ঋক্ শব্দের অর্থ কি?
A
মন্ত্র
B
মণ্ডল
C
উচ্চারণ
D
ঋষির উক্তি
উত্তরের বিবরণ
সংস্কৃত শব্দ “ঋক্” (ऋक्) এসেছে “ঋচ্” ধাতু থেকে, যার অর্থ স্তব বা প্রশংসা। এটি বিশেষভাবে ঋগ্বেদের স্তোত্র বা মন্ত্র বোঝাতে ব্যবহৃত হয় এবং বৈদিক সাহিত্যের অন্যতম প্রাথমিক উপাদান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
১. “ঋক্” শব্দের অর্থ — মন্ত্র, স্তবক বা প্রশংসাবাক্য, যা কোনো দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত।
২. প্রতিটি ঋক্ একটি স্বতন্ত্র স্তবক, যেখানে প্রার্থনা, কীর্তন বা ধ্যানের মাধ্যমে দেবতার আরাধনা করা হয়।
৩. ঋগ্বেদ, যা চার বেদের প্রথম ও প্রাচীনতম, এই ঋক্গুলোর সংকলন, যেখানে দেবতাদের উদ্দেশ্যে রচিত ১০,০০০-এরও বেশি মন্ত্র রয়েছে।
৪. এই মন্ত্রগুলো অগ্নি, ইন্দ্র, বরুণ, সোম, উষা প্রভৃতি দেবতার প্রশংসায় নিবেদিত।
৫. “ঋক্” শব্দটি তাই শুধু ধর্মীয় পাঠ নয়, বরং প্রাচীন আর্য সমাজের আধ্যাত্মিকতা, জ্ঞান ও কাব্যিক রচনার প্রতিফলন।
অতএব, “ঋক্” মানে সেই স্তবক বা মন্ত্র, যা দেবতার উদ্দেশ্যে রচিত ও পাঠিত হয়—ঋগ্বেদের মূল ভিত্তি।

0
Updated: 1 day ago
শ্রীম্ভগবদ্গীতা শব্দের অর্থ কি?
Created: 1 day ago
A
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা কথিত
B
ভগবান কর্তৃক গীত
C
ভগবানের সংকেত
D
ভগবান ও অর্জুনের প্রশ্নোত্তর
“শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা” শব্দটি একটি সমাসবদ্ধ সংস্কৃত শব্দ, যা তিনটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত — শ্রীমৎ + ভগবৎ + গীতা। এই সমাসের মাধ্যমে গ্রন্থটির শ্রদ্ধা, ঐশ্বর্য ও ঐশী উৎস একত্রে প্রকাশ পেয়েছে।
-
শ্রীমৎ (श्रीमत्): অর্থ “মহিমান্বিত”, “গৌরবময়” বা “শ্রদ্ধেয়” — এটি ভগবানের গৌরবসূচক বিশেষণ।
-
ভগবৎ (भगवत्): অর্থ “ভগবান” বা “ঈশ্বর”, বিশেষত এখানে শ্রীকৃষ্ণ নির্দেশ করছে।
-
গীতা (गीता): ধাতু √গৈ (গাইতে বা বলতে) থেকে উৎপন্ন, অর্থ “গাওয়া” বা “বলা কথা”।
অতএব, শব্দটির পূর্ণ অর্থ হয় — “ভগবান কর্তৃক গীত বাণী” বা “ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত উপদেশ”, যা মহাভারতের ভীষ্ম পর্বের অন্তর্গত এক অনন্য আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক গ্রন্থ।

0
Updated: 1 day ago
অনসূয়া শব্দের অর্থ কি?
Created: 1 day ago
A
যাঁর হিংসা নেই
B
যাঁর লজ্জা নেই
C
যাঁর চপলতা নেই
D
যাঁর অর্থ নেই
“অনসূয়া” শব্দটি সংস্কৃত উৎস থেকে আগত, যা মানুষের এক মহৎ ও পবিত্র গুণ নির্দেশ করে। শব্দটির গঠনে নিহিত অর্থ থেকেই এর নৈতিক ও চারিত্রিক তাৎপর্য স্পষ্ট হয়।
১. শব্দগঠন: “অন্” উপসর্গের অর্থ ‘নেই’, আর “সুয়া” বা “সূয়া” ধাতুর অর্থ ‘ঈর্ষা’ বা ‘হিংসা’।
২. শব্দার্থ: “অন্ + সূয়া” = “অনসূয়া”, অর্থাৎ যাঁর মধ্যে হিংসা বা ঈর্ষা নেই।
৩. অর্থবোধ: এই শব্দটি এমন ব্যক্তিকে বোঝায়, যিনি সহিষ্ণু, উদার, শান্ত ও পরের সুখে আনন্দিত হন।
৪. নৈতিক তাৎপর্য: প্রাচীন ভারতীয় দর্শন ও পুরাণে “অনসূয়া” গুণটি এক মহৎ চরিত্রের নিদর্শন হিসেবে উল্লেখিত; এটি ঈর্ষামুক্ত মন ও পরোপকারী চিত্তের প্রতীক।
৫. সাংস্কৃতিক প্রয়োগ: পুরাণে অনসূয়া মুনি অত্রির পত্নী হিসেবে প্রসিদ্ধ, যিনি নিজের সতীত্ব, করুণা ও বিনয়ের জন্য সম্মানিত; তাঁর নাম থেকেই গুণটির আদর্শ প্রকাশিত হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
শকুন্তলা নাটকে শকুন্ত শব্দের অর্থ কি?
Created: 1 day ago
A
পাখি
B
শৃগাল
C
শকুনপাখি
D
কুন্তল
কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তল’ নাটকে “শকুন্ত” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “Śakunta” থেকে, যার অর্থ পাখি। এই নামের মাধ্যমে চরিত্রের জন্ম ও পরিবেশের সঙ্গে এক সুন্দর প্রতীকী সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।
-
“শকুন্তলা” শব্দের আক্ষরিক অর্থ — “যিনি শকুন্ত (পাখি) দ্বারা লালিত”।
-
জন্মের পর শকুন্ত মুনি ও বনের পাখিরা তাঁকে আশ্রয় ও স্নেহ দিয়ে লালন করেছিলেন।
-
তাই নাটকের নায়িকার নাম হয়েছে “শকুন্তলা”, অর্থাৎ পাখিদের স্নেহে বেড়ে ওঠা এক কন্যা।
-
নাটকীয় দৃষ্টিতে, নামটি প্রকৃতি, মমতা ও নির্জনতার প্রতীক— বনজীবনের কোমলতার সঙ্গে চরিত্রের মানসিক জগতকে যুক্ত করে।
-
ভুল বিকল্পসমূহের ব্যাখ্যা:
-
গ) কুন্তল শব্দটি চুল বা কেশের অর্থে ব্যবহৃত হয়, শকুন্তলার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
-
খ) শৃগাল (শিয়াল) বা ঘ) শকুনপাখি শব্দের ধ্বনিগত মিল থাকলেও “শকুন্ত” শব্দের প্রকৃত অর্থ পাখি, যা সম্পূর্ণ ভিন্ন তাৎপর্য বহন করে।
-

0
Updated: 1 day ago