বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডে এবং টেস্ট সিরিজ জয় করে কোন দেশের বিপক্ষে?
A
পাকিস্তান
B
দক্ষিণ আফ্রিকা
C
ভারত
D
জিম্বাবুয়ে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে জিম্বাবুয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী, কারণ এই দেশটির বিপক্ষেই বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ জয় অর্জন করে। নিচে সহজভাবে বিষয়টি সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
-
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সূচনা ১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফির মাধ্যমে।
-
ওয়ানডে স্ট্যাটাস পায় ১৯৯৭ সালে এবং প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলে ১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ পাকিস্তানের বিপক্ষে।
-
প্রথম ওয়ানডে জয় আসে ১৯৯৮ সালের ১৭ মে কেনিয়ার বিপক্ষে।
-
প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয় ঘটে ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
-
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পায় এবং প্রথম টেস্ট খেলে একই বছরের ১০ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে।
-
প্রথম টেস্ট জয় পায় ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
-
প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ও ঘটে একই বছরে, ১০ জানুয়ারি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
-
প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
-
ওয়ানডেতে প্রথম সেঞ্চুরি করেন মেহরাব হোসেন অপি।
-
টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল খান।
বাংলাদেশ নারী দলও ক্রিকেট ইতিহাসে নিজেদের সাফল্য গড়েছে—
-
ওয়ানডে স্ট্যাটাস লাভ করে ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে।
-
এশিয়া কাপ জেতে ২০১৮ সালে।
-
টেস্ট মর্যাদা পায় ২০২১ সালে।
-
প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা হক পিংকি।

0
Updated: 1 day ago
আয়নাঘর কী?
Created: 5 days ago
A
স্বচ্ছ কামরা
B
পরিবেশ বান্ধব কৃষিকাজ
C
গোপন কারাগার
D
একটি হলিউড মুভি
আয়নাঘর বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর গোয়েন্দা শাখার অধীনে পরিচালিত একটি গোপন আটক কেন্দ্র, যা রাজনৈতিক বিরোধী, সরকার-সমালোচক ও সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের আটক রাখার জন্য ব্যবহৃত হতো।
-
পরিচালনা: সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই (Directorate General of Forces Intelligence) এবং কাউন্টার-টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) যৌথভাবে আয়নাঘর পরিচালনা করত।
-
উদ্দেশ্য: সরকার-বিরোধী চক্রান্তে সন্দেহভাজন, সমালোচক, ও ‘চরমপন্থী’ হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের গোপনে আটক রাখা হতো।
-
অবস্থান: এটি ঢাকা সেনানিবাস এলাকায়, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটে অবস্থিত। ভবনটিতে কমপক্ষে ১৬টি কক্ষ রয়েছে, প্রতিটি কক্ষে প্রায় ৩০ জন বন্দি রাখার ক্ষমতা ছিল।
-
পরিদর্শন: ২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশি গণমাধ্যমকর্মী ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শন করেন। তিনি আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরা এলাকার তিনটি স্থানও পরিদর্শন করেন।

0
Updated: 5 days ago
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুসারে, বর্তমানে দেশের গড় আয়ু কত?
Created: 1 week ago
A
৭২.৩ বছর
B
৭৩.২ বছর
C
৭৪.২ বছর
D
৭৪.৬ বছর
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক চিত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। নিচে সেই তথ্যগুলো বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো—
-
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৭১ মিলিয়ন, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধির স্বাভাবিক হার ১.৩৩%, অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে এত শতাংশ হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
-
গড় আয়ু বা প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল বর্তমানে ৭২.৩ বছর; এর মধ্যে পুরুষের আয়ু ৭০.৮ বছর এবং নারীর আয়ু ৭৩.৮ বছর, যা নারীদের দীর্ঘায়ু প্রবণতাকে নির্দেশ করে।
-
মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩৮,৪৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
-
অপরদিকে, মোট আমদানি ব্যয় হয়েছে ৪৪,১০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ফলে আমদানি ব্যয় রপ্তানি আয়ের তুলনায় বেশি।
-
মূল্যস্ফীতির হার ৯.৭৩%, যা জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির একটি ইঙ্গিত দেয়।
-
সাক্ষরতার হার (৭ বছর ও তদূর্ধ্ব) ৭৭.৯%, যা শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রতিফলন।
-
পুরুষ ও নারীর অনুপাত (২০২৩) হলো ৯৬.৩:১০০, অর্থাৎ প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে ৯৬.৩ জন পুরুষ।
-
দারিদ্র্যের হার বর্তমানে ১৮.৭%, যা দেশের দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রকাশ করে।
-
চরম দারিদ্র্যের হার ৫.৬%, যা পূর্বের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) প্রকাশিত “Bangladesh Sample Vital Statistics-2023” প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, দেশের মানুষের গড় আয়ুষ্কাল বর্তমানে ৭২.৩ বছর।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য কয়টি?
Created: 1 week ago
A
৯ (নয়) টি
B
১০ (দশ) টি
C
১১ (এগার) টি
D
১২ (বার) টি
জিআই (GI) বা ভৌগোলিক নির্দেশক হলো এমন একটি স্বীকৃতি যা কোনো পণ্যকে তার উৎপাদনভূমি বা ভৌগোলিক এলাকার সাথে সংযুক্ত করে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে। এটি পণ্যের মান, স্বাতন্ত্র্য এবং উৎস নিশ্চিত করে।
WIPO (World Intellectual Property Organization) হলো সেই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
জিআই এর পূর্ণরূপ হলো Geographical Indication।
-
বাংলাদেশের একাদশ GI পণ্য হলো ফজলি আম, যা দেশের বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত আমের মধ্যে অন্যতম।
-
ফজলি আমের বৈশিষ্ট্য: এটি বাংলাদেশের উৎপাদিত আমের মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতির। ফল গবেষণা ইনস্টিটিউট, রাজশাহীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালে এই আমটি জিআই নিবন্ধন পায়। একক ফজলি আম লম্বায় ১২ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থে ৫ সেন্টিমিটারের বেশি হয়।
-
এর আগে, বাগদা চিংড়ি ২০১৯ সালে জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মাধ্যমে অন্য কোনো দেশ বাগদা চিংড়িকে তাদের পণ্য হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে না। পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর সম্প্রতি এই স্বীকৃতি প্রদান করেছে। জিআই স্বীকৃতির জন্য মৎস্য অধিদফতর মে ২০১৯-এ আবেদন করেছিল।
-
বাংলাদেশের GI পণ্য সমূহ:
১. জামদানি
২. ইলিশ
৩. চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম
৪. বিজয়পুরের সাদা মাটি
৫. দিনাজপুরের কাটারীভোগ
৬. কালিজিরা
৭. রংপুরের শতরঞ্জি
৮. রাজশাহী সিল্ক
৯. ঢাকাই মসলিন
১০. বাগদা চিংড়ি
১১. ফজলি আম

0
Updated: 1 week ago