যায়ের শ্লোক সংখ্যা:
-
প্রথম অধ্যায়: ৪৭টি — যুদ্ধের সূচনা ও অর্জুনের মানসিক দ্বন্দ্ব
-
দ্বিতীয় অধ্যায়: ৭০টি — আত্মা, কর্ম ও জীবনের মৌলিক তত্ত্ব
-
দ্বাদশ অধ্যায়: ২০টি — ভক্তিযোগের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
-
অষ্টাদশ অধ্যায়: ৭৮টি — সংন্যাস, ভক্তি ও মোক্ষের সর্বাধিক বিশদ আলোচনা
অতএব, গীতার মধ্যে অষ্টাদশ অধ্যায়েই সর্বাধিক শ্লোক রয়েছে, যা গীতার সমাপনী ও সর্বাধিক দার্শনিক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 1 day ago