সরস্বতীর জলে অবগাহন করে মেঘ কোন নগরে যাবে?
A
কনখল
B
উজ্জয়িনী
C
গন্ধবতী
D
অলকা
উত্তরের বিবরণ
মহাকবি কালিদাস রচিত “মেঘদূত” কাব্যটি প্রেম, প্রকৃতি ও বিরহের এক অনন্য সংমিশ্রণ, যেখানে এক যক্ষ তার প্রিয় স্ত্রীর কাছে বার্তা পাঠাতে একটি মেঘকে দূত হিসেবে প্রেরণ করেন। কাব্যটি কল্পনা ও অনুভূতির এক অপূর্ব কাব্যিক যাত্রা।
১. যক্ষ দেবরাজ কুবেরের অভিশাপে নির্বাসিত, এবং প্রিয় স্ত্রীর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ব্যথিত।
২. নিজের ব্যাকুল হৃদয়ের বার্তা পৌঁছে দিতে সে একটি গ্রীষ্মকালের মেঘকে দূতরূপে প্রেরণ করে।
৩. যক্ষ নির্দেশ দেয়, মেঘ যেন সরস্বতী নদীতে অবগাহন করে যাত্রা শুরু করে এবং পথে নানা পর্বত, নদী, নগর ও অরণ্যের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়।
৪. মেঘের এই যাত্রাপথে প্রকৃতির সৌন্দর্য, রোমাঞ্চ ও অনুভূতির সূক্ষ্ম বর্ণনা কালিদাসের অতুলনীয় কাব্যিক ক্ষমতা প্রকাশ করে।
৫. অবশেষে মেঘ পৌঁছায় অলকা নগরে, যা যক্ষের স্ত্রীর বাসস্থান — সেখানে পৌঁছে তাকে যক্ষের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়।
৬. সমগ্র কাব্যে মেঘের পথচারণা শুধু একটি বার্তাবাহক যাত্রা নয়, বরং তা বিরহ, প্রেম ও আশার প্রতীকী রূপ হিসেবে চিত্রিত হয়েছে।
“মেঘদূত” তাই শুধু একটি প্রেমবাণী নয়, এটি প্রকৃতির মধ্য দিয়ে প্রেমের অমর রূপের কাব্যিক প্রকাশ।

0
Updated: 1 day ago
বৈদিক যুগে সমাজের ভিত্তি কি ছিল?
Created: 1 day ago
A
রাষ্ট্র
B
সম্প্রদায়
C
ঘরবাড়ি
D
পরিবার
বৈদিক যুগে সমাজের মূল ভিত্তি ছিল “পরিবার”, যা সামাজিক সংগঠনের প্রথম ও প্রধান স্তর হিসেবে বিবেচিত। তখন রাষ্ট্র বা সংগঠিত শাসনব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে গঠিত হয়নি, ফলে পারিবারিক কাঠামোই সমাজজীবনের কেন্দ্র ছিল।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সঠিক উত্তর: ঘ) পরিবার।
-
সমাজব্যবস্থার প্রকৃতি: বৈদিক যুগে সমাজ রাষ্ট্রনির্ভর না হয়ে পরিবারনির্ভর ছিল।
-
পরিবারের পরিচয়: পরিবারকে বলা হতো “গৃহ”, যা পিতা বা গৃহস্বামী পরিচালনা করতেন।
-
পরিবারপ্রধানের পদ: পরিবারের কর্তা ছিলেন “গৃহপতি”, যিনি ছিলেন পরিবারের ধর্মীয়, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
-
পরিবারের ভূমিকা:
-
ধর্মীয় কার্যাবলি যেমন যজ্ঞ, পূজা ইত্যাদি গৃহেই সম্পন্ন হতো।
-
শিক্ষা ও অর্থনৈতিক জীবনের কেন্দ্র ছিল গৃহ।
-
সমাজজীবনের প্রতিটি দিকেই পরিবার ছিল মৌলিক একক ও প্রধান আশ্রয়স্থল।
-
-
সারসংক্ষেপ: বৈদিক সমাজে পরিবারই ছিল সভ্যতার প্রাথমিক ও কার্যকর ভিত্তি, যা পরবর্তীকালে রাষ্ট্রব্যবস্থার বিকাশে ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 1 day ago
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার দশম অধ্যায়ের নাম কি?
Created: 1 day ago
A
জ্ঞানযোগ
B
বিভূতিযোগ
C
অভ্যাসযোগ
D
সাংখ্যযোগ
ভগবদ্গীতার দশম অধ্যায় “বিভূতিযোগ” নামে পরিচিত, যেখানে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর মহিমা, ঐশ্বর্য ও সর্বব্যাপী শক্তির প্রকাশ ব্যাখ্যা করেছেন। এই অধ্যায় ঈশ্বরের সর্বত্র বিরাজমান রূপের দার্শনিক ব্যাখ্যা ও ভক্তির গভীর তাৎপর্য তুলে ধরে।
১. অধ্যায়ের মূল বিষয়: শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জানান যে, জগতে যে কোনো মহানতা, শক্তি, জ্ঞান, সৌন্দর্য বা গুণ—সবই তাঁরই এক অংশ বা “বিভূতি”।
২. বিভূতির অর্থ: “বিভূতি” বলতে বোঝায় ঈশ্বরের দিব্য প্রকাশ বা ঐশ্বর্যময় রূপ, যা সৃষ্টির প্রতিটি ক্ষেত্রে বিরাজমান।
৩. দার্শনিক তাৎপর্য: এখানে শ্রীকৃষ্ণ জগতের সবকিছুতেই নিজের অস্তিত্ব নির্দেশ করে বোঝাতে চান যে, ঈশ্বর সর্বব্যাপী এবং সর্বশক্তিমান।
৪. অধ্যায়ের উদ্দেশ্য: ভক্তদের মনে ঈশ্বরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস জাগানো, যাতে তারা প্রতিটি সৃষ্টিতে ঈশ্বরের রূপ উপলব্ধি করতে শেখে।
৫. মূল ভাবার্থ: এই অধ্যায় মানুষকে শেখায় যে ঈশ্বর কেবল এক স্থানে নন, বরং সমস্ত মহত্ত্ব, সৌন্দর্য ও শক্তির মধ্যেই প্রকাশমান। তাই ভক্তি ও উপলব্ধির মাধ্যমে তাঁর ঐশ্বর্যকে জানা সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
দুর্বাসা মুনি কে ছিলেন?
Created: 1 day ago
A
সাধক
B
দেবতা
C
শকুন্তলার পালক পিতা
D
অভিশাপদানকারী মুনি
দুর্বাসা মুনি প্রাচীন ভারতের পুরাণ ও সাহিত্যে এক বিখ্যাত ঋষি, যিনি তাঁর কঠোর স্বভাব ও অভিশাপদানের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর চরিত্র বিভিন্ন কাব্য ও নাটকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
দুর্বাসা মুনি ছিলেন এক মহান তপস্বী, যিনি সামান্য অসন্তোষেও রুষ্ট হতেন এবং সঙ্গে সঙ্গে অভিশাপ দিতেন।
-
কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম্’ নাটকে, শকুন্তলা যখন দুষ্যন্তের স্মৃতিতে বিভোর হয়ে দুর্বাসার আগমন উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হন, তখন রুষ্ট ঋষি তাঁকে অভিশাপ দেন যাতে তাঁর স্বামী তাঁকে ভুলে যান।
-
এই অভিশাপের ফলেই নাটকের মূল সংঘাত সৃষ্টি হয় এবং তা গল্পকে গভীর আবেগপূর্ণ ও নাটকীয় মোড়ে নিয়ে যায়।
-
দুর্বাসা মুনির এই আচরণ ভারতীয় সাহিত্যে রাগ ও তপস্যার দ্বন্দ্বের এক প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
বহু পুরাণে তাঁকে মহর্ষি অত্রি ও অনসূয়া-এর পুত্র বলা হয়েছে, যা তাঁর ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় মর্যাদাকে আরও সুদৃঢ় করে।

0
Updated: 1 day ago