শকুন্তলার পিতা কে ছিলেন?
A
কম্ব মুনি
B
বিশ্বামিত্র
C
ভরদ্বাজ
D
বশিষ্ঠ
উত্তরের বিবরণ
“অভিজ্ঞান শকুন্তলম্” (Abhijñānaśākuntalam) মহাকবি কালিদাস রচিত এক অমর সংস্কৃত নাটক, যা ভারতীয় সাহিত্য ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ কাব্যনাট্যগুলোর অন্যতম। এর নায়িকা শকুন্তলা, যিনি ঋষি বিশ্বামিত্র ও অপ্সরা মেনকা-র কন্যা।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সঠিক উত্তর: খ) বিশ্বামিত্র।
-
নায়িকার পরিচয়: শকুন্তলা ছিলেন ঋষি বিশ্বামিত্র ও অপ্সরা মেনকা-র সন্তান।
-
ঘটনার পটভূমি:
-
ঋষি বিশ্বামিত্র গভীর তপস্যায় নিযুক্ত ছিলেন, যার শক্তিতে দেবতারা আতঙ্কিত হন।
-
দেবরাজ ইন্দ্র তপস্যা ভঙ্গের জন্য অপ্সরা মেনকাকে পাঠান।
-
মেনকার সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে বিশ্বামিত্র তাঁর সঙ্গে কিছু সময় গার্হস্থ্য জীবন অতিবাহিত করেন।
-
তাদের মিলনফলেই জন্ম নেয় শকুন্তলা।
-
-
পরবর্তী ঘটনা: মেনকা স্বর্গে ফিরে গেলে, নবজাত শকুন্তলাকে ঋষি কণ্ব আশ্রমে লালন-পালন করেন।
-
নাটকের তাৎপর্য: “অভিজ্ঞান শকুন্তলম্”-এ প্রেম, ত্যাগ ও মানবিক আবেগের মেলবন্ধন দেখা যায়, যা সংস্কৃত নাট্যসাহিত্যের চূড়ান্ত কাব্যমাধুর্য প্রকাশ করে।

0
Updated: 1 day ago
কিরাতার্জুনীয়ম মহাকাব্যটি কতটি সর্গে বিভক্ত?
Created: 1 day ago
A
২০টি
B
১৫টি
C
১৭টি
D
১৮টি
প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংস্কৃত মহাকাব্য “কিরাতার্জুনীয়ম্” রচনা করেছিলেন মহান কবি ভারভী (Bharavi), যিনি কালীদাস-পরবর্তী যুগের একজন বিশিষ্ট মহাকবি হিসেবে পরিচিত। এই কাব্যের কাহিনি সংগৃহীত হয়েছে মহাভারতের বনপর্ব থেকে, যেখানে অর্জুনের তপস্যা, শিবের কিরাতরূপ ধারণ ও পাশুপত অস্ত্র প্রাপ্তি—এই ঘটনাগুলো কাব্যিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
১. “কিরাতার্জুনীয়ম্” নামটি এসেছে “কিরাত” (অর্থাৎ শিকারীর রূপে শিব) ও “অর্জুন”-এর নামের সংযোগ থেকে।
২. কাব্যে মূলত অর্জুনের ত্যাগ, অধ্যবসায় ও ঈশ্বরপ্রেমকে মহাকাব্যিক আকারে চিত্রিত করা হয়েছে।
৩. এতে রস, অলঙ্কার, ছন্দ ও ভাষার গৌরব অত্যন্ত উচ্চমানের, যা ভারভীর সাহিত্যপ্রতিভার পরিচায়ক।
৪. এই মহাকাব্যটি মোট ১৮টি সর্গে বিভক্ত, প্রতিটি সর্গে কাহিনির একটি স্বতন্ত্র ধাপ বর্ণিত — যেমন তপস্যা, কিরাতরূপ ধারণ, যুদ্ধ, অর্জুনের বিজয় ও শিবের আশীর্বাদ।
৫. এটি কেবল ধর্মীয় বা পৌরাণিক কাব্য নয়, বরং নায়কোচিত বীরত্ব ও আধ্যাত্মিক উপলব্ধির সমন্বয়।
সঠিক উত্তর: গ) ১৮টি সর্গে বিভক্ত

0
Updated: 1 day ago
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ব্যবহৃত শঙ্খের নাম কি?
Created: 1 day ago
A
অনন্ত বিজয়
B
দেবদত্তম
C
দুন্দুভি
D
পাঞ্চজন্য
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ব্যবহৃত শঙ্খের নাম “পাঞ্চজন্য”। এই তথ্য পাওয়া যায় শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-এর প্রথম অধ্যায় “অর্জুন বিষাদযোগ”-এর দ্বিতীয় শ্লোকে—
“পাঞ্চজন্যং হৃষীকেশো দেবদত্তং ধনঞ্জয়ঃ।
পাওণ্ড্রং দধ্মৌ মহাশঙ্খং ভীমকর্মা বৃত্তরঃ॥”
(গীতা, অধ্যায় ১, শ্লোক ১৫)
এখানে বলা হয়েছে—হৃষীকেশ (অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ) বাজিয়েছিলেন পাঞ্চজন্য, অর্জুন বাজিয়েছিলেন দেবদত্তম্, এবং ভীম বাজিয়েছিলেন পৌণ্ড্রং নামক মহাশঙ্খ।
১. “পাঞ্চজন্য” শব্দটি এসেছে ‘পাঞ্চজন’ নামক দানবের নাম থেকে, যাকে শ্রীকৃষ্ণ সমুদ্রের মধ্যে বধ করে তার অস্থি থেকে এই শঙ্খ অর্জন করেন।
২. এই ঘটনা মহাভারত-এর সব্যসাচী পার্বে বর্ণিত আছে।
৩. পাঞ্চজন্য শঙ্খ শুধু যুদ্ধের সংকেত নয়, এটি ধর্ম, ন্যায় ও ঈশ্বরচেতনার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।
৪. প্রতীকী অর্থে পাঞ্চজন্য শঙ্খের ধ্বনি অসুরনাশ, ন্যায়ের জাগরণ ও ধর্মরক্ষার বার্তা বহন করে।
৫. ভগবান কৃষ্ণের হাতে পাঞ্চজন্য শঙ্খ তাই দিব্যশক্তি ও ধর্মপালনের প্রতীক হিসেবে পূজিত।
সঠিক উত্তর: ঘ) পাঞ্চজন্য

0
Updated: 1 day ago
'মেঘদূতম্' কাব্যের পূর্বমেঘে কি বিষয়ের বর্ণনা করা হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
অলকাপুরীর
B
মেঘের যাত্রাপথের
C
যক্ষপত্নীর বিরহদশা
D
যক্ষপত্নীর সাথে মিলনের
কালিদাসের ‘মেঘদূত’ কাব্যটি একটি শ্রেষ্ঠ কাব্যিক কল্পনাপ্রসূত রচনা, যা দুই ভাগে বিভক্ত— পূর্বমেঘ (Purvamegha) ও উত্তরমেঘ (Uttaramegha)। এই দুই অংশে কবি অনুভূতি ও প্রকৃতিবর্ণনার এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়েছেন।
-
পূর্বমেঘে কবি নির্বাসিত যক্ষের পক্ষ থেকে মেঘকে দূতের মতো যাত্রার নির্দেশ দেন।
-
এখানে মূলত মেঘের যাত্রাপথের বর্ণনা — অর্থাৎ পর্বত, নদী, বন, গ্রাম, নগর, প্রাসাদ ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ক্রমবিন্যাস — অত্যন্ত কাব্যিকভাবে উপস্থাপিত।
-
কবি যেন মেঘের জন্য এক মানচিত্র এঁকেছেন, যাতে সে সঠিক পথে যক্ষিণীর কাছে পৌঁছাতে পারে।
-
এই অংশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ভূগোল ও শিল্পকল্পনা একত্রে মিলিত হয়েছে।
-
অন্যদিকে, উত্তরমেঘে যক্ষের প্রিয়ার স্মৃতি, বেদনা ও অন্তরঙ্গ ভাব প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে।
-
ফলে বলা যায়, ‘পূর্বমেঘ’-এর মুখ্য বিষয় হলো মেঘের যাত্রাপথের বর্ণনা, আর ‘উত্তরমেঘ’-এর মূল ভাব প্রেম ও বিরহের আবেগ।
এইভাবে, কালিদাস প্রকৃতি ও প্রেমের সংলগ্নতার মাধ্যমে ‘মেঘদূত’-কে এক অনন্য রোমান্টিক ও দার্শনিক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন।

0
Updated: 1 day ago