মহাভারতের যুদ্ধে মোট কত অক্ষৌহিণী সৈন্য ছিল?
A
৭ অক্ষৌহিণী
B
১১ অক্ষৌহিণী
C
১৮ অক্ষৌহিণী
D
১০ অক্ষৌহিণী
উত্তরের বিবরণ
মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ ছিল ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ ও স্মরণীয় যুদ্ধ, যেখানে উভয় পক্ষ মিলিয়ে মোট ১৮ অক্ষৌহিণী সৈন্যবাহিনী অংশগ্রহণ করেছিল। এই বিশাল সেনাবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে মানব সভ্যতার প্রাচীনতম ও বৃহত্তম সংঘর্ষগুলোর একটি সৃষ্টি করে।
-
কৌরব পক্ষের সৈন্য সংখ্যা: ১১ অক্ষৌহিণী
-
পাণ্ডব পক্ষের সৈন্য সংখ্যা: ৭ অক্ষৌহিণী
-
একটি অক্ষৌহিণী সেনা বলতে বোঝানো হয় নির্দিষ্ট সংখ্যক রথ, হাতি, অশ্ব ও পদাতিকের সমন্বয়ে গঠিত এক বিশাল বাহিনী, যার মোট সদস্যসংখ্যা প্রায় ২১,৮৭,৮৭০ জন।
-
এই যুদ্ধেই কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে ন্যায় ও অন্যায়ের সংঘর্ষ ঘটে, যা মহাভারতের মূল কাহিনির কেন্দ্রবিন্দু।
-
যুদ্ধের সময় শ্রীকৃষ্ণ পাণ্ডবপক্ষের উপদেষ্টা ও অর্জুনের সারথি হিসেবে ভূমিকা রাখেন, যা পরবর্তীতে ভগবদ্গীতার শিক্ষার সূত্রপাত ঘটায়।

0
Updated: 23 hours ago
পুরাণ সাহিত্যে কতটি লক্ষণের উল্লেখ আছে?
Created: 23 hours ago
A
৭ টি
B
৬ টি
C
৫ টি
D
৪ টি
পুরাণের প্রকৃত স্বরূপ বোঝাতে প্রাচীন পণ্ডিতরা এর নির্দিষ্ট লক্ষণ নির্ধারণ করেছেন, যেগুলোকে সম্মিলিতভাবে “পঞ্চলক্ষণ” বলা হয়। গরুড় পুরাণ ও নরদ পুরাণসহ অন্যান্য পুরাণেও এই পাঁচটি বিষয়ের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা পুরাণকে অন্য সাহিত্যধারা থেকে পৃথক করেছে।
১. সর্গ – ব্রহ্মার দ্বারা বিশ্বসৃষ্টির বর্ণনা, অর্থাৎ মহাবিশ্বের আদিরূপ সৃষ্টিকাহিনী।
২. প্রতিসর্গ – প্রলয়ের পর মহাবিশ্বের পুনঃসৃষ্টি, যা সৃষ্টির চক্রবৃত্ত ধারণাকে প্রকাশ করে।
৩. বংশ – দেবতা, ঋষি ও রাজাদের বংশাবলি, যা ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার বোঝায়।
৪. মন্বন্তর – প্রতিটি মনুর শাসনকাল ও সেই সময়কার গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি, যা যুগ বা পর্বভিত্তিক ইতিহাস তুলে ধরে।
৫. বংশানুচরিত – রাজবংশের বীর, পুণ্যবান ও খ্যাতনামা পুরুষদের কর্মজীবনের বিবরণ, যা নৈতিকতা ও আদর্শের দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপিত।
এই পাঁচটি লক্ষণের উপস্থিতিই পুরাণকে পূর্ণতা দেয় এবং ধর্ম, ইতিহাস ও দর্শনের সমন্বয়ে এক অনন্য সাহিত্যরূপ সৃষ্টি করে।

0
Updated: 23 hours ago
পঞ্চতন্ত্র কে রচনা করেন?
Created: 1 day ago
A
মাঘ
B
ভাস
C
বিষ্ণুশর্মা
D
রাজশেখর বসু
‘পঞ্চতন্ত্র’ (Panchatantra) প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নীতিগ্রন্থ, যার রচয়িতা হলেন আচার্য বিষ্ণুশর্মা (Viṣṇuśarma)। এটি নীতিকথা বা উপকথার মাধ্যমে মানবজীবনের বাস্তব শিক্ষা, বুদ্ধি ও রাজনীতি ব্যাখ্যা করে।
-
বিষ্ণুশর্মা ছিলেন একজন জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ ব্রাহ্মণ, যিনি নীতি ও রাজনীতির শিক্ষক হিসেবে পরিচিত।
-
কিংবদন্তি অনুসারে, রাজা অমরশক্তির তিন অজ্ঞ ও মূর্খ পুত্রকে শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান করে তোলার জন্যই বিষ্ণুশর্মা এই গ্রন্থ রচনা করেন।
-
তিনি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যম হিসেবে গল্প, উপকথা ও প্রাণী চরিত্র ব্যবহার করেন, যাতে শিক্ষাগুলি সহজে মনে রাখা যায়।
-
‘পঞ্চতন্ত্র’ মূলত পাঁচটি তন্ত্র বা বিভাগে বিভক্ত— প্রতিটি অংশে জীবনের নির্দিষ্ট নীতি বা কৌশল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
গ্রন্থটির মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজনীতি, প্রজ্ঞা, কূটনীতি, নৈতিকতা ও বাস্তবজীবনের জ্ঞান প্রদান।
-
এটি কেবল সংস্কৃত সাহিত্যেই নয়, বিশ্বের নানা ভাষায় অনূদিত হয়ে মানবজীবনের এক সর্বজনীন শিক্ষাগ্রন্থে পরিণত হয়েছে।
অতএব, ‘পঞ্চতন্ত্র’-এর রচয়িতা বিষ্ণুশর্মা, যিনি গল্পের মাধ্যমে জীবনের গভীর নীতিবোধ ও বাস্তব শিক্ষা উপস্থাপন করেছেন।

0
Updated: 1 day ago
অশ্বঘোষ কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন?
Created: 1 day ago
A
হিন্দুধর্ম
B
জৈনধর্ম
C
বৌদ্ধধর্ম
D
মানবধর্ম
অশ্বঘোষ ছিলেন প্রাচীন ভারতের এক বিশিষ্ট কবি, নাট্যকার ও দার্শনিক, যিনি সাহিত্য ও দর্শনের মাধ্যমে বৌদ্ধধর্মের মহাযান শাখার আদর্শ প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর রচনাগুলো বৌদ্ধ চিন্তা, নীতি ও আধ্যাত্মিক আদর্শের কাব্যময় প্রকাশ।
মূল তথ্যসমূহ:
-
পরিচয়: প্রাচীন ভারতের অন্যতম খ্যাতনামা বৌদ্ধ কবি ও চিন্তাবিদ।
-
ধর্মীয় পরিচয়: বৌদ্ধধর্মের অনুসারী এবং মহাযান বৌদ্ধধর্মের প্রধান প্রচারক।
-
প্রধান রচনা:
-
“বুদ্ধচরিত” — বুদ্ধের জীবনীমূলক মহাকাব্য, যেখানে তাঁর জীবন, ত্যাগ ও জ্ঞানপ্রাপ্তির কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।
-
“সৌন্দরানন্দ” — নন্দ ও সুন্দরীর কাহিনির মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মের আধ্যাত্মিক শিক্ষা তুলে ধরা হয়েছে।
-
“সারিপুত্রপ্রকরন” — বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম শিষ্য সারিপুত্রকে কেন্দ্র করে রচিত দার্শনিক গ্রন্থ।
-
-
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য: তাঁর রচনায় কাব্যরস, দর্শন ও নীতিবোধের সংমিশ্রণ দেখা যায়, যা ধর্মীয় আদর্শকে সহজ ও হৃদয়গ্রাহীভাবে প্রকাশ করেছে।
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: অশ্বঘোষের সাহিত্যকর্ম বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার ও দার্শনিক ভাবনার বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছিল এবং প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃত সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।

0
Updated: 1 day ago