সংস্কৃত সাহিত্যের আদিযুগ কোনটি?
A
উপনিষদ যুগ
B
মধ্যযুগ
C
বৈদিক যুগ
D
কাব্য যুগ
উত্তরের বিবরণ
সংস্কৃত সাহিত্যের আদিযুগ হিসেবে বৈদিক যুগ সর্বজনস্বীকৃত, কারণ এই সময়েই সংস্কৃত ভাষার প্রাচীনতম রূপে রচিত হয়েছে চারটি বেদ। এই যুগ সংস্কৃত সাহিত্য ও ভারতীয় আধ্যাত্মিক চিন্তার ভিত্তি স্থাপন করেছে।
১. প্রধান গ্রন্থসমূহ: এই যুগে রচিত চারটি বেদ হলো—ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ।
২. সাহিত্যের প্রকৃতি: বৈদিক সাহিত্যে মূলত প্রার্থনা, স্তোত্র, যজ্ঞসংক্রান্ত মন্ত্র, দেবতাদের উদ্দেশ্যে নিবেদন ও দার্শনিক চিন্তাধারা প্রকাশ পেয়েছে।
৩. ভাষার বৈশিষ্ট্য: এই সময়ের সংস্কৃত ভাষা ছিল প্রাকৃত ও প্রাচীন রূপের, যা পরে শাস্ত্রীয় সংস্কৃতের ভিত্তি হয়ে ওঠে।
৪. চিন্তাধারার গভীরতা: বেদে কেবল ধর্মীয় প্রার্থনাই নয়, বরং প্রকৃতি, নৈতিকতা, সৃষ্টিতত্ত্ব ও মানবজীবনের দার্শনিক ব্যাখ্যাও পাওয়া যায়।
৫. ঐতিহাসিক গুরুত্ব: বৈদিক যুগের সাহিত্য পরবর্তীকালে উপনিষদ, মহাকাব্য, নাটক ও কাব্যসাহিত্য–এর বিকাশের ভিত্তি তৈরি করেছে, যা সংস্কৃত সাহিত্যের পরবর্তী যুগগুলোর মূল প্রেরণা।

0
Updated: 1 day ago
'অভিজ্ঞানশকুন্তলম্' নাটকটি কত অঙ্কে রচিত?
Created: 1 day ago
A
৭টি
B
৬টি
C
৫টি
D
৪টি
সংস্কৃত সাহিত্যজগতে “অভিজ্ঞানশকুন্তলম্” হলো মহাকবি কালিদাস রচিত এক অনন্য নাট্যকাব্য, যা ভারতীয় নাট্যসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। এই নাটকটি সপ্ত অঙ্কে (৭ অঙ্কে) বিভক্ত এবং প্রতিটি অঙ্কে কাহিনির ধাপে ধাপে বিকাশ ঘটেছে, যেখানে প্রেম, বেদনা ও পুনর্মিলনের মিশ্রণ এক গভীর আবেগ সৃষ্টি করেছে।
১. প্রথম অঙ্ক: শকুন্তলার শৈশব ও তপোবনে তার নির্জন জীবনচিত্র।
২. দ্বিতীয় অঙ্ক: রাজা দুষ্যন্ত ও শকুন্তলার প্রথম সাক্ষাৎ ও প্রেমজাগরণ।
৩. তৃতীয় অঙ্ক: দুষ্যন্তের রাজ্যে প্রত্যাবর্তন ও বিচ্ছেদের সূচনা।
৪. চতুর্থ অঙ্ক: শকুন্তলার অভিশাপপ্রাপ্তি ও দুষ্যন্তের রাজমুদ্রা হারানো।
৫. পঞ্চম অঙ্ক: শকুন্তলার দুঃখ, অনুতাপ ও দিব্য আশীর্বাদের প্রতীক্ষা।
৬. ষষ্ঠ অঙ্ক: রাজপ্রাসাদে পুনর্মিলনের পূর্বাভাস এবং সত্য উন্মোচন।
৭. সপ্তম অঙ্ক: দুষ্যন্ত ও শকুন্তলার পুনর্মিলন এবং নাটকের সমাপ্তি।
নাটকটি তার রূপক, সংলাপ ও আবেগপ্রবণ বর্ণনা-এর জন্য বিশ্বসাহিত্যে অমর হয়ে আছে। এর অঙ্কবিন্যাস ও নাট্যগঠন ভারতীয় নাট্যরীতির একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
সঠিক উত্তর: ক) ৭টি

0
Updated: 1 day ago
শ্রীগীতা কোন ধরণের শাস্ত্র?
Created: 1 day ago
A
স্মৃতিশাস্ত্র
B
ধর্মশাস্ত্র
C
নীতিশাস্ত্র
D
দর্শনশাস্ত্র
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা একটি মহান আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক গ্রন্থ, যা মানুষের আত্মার স্বরূপ ও জীবনের সত্যতত্ত্ব উপলব্ধির শিক্ষা দেয়। এতে ধর্ম, নীতি ও কর্মের আলোচনা থাকলেও এর মূল লক্ষ্য দার্শনিক সত্য প্রকাশ করা।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সঠিক উত্তর: গ) দর্শনশাস্ত্র।
-
গ্রন্থের প্রকৃতি: এটি মূলত এক দার্শনিক গ্রন্থ, যেখানে আত্মা, ব্রহ্ম, কর্ম, জ্ঞান, যোগ ও মোক্ষ সম্পর্কিত গভীর তত্ত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
মূল উদ্দেশ্য: মানুষের আত্মজ্ঞান, ভক্তি, কর্ম ও যোগের মাধ্যমে মুক্তির পথ নির্দেশ করা।
-
গীতার প্রধান যোগসমূহ:
-
কর্মযোগ — কর্তব্যকর্মের মাধ্যমে মুক্তি।
-
জ্ঞানযোগ — জ্ঞানলাভের মাধ্যমে আত্মউদ্ধার।
-
ভক্তিযোগ — ভক্তির মাধ্যমে ঈশ্বরলাভ।
-
সন্ন্যাসযোগ — ত্যাগের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি।
-
-
দার্শনিক দিক: গীতা জীবন, ধর্ম ও সৃষ্টির সত্যতত্ত্ব ব্যাখ্যা করে, যা একে দর্শনশাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত করে।
-
অন্যান্য শাস্ত্র থেকে পার্থক্য: ধর্ম বা নীতিশাস্ত্রের আলোচনা থাকলেও, গীতার মূল ভাবনা জীবনের চরম সত্য অনুসন্ধান, যা দর্শনের মূল ভিত্তি।

0
Updated: 1 day ago
শকুন্তলা নাটকে শকুন্ত শব্দের অর্থ কি?
Created: 1 day ago
A
পাখি
B
শৃগাল
C
শকুনপাখি
D
কুন্তল
কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তল’ নাটকে “শকুন্ত” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “Śakunta” থেকে, যার অর্থ পাখি। এই নামের মাধ্যমে চরিত্রের জন্ম ও পরিবেশের সঙ্গে এক সুন্দর প্রতীকী সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।
-
“শকুন্তলা” শব্দের আক্ষরিক অর্থ — “যিনি শকুন্ত (পাখি) দ্বারা লালিত”।
-
জন্মের পর শকুন্ত মুনি ও বনের পাখিরা তাঁকে আশ্রয় ও স্নেহ দিয়ে লালন করেছিলেন।
-
তাই নাটকের নায়িকার নাম হয়েছে “শকুন্তলা”, অর্থাৎ পাখিদের স্নেহে বেড়ে ওঠা এক কন্যা।
-
নাটকীয় দৃষ্টিতে, নামটি প্রকৃতি, মমতা ও নির্জনতার প্রতীক— বনজীবনের কোমলতার সঙ্গে চরিত্রের মানসিক জগতকে যুক্ত করে।
-
ভুল বিকল্পসমূহের ব্যাখ্যা:
-
গ) কুন্তল শব্দটি চুল বা কেশের অর্থে ব্যবহৃত হয়, শকুন্তলার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
-
খ) শৃগাল (শিয়াল) বা ঘ) শকুনপাখি শব্দের ধ্বনিগত মিল থাকলেও “শকুন্ত” শব্দের প্রকৃত অর্থ পাখি, যা সম্পূর্ণ ভিন্ন তাৎপর্য বহন করে।
-

0
Updated: 1 day ago