নিচের কোন দুটি কালিদাসের রচিত?
A
মালবিকাগ্নিমিত্র ও পঞ্চতন্ত্র
B
সৌন্দরনন্দ ও বজ্রসূচী
C
কর্ণভার ও বালচরিত
D
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ ও মেঘদূতম্
উত্তরের বিবরণ
কালিদাস ছিলেন প্রাচীন ভারতের এক অমর প্রতিভা, যিনি সংস্কৃত ভাষায় কাব্য ও নাটকের মাধ্যমে বিশ্বসাহিত্যে অমরত্ব লাভ করেছেন। তাঁর রচনাগুলো প্রাচীন ভারতীয় জীবন, প্রকৃতি, প্রেম ও আধ্যাত্মিক ভাবনা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত।
১. অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ – এটি একটি বিখ্যাত নাটক, যেখানে রাজা দুষ্যন্ত ও শকুন্তলার প্রেমকাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। এতে মানব-প্রেম, বেদনা ও পুনর্মিলনের অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়।
২. মেঘদূত – এটি একটি খণ্ডকাব্য, যেখানে নির্বাসিত এক যক্ষ তার প্রিয়ার কাছে বার্তা পাঠানোর জন্য মেঘকে দূত হিসেবে কল্পনা করে। প্রকৃতি ও প্রেমের অনুপম বর্ণনা এই কাব্যের মূল সৌন্দর্য।
৩. রঘুবংশম্ – একটি মহাকাব্য, যেখানে রঘুবংশের রাজাদের বংশধারা ও তাঁদের বীরত্বের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
৪. কুমারসম্ভবম্ – আরেকটি মহাকাব্য, যা পার্বতী ও শিবের বিবাহ এবং তাঁদের পুত্র কার্তিকেয়ের জন্মকথা নিয়ে রচিত।
৫. তাঁর রচনায় প্রকৃতি, প্রেম, ধর্ম ও নন্দনতত্ত্বের সুষমা প্রকাশ পেয়েছে, যা তাঁকে ভারতীয় সাহিত্যজগতের শ্রেষ্ঠ কবিদের অন্যতম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

0
Updated: 1 day ago
শকুন্তলা নাটকে শকুন্ত শব্দের অর্থ কি?
Created: 1 day ago
A
পাখি
B
শৃগাল
C
শকুনপাখি
D
কুন্তল
কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তল’ নাটকে “শকুন্ত” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “Śakunta” থেকে, যার অর্থ পাখি। এই নামের মাধ্যমে চরিত্রের জন্ম ও পরিবেশের সঙ্গে এক সুন্দর প্রতীকী সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।
-
“শকুন্তলা” শব্দের আক্ষরিক অর্থ — “যিনি শকুন্ত (পাখি) দ্বারা লালিত”।
-
জন্মের পর শকুন্ত মুনি ও বনের পাখিরা তাঁকে আশ্রয় ও স্নেহ দিয়ে লালন করেছিলেন।
-
তাই নাটকের নায়িকার নাম হয়েছে “শকুন্তলা”, অর্থাৎ পাখিদের স্নেহে বেড়ে ওঠা এক কন্যা।
-
নাটকীয় দৃষ্টিতে, নামটি প্রকৃতি, মমতা ও নির্জনতার প্রতীক— বনজীবনের কোমলতার সঙ্গে চরিত্রের মানসিক জগতকে যুক্ত করে।
-
ভুল বিকল্পসমূহের ব্যাখ্যা:
-
গ) কুন্তল শব্দটি চুল বা কেশের অর্থে ব্যবহৃত হয়, শকুন্তলার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
-
খ) শৃগাল (শিয়াল) বা ঘ) শকুনপাখি শব্দের ধ্বনিগত মিল থাকলেও “শকুন্ত” শব্দের প্রকৃত অর্থ পাখি, যা সম্পূর্ণ ভিন্ন তাৎপর্য বহন করে।
-

0
Updated: 1 day ago
কোনটি সঠিক?
Created: 1 day ago
A
উৎ+ছাস=উচ্ছাস
B
উৎ+ শ্বাস-উচ্ছ্বাস
C
উৎ+শাস=উৎশাস
D
উছ+শাস=উচ্ছ্বাস
“উৎ” এবং “শ্বাস” — এই দুটি শব্দ যুক্ত হয়ে গঠিত হয় “উচ্ছ্বাস”, যা প্রবল আনন্দ, উল্লাস বা আবেগের প্রকাশ বোঝায়। শব্দটি সংস্কৃত ব্যুৎপত্তিগত নিয়মে গঠিত এবং মানসিক উৎফুল্লতার স্বাভাবিক প্রকাশকে নির্দেশ করে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
শব্দগঠন: “উৎ + শ্বাস = উচ্ছ্বাস”।
-
“উৎ” এর অর্থ: উর্ধ্বে, উপরে উঠা, বা প্রকাশ পাওয়া।
-
“শ্বাস” এর অর্থ: নিশ্বাস, প্রাণপ্রবাহ, বা ভিতরের উদ্দীপনা।
-
সমাসফল শব্দ: মিলিত হয়ে বোঝায় আবেগ, আনন্দ বা প্রাণোচ্ছলতার প্রকাশ।
-
অর্থ: আনন্দ, উল্লাস, উচ্ছল ভাব বা আবেগের উত্থান।
-
ব্যবহার: “উচ্ছ্বাসে ভরে উঠল মন”, “তার কণ্ঠে আনন্দের উচ্ছ্বাস” — এ ধরনের বাক্যে ব্যবহৃত হয়।
-
অন্য বিকল্পগুলো: গঠন ও অর্থের নিয়ম অনুসারে সঠিক শব্দসংযোগ তৈরি করে না, তাই সেগুলো ভুল।

0
Updated: 1 day ago
'নান্দী' কি?
Created: 1 day ago
A
নাটকের প্রারম্ভে উচ্চারিত মঙ্গলসূচক শ্লোক
B
দেব বন্দনা
C
গীতবাদ্যাদি ক্রিয়া
D
নাটকের সমাপ্তি
প্রাচীন ভারতীয় নাট্যশাস্ত্রে “নান্দী” হলো নাটকের সূচনায় উচ্চারিত এক মঙ্গলসূচক শ্লোক, যা নাটকের শুভারম্ভের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এটি সাধারণত দেবতা, গুরু বা দর্শকদের প্রতি সম্ভাষণ ও আশীর্বাদসূচক প্রার্থনা হিসেবে পাঠ করা হয়।
-
উদ্দেশ্য: নাটকের শুরুতে দেবতাদের কৃপা প্রার্থনা এবং মঞ্চাভিনয়ের সাফল্যের জন্য শুভাশিস প্রার্থনা করা।
-
রূপ ও বিষয়: নান্দী শ্লোক সাধারণত ছন্দোবদ্ধ ও অলঙ্কারপূর্ণ, যেখানে ঈশ্বর বা দেবতার গুণগান করা হয়।
-
অর্থবোধ: এতে নাটকের মূল ভাব বা থিমের ইঙ্গিতও অনেক সময় নিহিত থাকে।
-
নাট্যিক তাৎপর্য: নান্দী কেবল মঙ্গল কামনা নয়; এটি নাটকের আধ্যাত্মিক ও নান্দনিক প্রস্তাবনা হিসেবেও কাজ করে, যা নাটকের আবহ ও গাম্ভীর্য রচনা করে।
-
পরম্পরা: ভারতীয় নাট্যশাস্ত্রকার ভারত মুনি তাঁর “নাট্যশাস্ত্র”-এ নান্দীর গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন, যা পরবর্তীকালে প্রায় সব সংস্কৃত নাট্যকার— যেমন ভাস, কালিদাস, শূদ্রক, ভট্টনারায়ণ প্রমুখ— অনুসরণ করেছেন।
অতএব, নান্দী নাটকের সূচনায় ব্যবহৃত এমন একটি মঙ্গলসূচক শ্লোক, যা নাটকের আধ্যাত্মিক সূচনা ও সৌন্দর্যের ভিত্তি রচনা করে।

0
Updated: 1 day ago