হাইব্রিড ধানের প্রধান সমস্যা কোনটি?
A
চারা ছোট হয়
B
জীবনকাল তুলনামূলক কম
C
জীবঙ্কালে সার বেশী প্রয়োগ করতে হয়
D
বীজ উৎপাদন জটিল
উত্তরের বিবরণ
হাইব্রিড ধান এমন এক প্রকার উন্নত ধান যা দুটি ভিন্ন বংশগত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ধানের সংকরায়ণ বা ক্রসব্রিডিং এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়। এর ফলে উৎপন্ন হয় প্রথম প্রজন্মের (F1) বীজ, যা উচ্চ ফলনশীল ও শক্তিশালী বৃদ্ধি প্রদর্শন করে।
-
হাইব্রিড ধানের মূল উদ্দেশ্য হলো ফলনের পরিমাণ বৃদ্ধি ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা।
-
এতে হেটেরোসিস (Heterosis) বা সংকর বল দেখা যায়, যার ফলে উদ্ভিদ সাধারণ জাতের তুলনায় বেশি উৎপাদন দেয়।
-
F1 প্রজন্মের বীজ-ই হাইব্রিড ধানের জন্য ব্যবহৃত হয়, কারণ পরবর্তী প্রজন্ম (F2)-এ একই গুণাবলী ও ফলন বজায় থাকে না।
-
তাই কৃষকরা প্রতি বছর নতুন হাইব্রিড বীজ কিনে চাষ করতে বাধ্য হন।
-
এই পদ্ধতিতে ধান উৎপাদন খরচ কিছুটা বেশি হলেও ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি কৃষিপদ্ধতি।

0
Updated: 1 day ago
কলা উদ্ভিদের প্রকৃত কান্ড কি ধরণের?
Created: 21 hours ago
A
গুল্ম (Shrub)
B
ছদ্মকাণ্ড (Pseudo stem)
C
গুড়িকান্ড (Woody Trunk)
D
গুড়িকান্ড (Woody Trunk)
কলা গাছের যে অংশটিকে সাধারণভাবে কান্ড বলে মনে করা হয়, সেটি প্রকৃতপক্ষে আসল কান্ড নয়, বরং পাতার খোলের ঘনভাবে জড়ানো অংশ। এই অংশটিকেই বলা হয় ছদ্মকাণ্ড (Pseudostem), যা উদ্ভিদকে দৃঢ়ভাবে সোজা অবস্থানে রাখে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সঠিক উত্তর: খ) ছদ্মকাণ্ড (Pseudostem)
-
গঠন: এটি পাতার খোল (Leaf sheath) গুলো একে অপরের চারপাশে শক্তভাবে জড়িয়ে তৈরি হয়।
-
কাজ: উদ্ভিদকে সমর্থন দেওয়া এবং পাতাগুলোকে উপরে ধরে রাখা।
-
প্রকৃত কান্ড: মাটির নিচে অবস্থান করে এবং একে বলা হয় রাইজোম (Rhizome); এখান থেকেই নতুন শাখা ও মূল গজায়।
-
উপসংহার: কলার দৃশ্যমান “কাণ্ড” আসলে ছদ্মকাণ্ড, আর প্রকৃত কান্ড মাটির নিচে রাইজোম আকারে থাকে।

0
Updated: 21 hours ago
সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়?
Created: 2 days ago
A
ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়
B
মাটির রং
C
বাতাসের তাপমাত্রা
D
বাতাসের আদ্রতা
সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি বা কত ঘন ঘন সেঁচ দিতে হবে তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়। কারণ সেচের প্রয়োজন সরাসরি নির্ভর করে উদ্ভিদের জলের চাহিদা এবং মাটির জলধারণ ক্ষমতার ওপর।
-
প্রতিটি ফসলের জলের চাহিদা ভিন্ন। যেমন, ধান চাষে প্রচুর পানি লাগে, অন্যদিকে শুষ্ক সহনশীল ফসল (যেমন গম বা মসুর) তুলনামূলকভাবে কম পানিতেও বেঁচে থাকতে পারে।
-
উদ্ভিদের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে সেচের প্রয়োজন পরিবর্তিত হয়। যেমন, ধানের Tillering stage ও Milk-dough stage-এ পর্যাপ্ত পানি অপরিহার্য।
-
বীজ রোপণের পর, ফুল ফোটার সময় (Flowering stage) এবং ফল ধরার সময় (Fruit set stage) ফসলের জলের চাহিদা সর্বাধিক হয়, তাই এ সময়ে সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়াতে হয়।
-
অপরদিকে, পরিপক্বতার (Maturity) কাছাকাছি এলে উদ্ভিদের পানির চাহিদা কমে যায়, ফলে সেচের ফ্রিকোয়েন্সিও কমানো হয়।
-
সেচ ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে নির্ধারণ করতে ফসলের ধরণ, বৃদ্ধির পর্যায়, মাটির গঠন ও আবহাওয়া—সবগুলো বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়।
অতএব, সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণে ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়ই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 2 days ago
ফটোসেন্সেটিভ (Photo-sensitive) ধানের জাত হল?
Created: 1 day ago
A
ব্রি-ধান ২৮
B
ব্রি-ধান ৪৮
C
তুলসীমালা
D
বিনা ধান ২৫
ফটোসেন্সেটিভ (Photo-sensitive) বা আলোক-সংবেদনশীল ধান হলো সেই ধানজাত, যার ফুল আসা (heading) ও ফসল পরিপক্বতার সময়কাল দিনের আলোর দৈর্ঘ্যের (photoperiod) ওপর নির্ভর করে।
-
এই ধান সাধারণত আমন মৌসুমে চাষ করা হয়, কারণ এই সময়ে দিনের দৈর্ঘ্য ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, যা ফুল ফোটার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে।
-
দিনের আলোর পরিবর্তনে উদ্ভিদের হরমোনজনিত প্রতিক্রিয়া (photoperiodic response) সক্রিয় হয়, ফলে ফুল আসার প্রক্রিয়া দ্রুত ঘটে।
-
এই ধরনের ধানের চাষে মৌসুমি আলোকমাত্রা ও সময় নির্ধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আলোর দৈর্ঘ্য অনুপযুক্ত হলে ধান সময়মতো ফুল দেয় না।
-
বাংলাদেশের বিখ্যাত ফটোসেন্সেটিভ ধানজাতগুলির মধ্যে রয়েছে তুলসীমালা, বিআর২২ (BR22) এবং বিআর২৩ (BR23), যেগুলো মূলত আমন মৌসুমের উপযোগী।
-
এই জাতগুলো প্রবল আলোক-সংবেদনশীল, তাই রোপণের সময় ঠিক না হলে ফুল আসা ও ফলন উভয়েই প্রভাবিত হয়।
অতএব, ফটোসেন্সেটিভ ধান হলো এমন ধানজাত, যার ফুল ফোটার সময় দিনের আলোর দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।

0
Updated: 1 day ago