'নান্দী' কি?
A
নাটকের প্রারম্ভে উচ্চারিত মঙ্গলসূচক শ্লোক
B
দেব বন্দনা
C
গীতবাদ্যাদি ক্রিয়া
D
নাটকের সমাপ্তি
উত্তরের বিবরণ
প্রাচীন ভারতীয় নাট্যশাস্ত্রে “নান্দী” হলো নাটকের সূচনায় উচ্চারিত এক মঙ্গলসূচক শ্লোক, যা নাটকের শুভারম্ভের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এটি সাধারণত দেবতা, গুরু বা দর্শকদের প্রতি সম্ভাষণ ও আশীর্বাদসূচক প্রার্থনা হিসেবে পাঠ করা হয়।
-
উদ্দেশ্য: নাটকের শুরুতে দেবতাদের কৃপা প্রার্থনা এবং মঞ্চাভিনয়ের সাফল্যের জন্য শুভাশিস প্রার্থনা করা।
-
রূপ ও বিষয়: নান্দী শ্লোক সাধারণত ছন্দোবদ্ধ ও অলঙ্কারপূর্ণ, যেখানে ঈশ্বর বা দেবতার গুণগান করা হয়।
-
অর্থবোধ: এতে নাটকের মূল ভাব বা থিমের ইঙ্গিতও অনেক সময় নিহিত থাকে।
-
নাট্যিক তাৎপর্য: নান্দী কেবল মঙ্গল কামনা নয়; এটি নাটকের আধ্যাত্মিক ও নান্দনিক প্রস্তাবনা হিসেবেও কাজ করে, যা নাটকের আবহ ও গাম্ভীর্য রচনা করে।
-
পরম্পরা: ভারতীয় নাট্যশাস্ত্রকার ভারত মুনি তাঁর “নাট্যশাস্ত্র”-এ নান্দীর গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন, যা পরবর্তীকালে প্রায় সব সংস্কৃত নাট্যকার— যেমন ভাস, কালিদাস, শূদ্রক, ভট্টনারায়ণ প্রমুখ— অনুসরণ করেছেন।
অতএব, নান্দী নাটকের সূচনায় ব্যবহৃত এমন একটি মঙ্গলসূচক শ্লোক, যা নাটকের আধ্যাত্মিক সূচনা ও সৌন্দর্যের ভিত্তি রচনা করে।

0
Updated: 1 day ago
মেঘদূতম কাব্যের উৎস কোনটি?
Created: 1 day ago
A
মহাভারত
B
রামায়ণ
C
পুরাণ
D
ঋগ্বেদ
“মেঘদূতম্” মহাকবি কালিদাস রচিত এক অনন্য সংস্কৃত গীতিকাব্য, যার মূল প্রেরণা নিহিত আছে “রামায়ণ” মহাকাব্যে। রামায়ণের বিচ্ছেদ, বেদনা ও বার্তাপ্রেরণের ভাবধারাই মেঘদূতের কাহিনিকে আবেগপূর্ণ ও অনুরণিত করেছে।
১. কাব্যের বিষয়বস্তু: নির্বাসিত এক যক্ষ তার প্রিয় পত্নীর কাছে মেঘের মাধ্যমে বার্তা পাঠায়—এই কাহিনিই মেঘদূতের মূল কেন্দ্র।
২. রামায়ণের প্রভাব: রামায়ণে রাবণের হাতে বন্দী সীতা রামের প্রতি বার্তা পাঠানোর যে আকুলতা প্রকাশ করেন, তা-ই মেঘদূতের আবেগ ও ভাবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিলে যায়।
৩. ভাবগত সাদৃশ্য: উভয় কাহিনিতেই প্রিয়জনের বিচ্ছেদ, আকুলতা ও পুনর্মিলনের আকাঙ্ক্ষা গভীরভাবে প্রতিফলিত।
৪. পণ্ডিতমত: সাহিত্য বিশারদদের মতে, রামায়ণই মেঘদূতের মূল উৎস—কালিদাস সেখানে রাম-সীতার বেদনা থেকে প্রেরণা নিয়ে যক্ষ-যক্ষিণীর বিরহকে কাব্যময় রূপ দিয়েছেন।
৫. মূল ভাবার্থ: রামায়ণ যেমন প্রেম, বেদনা ও নিষ্ঠার প্রতীক; তেমনি মেঘদূতও সেই অনন্ত মানবীয় অনুভূতির শিল্পিত প্রতিচ্ছবি। তাই রামায়ণকে মেঘদূতের প্রেরণার উৎস বলা হয়।

0
Updated: 1 day ago
'অভিজ্ঞানশকুন্তলম্' নাটকটি কত অঙ্কে রচিত?
Created: 1 day ago
A
৭টি
B
৬টি
C
৫টি
D
৪টি
সংস্কৃত সাহিত্যজগতে “অভিজ্ঞানশকুন্তলম্” হলো মহাকবি কালিদাস রচিত এক অনন্য নাট্যকাব্য, যা ভারতীয় নাট্যসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। এই নাটকটি সপ্ত অঙ্কে (৭ অঙ্কে) বিভক্ত এবং প্রতিটি অঙ্কে কাহিনির ধাপে ধাপে বিকাশ ঘটেছে, যেখানে প্রেম, বেদনা ও পুনর্মিলনের মিশ্রণ এক গভীর আবেগ সৃষ্টি করেছে।
১. প্রথম অঙ্ক: শকুন্তলার শৈশব ও তপোবনে তার নির্জন জীবনচিত্র।
২. দ্বিতীয় অঙ্ক: রাজা দুষ্যন্ত ও শকুন্তলার প্রথম সাক্ষাৎ ও প্রেমজাগরণ।
৩. তৃতীয় অঙ্ক: দুষ্যন্তের রাজ্যে প্রত্যাবর্তন ও বিচ্ছেদের সূচনা।
৪. চতুর্থ অঙ্ক: শকুন্তলার অভিশাপপ্রাপ্তি ও দুষ্যন্তের রাজমুদ্রা হারানো।
৫. পঞ্চম অঙ্ক: শকুন্তলার দুঃখ, অনুতাপ ও দিব্য আশীর্বাদের প্রতীক্ষা।
৬. ষষ্ঠ অঙ্ক: রাজপ্রাসাদে পুনর্মিলনের পূর্বাভাস এবং সত্য উন্মোচন।
৭. সপ্তম অঙ্ক: দুষ্যন্ত ও শকুন্তলার পুনর্মিলন এবং নাটকের সমাপ্তি।
নাটকটি তার রূপক, সংলাপ ও আবেগপ্রবণ বর্ণনা-এর জন্য বিশ্বসাহিত্যে অমর হয়ে আছে। এর অঙ্কবিন্যাস ও নাট্যগঠন ভারতীয় নাট্যরীতির একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
সঠিক উত্তর: ক) ৭টি

0
Updated: 1 day ago
শকুন্তলার পিতা কে ছিলেন?
Created: 1 day ago
A
কম্ব মুনি
B
বিশ্বামিত্র
C
ভরদ্বাজ
D
বশিষ্ঠ
“অভিজ্ঞান শকুন্তলম্” (Abhijñānaśākuntalam) মহাকবি কালিদাস রচিত এক অমর সংস্কৃত নাটক, যা ভারতীয় সাহিত্য ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ কাব্যনাট্যগুলোর অন্যতম। এর নায়িকা শকুন্তলা, যিনি ঋষি বিশ্বামিত্র ও অপ্সরা মেনকা-র কন্যা।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সঠিক উত্তর: খ) বিশ্বামিত্র।
-
নায়িকার পরিচয়: শকুন্তলা ছিলেন ঋষি বিশ্বামিত্র ও অপ্সরা মেনকা-র সন্তান।
-
ঘটনার পটভূমি:
-
ঋষি বিশ্বামিত্র গভীর তপস্যায় নিযুক্ত ছিলেন, যার শক্তিতে দেবতারা আতঙ্কিত হন।
-
দেবরাজ ইন্দ্র তপস্যা ভঙ্গের জন্য অপ্সরা মেনকাকে পাঠান।
-
মেনকার সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে বিশ্বামিত্র তাঁর সঙ্গে কিছু সময় গার্হস্থ্য জীবন অতিবাহিত করেন।
-
তাদের মিলনফলেই জন্ম নেয় শকুন্তলা।
-
-
পরবর্তী ঘটনা: মেনকা স্বর্গে ফিরে গেলে, নবজাত শকুন্তলাকে ঋষি কণ্ব আশ্রমে লালন-পালন করেন।
-
নাটকের তাৎপর্য: “অভিজ্ঞান শকুন্তলম্”-এ প্রেম, ত্যাগ ও মানবিক আবেগের মেলবন্ধন দেখা যায়, যা সংস্কৃত নাট্যসাহিত্যের চূড়ান্ত কাব্যমাধুর্য প্রকাশ করে।

0
Updated: 1 day ago