মেঘদূতম্ কাব্যে যক্ষ এর নাম উল্লেখ কেন করা হয়নি?
A
যক্ষ কতব্যকর্ম পালন করে নাই
B
যক্ষ পত্নীর প্রেমে বিভোর ছিল
C
যক্ষ অভিশপ্ত ছিল বলে
D
যক্ষ পূজনীয় ছিল বলে
উত্তরের বিবরণ
কালিদাসের “মেঘদূত” কাব্যে যক্ষকে এক অভিশপ্ত ও নির্বাসিত চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যিনি প্রিয়ার বিচ্ছেদে গভীর বেদনা অনুভব করছেন। কবি তাঁর নাম উল্লেখ করেননি, কারণ এই নামহীনতা কাব্যের আবেগ, রহস্য ও সার্বজনীনতা আরও গভীর করে তুলেছে।
-
যক্ষের চরিত্র: তিনি স্বর্গীয় কুবেরের পরিচারক, যিনি কর্তব্যে অবহেলার কারণে এক বছর নির্বাসনের দণ্ড পান।
-
অভিশাপের তাৎপর্য: এই অভিশাপই কাব্যের মূল আবেগ— বিরহ ও প্রত্যাশার উৎস। নির্বাসিত অবস্থায় যক্ষ প্রেমিকা যক্ষিণীর প্রতি গভীর আকুলতায় মেঘকে দূতরূপে পাঠান।
-
নামহীনতার উদ্দেশ্য: কালিদাস যক্ষের নাম না দিয়ে তাঁর চরিত্রকে সর্বজনীন প্রেম ও বেদনার প্রতীক করেছেন; ফলে পাঠক তাঁর অনুভূতির সঙ্গে সহজে একাত্ম হতে পারে।
-
আবেগীয় গভীরতা: কাব্যের প্রতিটি অংশে যক্ষের প্রেম, অনুতাপ, আশা ও স্মৃতির বেদনামিশ্রিত সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে।
-
কেন্দ্রীয় ভাব: পুরো কাব্যের মূল সুর হলো — বিরহবেদনার মধ্যেও প্রেমের অমরতা।
অতএব, কালিদাস যক্ষের মাধ্যমে কেবল এক ব্যক্তির কাহিনি নয়, বরং প্রেম ও বেদনার সার্বজনীন মানবিক অভিজ্ঞতাকেই কাব্যে রূপ দিয়েছেন।

0
Updated: 1 day ago
"মন্দাক্রান্তা" ছন্দে রচিত কাব্য কোনটি?
Created: 1 day ago
A
রঘুবংশম
B
রাজতরঙ্গিনী
C
মেঘদূতম্
D
সকসপ্ততিকথা
“মেঘদূতম্” একটি অমর খণ্ডকাব্য, রচয়িতা মহান সংস্কৃত কবি কালিদাস। এটি তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি এবং সংস্কৃত সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ প্রেমবিরহমূলক কাব্যগুলোর মধ্যে অন্যতম।
-
কাব্যের প্রকৃতি: এটি একটি খণ্ডকাব্য, যেখানে এক নির্বাসিত যক্ষ তার প্রিয় স্ত্রীর কাছে বার্তা পাঠায় এক মেঘের মাধ্যমে।
-
ছন্দ: কাব্যটি রচিত হয়েছে মন্দাক্রান্তা ছন্দে, যা তার মধুর, কোমল ও সুরেলা গতির জন্য বিখ্যাত। এই ছন্দ প্রেম, বেদনা ও বিরহের আবেগ প্রকাশে বিশেষভাবে উপযুক্ত।
-
মূল ভাব: কাব্যে যক্ষের প্রিয়ার প্রতি গভীর ভালোবাসা, বিচ্ছেদের বেদনা এবং প্রকৃতির মাধ্যমে তার অনুভূতির কাব্যিক রূপ ফুটে উঠেছে।
-
সাহিত্যিক মাহাত্ম্য: “মেঘদূতম্” কেবল প্রেম ও বিরহের কাব্য নয়; এটি মানব-মন, প্রকৃতি ও কল্পনার এক অনুপম সংলাপ, যা কালিদাসকে “কবিকুলগুরু” হিসেবে অমর করেছে।

0
Updated: 1 day ago
পাণ্ডবদের বনবাস জীবন 'কীরাতার্জুনীয়ম' কাব্যের কোন সর্গে উল্লেখিত হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
দ্বিতীয় সর্গ
B
প্রথম সর্গ
C
পঞ্চম সর্গ
D
তৃতীয় সর্গ
সংস্কৃত সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্য “কীরাতার্জুনীয়ম্” মহাকবি ভারবী কর্তৃক রচিত একটি মহাকাব্য। এতে মূলত মহাভারতের একটি পর্ব অবলম্বনে অর্জুনের তপস্যা ও কীরাতরূপী শিবের সঙ্গে যুদ্ধের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
-
এতে পাণ্ডবদের বনবাসকালীন জীবন, তাদের দুঃখ, ত্যাগ ও ধৈর্য গভীরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
-
প্রথম সর্গে পাণ্ডবদের বনবাসের প্রেক্ষাপট ও জীবনযাত্রার কঠোর বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে।
-
অর্জুনের কঠোর তপস্যা ও শিক্ষালাভের প্রক্রিয়া অত্যন্ত কাব্যিক ও মনোমুগ্ধকরভাবে বর্ণিত।
-
এখানে প্রকৃতি, ভক্তি ও বীরত্বের সংমিশ্রণের মাধ্যমে কবি চরিত্রগুলোর মানসিক গভীরতা ফুটিয়ে তুলেছেন।
-
কাব্যের মূল আকর্ষণ হলো অর্জুনের কীরাতরূপী শিবের সঙ্গে যুদ্ধ, যা মানুষের আত্মোন্নয়ন ও দেবত্বপ্রাপ্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
'মেঘদূতম' কাব্যে মেঘের গতিপথ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
অলকা থেকে রামগিরি
B
কাশ্মীর থেকে পাঞ্জাব
C
হরিয়ানা থেকে দিল্লী
D
রামগিরি থেকে অলকা
কালিদাসের “মেঘদূত” কাব্যে এক নির্বাসিত যক্ষ তার প্রিয় স্ত্রীর কাছে বার্তা পাঠাতে একটি মেঘকে দূত হিসেবে প্রেরণ করে। এই কাব্যের মূল কাহিনি মেঘের যাত্রাপথ ও সেই যাত্রার কাব্যময় বর্ণনাকে কেন্দ্র করে গঠিত।
-
যক্ষের অবস্থা: দেবরাজ কুবেরের অভিশাপে যক্ষ রামগিরি পর্বতে নির্বাসিত জীবনযাপন করছিল।
-
দূত প্রেরণ: প্রিয় স্ত্রীর প্রতি গভীর ভালোবাসায় তিনি এক শুভ মেঘকে দূত রূপে কল্পনা করেন এবং তাকে বার্তা প্রেরণের অনুরোধ জানান।
-
রামগিরি: এটি যক্ষের নির্বাসনস্থল, মধ্যভারতের এক পর্বতাঞ্চল, যেখানে যক্ষের একাকিত্ব ও বিরহচেতনা ফুটে ওঠে।
-
অলকা: যক্ষের স্ত্রীর বাসস্থান, যা কৈলাস পর্বতের নিকটে স্বর্গীয় অলকানগর নামে পরিচিত।
-
মেঘের যাত্রা: মেঘটি রামগিরি থেকে অলকা পর্যন্ত দীর্ঘ পথে যাত্রা করে, আর সেই পথে পর্বত, নদী, বনভূমি, নগর ও ঋতুচিত্রের মনোরম বর্ণনা কবি সুচারুভাবে অঙ্কন করেছেন।
-
কাব্যের সৌন্দর্য: এই যাত্রাপথের বর্ণনায় প্রকৃতি, প্রেম ও বিরহের মিশ্র অনুভূতি মূর্ত হয়ে উঠেছে, যা “মেঘদূত”কে কালিদাসের এক অমর কাব্যরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

0
Updated: 1 day ago