কোনটি সঠিক?
A
উৎ+ছাস=উচ্ছাস
B
উৎ+ শ্বাস-উচ্ছ্বাস
C
উৎ+শাস=উৎশাস
D
উছ+শাস=উচ্ছ্বাস
উত্তরের বিবরণ
“উৎ” এবং “শ্বাস” — এই দুটি শব্দ যুক্ত হয়ে গঠিত হয় “উচ্ছ্বাস”, যা প্রবল আনন্দ, উল্লাস বা আবেগের প্রকাশ বোঝায়। শব্দটি সংস্কৃত ব্যুৎপত্তিগত নিয়মে গঠিত এবং মানসিক উৎফুল্লতার স্বাভাবিক প্রকাশকে নির্দেশ করে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
শব্দগঠন: “উৎ + শ্বাস = উচ্ছ্বাস”।
-
“উৎ” এর অর্থ: উর্ধ্বে, উপরে উঠা, বা প্রকাশ পাওয়া।
-
“শ্বাস” এর অর্থ: নিশ্বাস, প্রাণপ্রবাহ, বা ভিতরের উদ্দীপনা।
-
সমাসফল শব্দ: মিলিত হয়ে বোঝায় আবেগ, আনন্দ বা প্রাণোচ্ছলতার প্রকাশ।
-
অর্থ: আনন্দ, উল্লাস, উচ্ছল ভাব বা আবেগের উত্থান।
-
ব্যবহার: “উচ্ছ্বাসে ভরে উঠল মন”, “তার কণ্ঠে আনন্দের উচ্ছ্বাস” — এ ধরনের বাক্যে ব্যবহৃত হয়।
-
অন্য বিকল্পগুলো: গঠন ও অর্থের নিয়ম অনুসারে সঠিক শব্দসংযোগ তৈরি করে না, তাই সেগুলো ভুল।

0
Updated: 1 day ago
দুর্যোধন যুধিষ্ঠিরকে পরাজিত করে কোন রাজ্যে অধিষ্ঠিত হন?
Created: 23 hours ago
A
বৎসরাজ্য
B
কৌরবরাজ্য
C
হস্তিনারাজ্য
D
স্বর্গরাজ্য
মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ ছিল কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে সংঘটিত এক মহান যুদ্ধ, যার রাজনৈতিক ও নৈতিক প্রেক্ষাপট গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। যুদ্ধের সময় এবং তার পূর্বে দুর্যোধন কৌরবপক্ষের রাজা হিসেবে হস্তিনাপুরে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
-
হস্তিনাপুর ছিল কুরুবংশের প্রাচীন রাজধানী, যেখানে থেকেই কৌরব ও পাণ্ডবদের শাসন কার্য পরিচালিত হতো।
-
যুদ্ধ শুরুর পূর্বে দুর্যোধন নিজের কৌশল, সামরিক দক্ষতা ও প্রভাবের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন।
-
যুদ্ধকালীন সময়ে হস্তিনাপুর ছিল কৌরব সেনার প্রধান কেন্দ্র, এবং সেখান থেকেই যুদ্ধের নির্দেশ জারি করা হতো।
-
যদিও কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পর পাণ্ডবরা রাজ্য পুনরুদ্ধার করে, তবুও যুদ্ধ চলাকালীন দুর্যোধনের রাজাসন হস্তিনাপুরেই ছিল।
-
এভাবে হস্তিনাপুর মহাভারতের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু ও বীরত্ব, ন্যায়-অন্যায়ের সংঘাতের প্রতীক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

0
Updated: 23 hours ago
কিরাতার্জুনীয়ম্ মহাকাব্যে কোন বিষয়টি সমধিক ফুটে উঠেছে?
Created: 1 day ago
A
অর্থগৌরবম্
B
কাব্যালংকার
C
শাসনপ্রণালী
D
সিংহাসনলাভ
ভারবি ছিলেন প্রাচীন ভারতের এক অসাধারণ সংস্কৃত কবি, যার রচিত “কিরাতার্জুনীয়ম্” মহাকাব্য সংস্কৃত সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। এটি মহাভারতের বনপর্ব অবলম্বনে রচিত, যেখানে অর্জুনের তপস্যা ও শিবের কিরাতরূপে আবির্ভাবের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।
-
কাব্যটি মোট ১৮ সর্গে বিভক্ত, প্রতিটি সর্গে ভাব, ভাষা ও কৌশলের গভীর মেলবন্ধন রয়েছে।
-
ভারবির কাব্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো অর্থগৌরব (অর্থের গাম্ভীর্য)— তাঁর প্রতিটি শ্লোক চিন্তার গভীরতা ও তত্ত্বগভীর ভাবনায় পরিপূর্ণ।
-
দণ্ডী তাঁর ‘কাব্যাদর্শ’ (১.৬৩) গ্রন্থে বলেছেন — “ভারভিঃ অর্থগৌরবে”, অর্থাৎ ভারবি অর্থের গৌরবে শ্রেষ্ঠ।
-
তাঁর ভাষা সংযত ও মিতবাক, কিন্তু প্রতিটি শব্দ অর্থবহ ও চিন্তাসঞ্জাত।
-
ভারবির কাব্যে অলঙ্কার আছে, কিন্তু সেটি মূল নয়; বরং অর্থের দৃঢ়তা, তত্ত্বগভীরতা ও ভাবগাম্ভীর্যই মুখ্য বৈশিষ্ট্য।
-
সমালোচক বিশ্বনাথ কবিরাজ বলেছেন — “ভারবির কাব্যে অর্থগাম্ভীর্য সর্বোচ্চ।”
-
আনন্দবর্ধন তাঁর ‘ধ্বন্যালোক’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে ভারবির কাব্যে অর্থের শক্তি (ধ্বনি)-ই মুখ্য।
-
একটি বিখ্যাত উক্তি — “দুর্বোধ্যা হি পাণ্ডিতানামপি বাণী ভারবেরিভ।”, অর্থাৎ ভারবির ভাষা এত গভীর যে পণ্ডিতদের কাছেও তা দুর্বোধ্য মনে হয়।
-
এইসব মন্তব্য প্রমাণ করে যে ভারবির কাব্যশক্তির মূল নিহিত তাঁর অর্থগৌরবে, যেখানে চিন্তার গাম্ভীর্য ও ভাষার নিপুণতা একত্রে কাব্যকে দার্শনিক উচ্চতায় উন্নীত করেছে।
চূড়ান্তভাবে বলা যায় — “কিরাতার্জুনীয়ম্” মহাকাব্যে অর্থগৌরবম্ সর্বাধিক প্রকাশিত, কারণ ভারবির কাব্যে গভীর ভাব, তত্ত্বগাম্ভীর্য ও নিখুঁত অর্থনৈপুণ্যই তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের চিহ্ন।

0
Updated: 1 day ago
ঋনং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ এই বাক্যটির অর্থ কি?
Created: 23 hours ago
A
ঋণ নাও ঘি খাও
B
ঋণ দ্বারা ঘি পাওয়া যায়
C
ঋণ করে ঘি খাও
D
ঋণকে ঘৃণা কর
“ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ” এই সংস্কৃত বাক্যটির অর্থ হলো, ঋণ করে হলেও ঘি খাও। এটি একটি প্রাচীন ভারতীয় প্রবাদ যা জীবনযাপনের একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে, যেখানে সুখভোগ বা প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদনের জন্য সাময়িক ঋণ গ্রহণকেও সমর্থন করা হয়েছে।
-
ঋণং কৃত্বা অর্থ — ঋণ করে বা ধার নিয়ে।
-
ঘৃতং পিবেৎ অর্থ — ঘি খাও বা পান করো।
-
প্রবাদটি নির্দেশ করে যে সাময়িক ঋণ গ্রহণ করেও জীবনযাত্রায় প্রয়োজনীয় ভোগ বা আনন্দ থেকে বিরত থাকা উচিত নয়।
-
এটি মূলত ভোগবাদী মনোভাবের প্রতিফলন, যেখানে ভবিষ্যতের চিন্তার চেয়ে বর্তমান সুখকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
-
সমাজে এটি নৈতিক নির্দেশ নয় বরং জীবনের একটি দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে প্রচলিত।
-
এই দৃষ্টিভঙ্গি পরবর্তীকালে চার্বাক দর্শনের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়েছে, যা বস্তুবাদী চিন্তাধারার প্রবক্তা।

0
Updated: 23 hours ago