রাজা উদয়নের রাজ্যের নাম কি?
A
উত্তরাখণ্ড
B
কাশ্মীর
C
বৎস রাজ্য
D
দণ্ডকারণ্য
উত্তরের বিবরণ
“স্বপ্নবাসবদত্তম” একটি প্রখ্যাত সংস্কৃত নাটক, যার নায়ক রাজা উদয়ন, এবং নাটকের প্রধান প্রেক্ষাপট হলো বৎস রাজ্য। এই রাজ্যকেই নাটকের কাহিনির কেন্দ্রস্থল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
১. রাজ্যের পরিচয়: বৎস রাজ্য ছিল প্রাচীন ভারতের এক সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী রাজ্য, যার রাজধানী ছিল কৌশাম্বী।
২. নায়ক উদয়ন: রাজা উদয়ন ছিলেন বৎসরাজ্যের শাসক—বীর, রসিক ও কাব্যপ্রেমী রাজা, যিনি বীণাবাদন ও কূটনৈতিক দক্ষতার জন্য পরিচিত।
৩. নাট্যের কাহিনি: কাহিনিটি উদয়ন ও বাসবদত্তার প্রেম এবং রাজনীতির সংঘাতে আবর্তিত, যেখানে প্রেম, কৌশল ও রাজ্যনীতি একে অপরের সঙ্গে জড়িত।
৪. প্রেক্ষাপটের গুরুত্ব: বৎসরাজ্য শুধু ভৌগোলিক স্থান নয়, বরং নাটকের রাজনৈতিক ও আবেগিক পরিবেশের ভিত্তি; এখানেই নাটকের প্রধান সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
৫. মূল ভাবার্থ: বৎসরাজ্য নাটকে ক্ষমতা, কূটনীতি ও প্রেমের মেলবন্ধনের প্রতীক—যেখানে উদয়নের বীরত্ব, প্রেম ও প্রজ্ঞা একই সঙ্গে বিকশিত হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
মহাভারতের সর্বশেষ পর্বের নাম কি?
Created: 1 day ago
A
আদিপর্ব
B
সভাপর্ব
C
বনপর্ব
D
স্বর্গারোহণ পর্ব
মহাভারতের শেষ পর্বের নাম “স্বর্গারোহণ পর্ব”, যা এই মহাকাব্যের ১৮তম ও সমাপনী অধ্যায়। এটি মহর্ষি ব্যাসদেব রচিত মহাভারতের কাহিনির পরিণতি নির্দেশ করে, যেখানে পার্থিব জীবনের সমাপ্তি ও আত্মার চূড়ান্ত গমনপথ তুলে ধরা হয়েছে।
-
পর্বসংখ্যা: মহাভারতে মোট ১৮টি পর্ব রয়েছে।
-
প্রথম পর্ব: আদিপর্ব, যেখানে পাণ্ডব ও কৌরব বংশের উৎপত্তি ও প্রেক্ষাপট বর্ণিত।
-
শেষ পর্ব: স্বর্গারোহণ পর্ব, যেখানে পাণ্ডবদের জীবনের শেষ অধ্যায় ও যুধিষ্ঠিরের স্বর্গারোহণের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।
-
মূল বিষয়বস্তু: এই পর্বে পাণ্ডবদের তপস্যা, মৃত্যুর পর যুধিষ্ঠিরের ধর্মপরায়ণতা ও সত্যনিষ্ঠার পুরস্কার হিসেবে স্বর্গলাভের বিবরণ পাওয়া যায়।
-
আধ্যাত্মিক তাৎপর্য: এটি ধর্ম, ন্যায়, কর্মফল ও জীবনের চূড়ান্ত মুক্তির প্রতীক হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।
অতএব, মহাভারতের শেষ পর্ব বা সমাপ্তি অধ্যায় হলো “স্বর্গারোহণ পর্ব”।

0
Updated: 1 day ago
মেঘদূতম কাব্যের উৎস কোনটি?
Created: 1 day ago
A
মহাভারত
B
রামায়ণ
C
পুরাণ
D
ঋগ্বেদ
“মেঘদূতম্” মহাকবি কালিদাস রচিত এক অনন্য সংস্কৃত গীতিকাব্য, যার মূল প্রেরণা নিহিত আছে “রামায়ণ” মহাকাব্যে। রামায়ণের বিচ্ছেদ, বেদনা ও বার্তাপ্রেরণের ভাবধারাই মেঘদূতের কাহিনিকে আবেগপূর্ণ ও অনুরণিত করেছে।
১. কাব্যের বিষয়বস্তু: নির্বাসিত এক যক্ষ তার প্রিয় পত্নীর কাছে মেঘের মাধ্যমে বার্তা পাঠায়—এই কাহিনিই মেঘদূতের মূল কেন্দ্র।
২. রামায়ণের প্রভাব: রামায়ণে রাবণের হাতে বন্দী সীতা রামের প্রতি বার্তা পাঠানোর যে আকুলতা প্রকাশ করেন, তা-ই মেঘদূতের আবেগ ও ভাবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিলে যায়।
৩. ভাবগত সাদৃশ্য: উভয় কাহিনিতেই প্রিয়জনের বিচ্ছেদ, আকুলতা ও পুনর্মিলনের আকাঙ্ক্ষা গভীরভাবে প্রতিফলিত।
৪. পণ্ডিতমত: সাহিত্য বিশারদদের মতে, রামায়ণই মেঘদূতের মূল উৎস—কালিদাস সেখানে রাম-সীতার বেদনা থেকে প্রেরণা নিয়ে যক্ষ-যক্ষিণীর বিরহকে কাব্যময় রূপ দিয়েছেন।
৫. মূল ভাবার্থ: রামায়ণ যেমন প্রেম, বেদনা ও নিষ্ঠার প্রতীক; তেমনি মেঘদূতও সেই অনন্ত মানবীয় অনুভূতির শিল্পিত প্রতিচ্ছবি। তাই রামায়ণকে মেঘদূতের প্রেরণার উৎস বলা হয়।

0
Updated: 1 day ago
পুরাণ সাহিত্যে কতটি লক্ষণের উল্লেখ আছে?
Created: 23 hours ago
A
৭ টি
B
৬ টি
C
৫ টি
D
৪ টি
পুরাণের প্রকৃত স্বরূপ বোঝাতে প্রাচীন পণ্ডিতরা এর নির্দিষ্ট লক্ষণ নির্ধারণ করেছেন, যেগুলোকে সম্মিলিতভাবে “পঞ্চলক্ষণ” বলা হয়। গরুড় পুরাণ ও নরদ পুরাণসহ অন্যান্য পুরাণেও এই পাঁচটি বিষয়ের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা পুরাণকে অন্য সাহিত্যধারা থেকে পৃথক করেছে।
১. সর্গ – ব্রহ্মার দ্বারা বিশ্বসৃষ্টির বর্ণনা, অর্থাৎ মহাবিশ্বের আদিরূপ সৃষ্টিকাহিনী।
২. প্রতিসর্গ – প্রলয়ের পর মহাবিশ্বের পুনঃসৃষ্টি, যা সৃষ্টির চক্রবৃত্ত ধারণাকে প্রকাশ করে।
৩. বংশ – দেবতা, ঋষি ও রাজাদের বংশাবলি, যা ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার বোঝায়।
৪. মন্বন্তর – প্রতিটি মনুর শাসনকাল ও সেই সময়কার গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি, যা যুগ বা পর্বভিত্তিক ইতিহাস তুলে ধরে।
৫. বংশানুচরিত – রাজবংশের বীর, পুণ্যবান ও খ্যাতনামা পুরুষদের কর্মজীবনের বিবরণ, যা নৈতিকতা ও আদর্শের দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপিত।
এই পাঁচটি লক্ষণের উপস্থিতিই পুরাণকে পূর্ণতা দেয় এবং ধর্ম, ইতিহাস ও দর্শনের সমন্বয়ে এক অনন্য সাহিত্যরূপ সৃষ্টি করে।

0
Updated: 23 hours ago