লাইন-লোগো-পারটিং (LLP) কোন্ ফসলের চাষের সাথে সম্পৃক্ত?
A
ধান
B
ভুট্টা
C
গম
D
আলু
উত্তরের বিবরণ
লাইন-লোগো-পারটিং (LLP) হলো একটি আধুনিক ধান রোপণ কৌশল, যা উৎপাদন বৃদ্ধি ও জমির সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতি শুধুমাত্র ধান চাষের সাথে সম্পৃক্ত।
তথ্যগুলো হলো:
-
লাইন (Line): ধানক্ষেতে চারাগুলোকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে সারি আকারে রোপণ করা হয়, যাতে পরিচর্যা ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।
-
লোগো (Logo) বা পারটিং (Parting): প্রতি ১০ বা ১২টি সারির পর একটি সারি ফাঁকা রাখা হয়, যেটিকে ‘লোগো’ বা ‘পারটিং’ বলা হয়।
-
এই ফাঁকা সারির মাধ্যমে পরিচর্যা, সেচ, আগাছা দমন ও কীটনাশক প্রয়োগ সহজ হয়।
-
LLP পদ্ধতিতে আলো, বাতাস ও পুষ্টি উপাদানের সুষম ব্যবহার হয়, ফলে ধানের ফলন বৃদ্ধি পায়।
উ. (ক) ধান

0
Updated: 1 day ago
আমের হট্ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট (Hot Water Treatment) কেন করা হয়?
Created: 2 days ago
A
আমের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য
B
আমের রং আকর্ষণীয় করার জন্য
C
আমে বিদ্যমান ক্ষতিকর রাসায়নিকের জন্য
D
আমের সংগ্রহোত্তর রোগ দমনের জন্য
আম একটি ক্লাইম্যাক্টেরিক ফল, অর্থাৎ এটি সংগ্রহের পরও প্রাকৃতিকভাবে পাকতে থাকে। তবে এই পর্যায়ে যদি ফলকে উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্র পরিবেশে রাখা হয়, তবে তা সহজেই ছত্রাকজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এসব রোগ দমন ও ফলের গুণগত মান বজায় রাখতে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট (Hot Water Treatment)।
-
রোগ দমন: এই পদ্ধতিতে মূলত অ্যানথ্রাকনোজ (Anthracnose) ও ডিপ্লোডিয়া স্টেম-এন্ড রট (Stem-end Rot) জাতীয় ছত্রাকজনিত রোগের বীজাণু ধ্বংস করা হয়। এসব বীজাণু সাধারণত আমের ত্বকের উপর বা বোঁটার কাছাকাছি সুপ্ত অবস্থায় থাকে এবং ফল পাকার সময় সক্রিয় হয়ে রোগ সৃষ্টি করে।
-
প্রক্রিয়া: ফলগুলোকে ৪৮°–৫৫°C তাপমাত্রার গরম জলে ৫ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত ডুবিয়ে রাখা হয়।
-
এই প্রক্রিয়ায় ফলের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অংশে থাকা ছত্রাক ও রোগজীবাণু ধ্বংস হয়, ফলে ফলের সংরক্ষণকাল বৃদ্ধি পায়।
-
হট ওয়াটার ট্রিটমেন্টে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না, তাই এটি পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত একটি পদ্ধতি।
-
এই প্রযুক্তি শুধু আম নয়, বরং পেঁপে, কলা, সাইট্রাস ও অন্যান্য রপ্তানিযোগ্য ফলেও সফলভাবে ব্যবহার করা হয়।

0
Updated: 2 days ago
ধানের জলবায়ু সচেতন কৃষি অনুশীলনের জন্য কোন্ সেচ পদ্ধতি কার্যকর?
Created: 21 hours ago
A
বিকল্প ভেজানো ও শুকানোর সেচ পদ্ধতি (AWD)
B
বন্যা সেচ (Flood Irrigation)
C
স্প্রিংকলার (Sprinkler Irrigation) সেচ
D
ভূ-গর্তস্থ সেচ (Sub-surface Irrigation)
ধান চাষে বিকল্প ভেজানো ও শুকানোর সেচ পদ্ধতি (AWD - Alternate Wetting and Drying) হলো একটি আধুনিক ও জলবায়ু-সচেতন (Climate Smart) প্রযুক্তি, যা পানির সাশ্রয় ও পরিবেশ সুরক্ষায় অত্যন্ত কার্যকর। এই পদ্ধতিতে জমি সবসময় পানিতে ডুবে থাকে না; বরং নির্দিষ্ট সময় পরপর ভিজিয়ে শুকাতে দেওয়া হয়, তারপর পুনরায় সেচ দেওয়া হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সঠিক উত্তর: ক) বিকল্প ভেজানো ও শুকানোর সেচ পদ্ধতি (AWD)
-
পদ্ধতির ধরণ: জমি একবার ভিজিয়ে কিছুদিন শুকাতে দেওয়া হয়, পরে আবার পানি দেওয়া হয়।
-
পানির সাশ্রয়: পানির ব্যবহার ২৫–৩০% পর্যন্ত কমে যায়।
-
পরিবেশগত প্রভাব: মাটিতে অক্সিজেন প্রবাহ বাড়ায় এবং মিথেন (CH₄) গ্যাস নিঃসরণ কমায়।
-
অর্থনৈতিক সুবিধা: সেচ খরচ কমে ও ফলন বৃদ্ধি পায়।
-
উপসংহার: AWD একটি পরিবেশবান্ধব, পানি-সাশ্রয়ী ও জলবায়ু-সহনশীল ধান চাষ প্রযুক্তি।

0
Updated: 21 hours ago
বাংলাদেশে কোন্ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশী পেয়াজ চাষ হয়?
Created: 21 hours ago
A
কুমিল্লা
B
দিনাজপুর
C
ফরিদপুর
D
পটুয়াখালী
বাংলাদেশে পেঁয়াজ চাষ মূলত কিছু নির্দিষ্ট জেলায় বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে। এই অঞ্চলগুলো দেশের মোট পেঁয়াজ উৎপাদনের বড় অংশ সরবরাহ করে এবং কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
শীর্ষ উৎপাদন জেলা: পাবনা
-
অন্যান্য প্রধান জেলা: ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এবং মাগুরা
-
দেশের মোট উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি আসে পাবনা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলা থেকে
-
পাবনা ও ফরিদপুর পেঁয়াজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে শীর্ষ দুই জেলা হিসেবে পরিচিত
-
প্রশ্নে প্রদত্ত অপশন অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয় এমন জেলা হলো গ) ফরিদপুর

0
Updated: 21 hours ago