উফসী ধানের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একে দেশীয় জাত থেকে আলাদা করে। এই ধান সাধারণত উচ্চ ফলনশীল ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির উপযোগী।

তথ্যগুলো হলো:

1. গাছ খাটো, ফলে বাতাসে সহজে পড়ে না।

2. কান্ড মজবুত, যা ভার বহনে সক্ষম।

3. পাতা খাড়া, ফলে সূর্যের আলো সহজে প্রবেশ করে।

4. ফলন বেশি, উৎপাদনশীলতা অন্যান্য জাতের তুলনায় উন্নত।

5. বেশি সার ও পানি প্রয়োজন, অর্থাৎ এরা পুষ্টি-নির্ভর।

6. জীবনকাল কম, দ্রুত পরিপক্ব হয়।

7. রোগ-পোকা প্রতিরোধী, ফলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম।

8. ফটো-ইনসেন্সিটিভ, অর্থাৎ দিনের দৈর্ঘ্যে প্রভাবিত নয়।

উ. (ঘ)

পেঁয়াজের কন্দ বা বাল্ব গঠনে আলো বা দিনের দৈর্ঘ্য (Photoperiod) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের বৃদ্ধির ধাপ ও গুণগত মান উভয়ের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।

প্রধান তথ্যগুলো হলো:

• সঠিক উত্তর: ঘ) স্বল্প দিনের অবস্থা (Short Day Length)

• বাল্ব গঠনের শর্ত: পেঁয়াজের কন্দ তৈরি হতে নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের দিনের প্রয়োজন হয়।

• স্বল্প দিনের জাত: এই জাতগুলো কম আলো বা শীতকালের মতো স্বল্প দিনের অবস্থায় ভালোভাবে বাল্ব তৈরি করে।

• দীর্ঘ দিনের প্রভাব: দিনের দৈর্ঘ্য বেশি হলে বাল্ব গঠনের পরিবর্তে ফুল আসার (Bolting) প্রবণতা বাড়ে, ফলে কন্দের গুণগত মান কমে যায়।

• উপসংহার: পেঁয়াজের উচ্চমানের কন্দ উৎপাদনের জন্য স্বল্প দিনের অবস্থা সবচেয়ে অনুকূল।

কৃষিক্ষেত্রে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে মিথেন (CH₄), যা মূলত ধানচাষ ও গবাদিপশুর হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্গত হয়।

তথ্যগুলো হলো:

1. ধানক্ষেতে জলের নিচে অবায়বিক অবস্থায় জৈব পদার্থের পচন থেকে মিথেন গ্যাস তৈরি হয়।

2. গবাদিপশুর জাবর কাটার সময় হজম প্রক্রিয়ায়ও মিথেন নির্গত হয়।

3. কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂) মূলত জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্টি হয়।

4. নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O) কিছুটা পরিমাণে সার প্রয়োগ থেকে নির্গত হয়, তবে মোট পরিমাণে CH₄ সবচেয়ে বেশি।

5. CFC (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন) আসে শিল্প ও রেফ্রিজারেন্ট থেকে, কৃষি থেকে নয়।

অতএব, গ্রিনহাউস গ্যাসের মধ্যে প্রধান হলো CO₂, কিন্তু কৃষিক্ষেত্রে প্রধান হলো মিথেন (CH₄)।