পঞ্চমবেদ বলা হয় কাকে?
A
ঋকবেদকে
B
শ্রীচণ্ডীকে
C
মহাভারতকে
D
উপনিষদকে
উত্তরের বিবরণ
মহাভারতকে প্রায়ই ‘পঞ্চম বেদ’ বলা হয়, কারণ এটি কেবল একটি মহাকাব্য নয়, বরং মানবজীবনের ধর্ম, নীতি ও সমাজব্যবস্থার দিকনির্দেশও প্রদান করে। চার বেদের পর এটিকে আধ্যাত্মিক ও নৈতিক শিক্ষার উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
-
মহাভারত প্রাচীন ভারতের এক বিশাল মহাকাব্য, যা ব্যাসদেব রচনা করেন।
-
এতে ধর্ম, নীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি ও মানবজীবনের আচরণবিধি বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে।
-
চারটি বেদ (ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ, অথর্ববেদ) পরবর্তীকালে এটি আধ্যাত্মিক জ্ঞানের সম্পূরক হিসেবে স্বীকৃত হয়।
-
মহাভারতের মাধ্যমে কর্ম, জ্ঞান ও ভক্তির সমন্বয় ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
এতে ‘গীতা’-র মতো অনন্য দর্শনমূলক অংশ রয়েছে, যা নৈতিক ও দার্শনিক শিক্ষা প্রদান করে।
-
এ কারণে প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্যে এটি ‘পঞ্চম বেদ’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

0
Updated: 23 hours ago
কৃষক খেতে চাষ করছে- এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
কৃষকঃ ক্ষেত্রে কর্ষতি
B
কৃষকাঃ ক্ষেত্রে কর্ষণঃ
C
কৃষকঃ ক্ষেত্রেং কৃষতি
D
কৃষকঃ ক্ষেত্রায় কৃষতি
বাক্যটি “কৃষক খেতে চাষ করছে” এর সংস্কৃত অনুবাদ গঠিত হয় সঠিক কারক ও ক্রিয়াপদ প্রয়োগের মাধ্যমে, যেখানে প্রতিটি পদ নির্দিষ্ট ব্যাকরণগত ভূমিকা পালন করে।
-
কৃষকঃ: কর্তা বা কর্মসম্পাদক, তাই এটি কর্তৃকারক, প্রথমা বিভক্তি, একবচন, পুংলিঙ্গ।
-
ক্ষেতে (ক্ষেত্রে): কাজটি যেখানে সম্পন্ন হচ্ছে, অর্থাৎ অধিকরণ কারক, যা সপ্তমী বিভক্তি দ্বারা প্রকাশিত হয়।
-
কर्षতি: মূল ধাতু “কৃষ্” (চাষ করা) থেকে উৎপন্ন বর্তমানকালের ক্রিয়াপদ, যার অর্থ “চাষ করছে”।
অতএব, ব্যাকরণ অনুযায়ী সঠিক বাক্যগঠন হবে — “कृषकः क्षेत्रे कर्षति” (কৃষকঃ ক্ষেত্রে কর্ষতি), যার অর্থ — “কৃষক খেতে চাষ করছে।”

0
Updated: 1 day ago
যুধিষ্ঠির মহারাজ দুর্যোধনের রাজ্যশাসন অবস্থা জানার জন্য কাকে প্রেরণ করেছিলেন?
Created: 1 day ago
A
অর্জুনকে
B
শিবকে
C
বনেচরকে
D
ভীমকে
মহাভারতের উদ্যোগ পর্বে যুদ্ধের পূর্বে যুধিষ্ঠির দুর্যোধনের রাজ্যনীতি ও প্রশাসনিক অবস্থা জানার জন্য তাঁর এক বিশ্বস্ত গুপ্তচর বনেচরকে হস্তিনাপুরে পাঠান। এই ঘটনার মাধ্যমে যুধিষ্ঠিরের শান্তিপ্রিয় স্বভাব ও কূটনৈতিক দূরদর্শিতা প্রকাশ পায়।
-
যুধিষ্ঠিরের উদ্দেশ্য ছিল দুর্যোধনের রাজনৈতিক মানসিকতা ও রাজ্যের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত সংবাদ সংগ্রহ করা।
-
বনেচর ছিলেন যুধিষ্ঠিরের একজন বিশ্বস্ত গুপ্তচর ও দূত, যিনি রাজদরবারে প্রবেশ করে পরিস্থিতির সঠিক খবর নিয়ে ফিরে আসেন।
-
এই ঘটনা বর্ণিত হয়েছে মহাভারত, উদ্যোগ পর্বে (Mahabharata, Udyoga Parva), যেখানে যুদ্ধের পূর্ববর্তী কূটনৈতিক আলোচনাগুলি বিশদভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
-
যুধিষ্ঠির শুরুতে যুদ্ধ চাননি; তিনি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজতে চেয়েছিলেন। তাই প্রথমে তিনি বনেচরকে তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেন।
-
এই ঘটনা প্রমাণ করে, যুধিষ্ঠির শুধু ধর্মপরায়ণ নন, বরং রাজনৈতিক বিচক্ষণতা ও কূটনৈতিক প্রজ্ঞাতেও তিনি সমানভাবে দক্ষ ছিলেন।

0
Updated: 1 day ago
"রাজা বিজয়তে" - এই বাক্যে কোন পদবিধান কার্যকর হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
আত্মনেপদবিধান
B
পরস্মৈপদ বিধান
C
কৃদন্তপদ
D
সমাসনিষ্পন্নপদ
“রাজা বিজয়তে” বাক্যটি এমন এক ক্রিয়ার উদাহরণ যেখানে ক্রিয়ার ফল নিজ ক্রেতার ওপরেই বর্তায়। এজন্য এটি আত্মনেপদ বিধান অনুসারে গঠিত।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সঠিক উত্তর: ক) আত্মনেপদ বিধান।
-
মূল ধাতু: √জি (জয় করা)।
-
দুটি রূপ:
-
পরস্মৈপদী রূপ: জয়তি — অর্থ অন্যকে জয় করে।
-
আত্মনেপদী রূপ: বিজয়তে — অর্থ নিজে জয়ী হয় / জয়লাভ করে।
-
-
অর্থগত পার্থক্য:
-
জয়তি-তে ক্রিয়ার ফল অন্যের ওপর বর্তায়।
-
বিজয়তে-তে ক্রিয়ার ফল নিজের মধ্যেই ফিরে আসে।
-
-
উদাহরণ:
-
অর্জুনঃ জয়তি — “অর্জুন অন্যকে জয় করে।”
-
রাজা বিজয়তে — “রাজা নিজে জয়লাভ করেন।”
-
-
ব্যাকরণিক সূত্র (পাণিনী): “স্বার্থে আত্মনেপদম্” — অর্থাৎ যখন ক্রিয়ার ফল নিজের ওপর পড়ে, তখন আত্মনেপদ ব্যবহৃত হয়।
-
ধাতুপাঠ অনুসারে: “বিপরাভ্যাঞ্জেঃ” — অর্থাৎ বি বা পরা উপসর্গযুক্ত √জি ধাতু আত্মনেপদ হয়।
-
ফলত: বি + জি → বিজয়তে, যা আত্মনেপদী রূপ নির্দেশ করে।

0
Updated: 1 day ago