বিধ্যাহীলোক পশুর সমান- এর অনুবাদ কোনটি?
A
বিদ্যাহীনাঃ পশুস্য সমানা
B
বিদ্যাহীনঃ পশুঃ সমানঃ
C
বিদ্যাহীনাঃ পশুভিঃ সমানাঃ
D
বিদ্যাহীনয়া পশুস্য সমানঃ
উত্তরের বিবরণ
সংস্কৃত নীতিবাক্য “বিদ্যাহীনাঃ পশুভিঃ সমানাঃ” মানবজীবনে শিক্ষার অপরিহার্যতার গভীর বার্তা বহন করে। এর দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে যে ব্যক্তি শিক্ষাহীন, সে পশুর সমান— কারণ বিদ্যাই মানুষকে মানবিক ও নৈতিক গুণে উন্নীত করে।
১. বিদ্যাহীনাঃ (Vidyāhīnāḥ) — অর্থ “যাদের বিদ্যা নেই” বা “অশিক্ষিত ব্যক্তি”; এখানে “হীন” অর্থ অভাবগ্রস্ত বা বঞ্চিত।
২. পশুভিঃ (Paśubhiḥ) — অর্থ “পশুদের সঙ্গে”, এটি তৃতীয়া-বিভক্তি, যা “সঙ্গে” বা “তুলনায়” অর্থ প্রকাশ করে।
৩. সমানাঃ (Samānāḥ) — অর্থ “সমান” বা “তুল্য”।
৪. তাই বাক্যের পূর্ণ অর্থ দাঁড়ায় — “যারা বিদ্যাহীন, তারা পশুদের সঙ্গে সমান।”
৫. এই নীতিবাক্যের অন্তর্নিহিত ভাব হলো, বিদ্যা মানুষকে চিন্তা, নৈতিকতা ও আত্মজ্ঞানে উন্নীত করে, যা পশুর থেকে মানুষের প্রধান পার্থক্য।
৬. সুতরাং, শিক্ষাই মানুষের প্রকৃত অলঙ্কার এবং বিদ্যাহীন জীবন মানেই জ্ঞানের আলোহীন অন্ধকার অস্তিত্ব।
সঠিক উত্তর: গ) বিদ্যাহীনাঃ পশুভিঃ সমানাঃ

0
Updated: 1 day ago
অজ্ঞানতা দুঃখের মূল- এর অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
অজ্ঞানতা দুঃখাৎ মূলম্
B
অজ্ঞানতা দুঃখস্য মূলম্
C
অজ্ঞানতাঃ দুঃখ ভবেৎ
D
অজ্ঞানতা দুঃখং কারণম
সংস্কৃত বাক্যটি “অজ্ঞানতা দুঃখস্য মূলম্” অর্থাৎ “অজ্ঞানতা দুঃখের মূল” — নীতিশাস্ত্র ও দর্শনের এক গভীর সত্যকে প্রকাশ করে। এটি বোঝায় যে মানুষের দুঃখ, কষ্ট ও বিভ্রান্তির প্রধান কারণ হলো জ্ঞানের অভাব বা অজ্ঞানতা।
-
অজ্ঞানতা শব্দের অর্থ অজ্ঞতা বা জ্ঞানহীনতা, যা মানুষকে সত্য উপলব্ধি থেকে দূরে রাখে।
-
দুঃখস্য হলো “দুঃখ” শব্দের সম্বন্ধসূচক (Genitive) বিভক্তি, যার দ্বারা সম্পর্ক বা অধিকার বোঝানো হয়— এখানে অর্থ “দুঃখের”।
-
মূলম্ মানে মূল, কারণ, বা উৎস।
-
তাই বাক্যটির আক্ষরিক অনুবাদ দাঁড়ায় — “অজ্ঞানতা দুঃখের মূল বা কারণ”।
-
দর্শনশাস্ত্র অনুসারে, অজ্ঞানতা থেকেই মোহ, কামনা, আসক্তি ও দুঃখের জন্ম হয়, এবং জ্ঞানই সেই দুঃখ মোচনের উপায়।
-
এই ধারণা উপনিষদ, বেদান্ত এবং বৌদ্ধ দর্শন— সব ধারাতেই সমানভাবে প্রতিফলিত।
-
উদাহরণস্বরূপ, বৌদ্ধধর্মে বলা হয়েছে — “অবিদ্যা পচ্চয়া সংখারা”, অর্থাৎ অজ্ঞানতা থেকেই সংসারের চক্র বা দুঃখের উৎপত্তি।
অতএব, এই বাক্যটি মানবজীবনের একটি সার্বজনীন সত্য নির্দেশ করে — যেখানে জ্ঞান আছে, সেখানেই দুঃখের অবসান ঘটে।

0
Updated: 1 day ago
মিথ্যাভাষনং মহাপাপম্ - নিচের কোনটি এর অনুবাদ?
Created: 1 day ago
A
মিথ্যাবাদী পাপী
B
মিথ্যা বলা মহাপাপ
C
মিথ্যাকে ঘৃণা কর
D
মিথ্যাই পাপ
“মিথ্যাভাষনং মহাপাপম্” একটি নীতিশিক্ষামূলক সংস্কৃত উক্তি, যার মাধ্যমে মানবজীবনে সত্যের গুরুত্ব ও মিথ্যার নৈতিক অগ্রহণযোগ্যতা প্রকাশ করা হয়েছে। এই বাক্যটি সত্যবাদিতাকে ধর্মের প্রধান স্তম্ভ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে এবং মিথ্যাকে গুরুতর পাপ হিসেবে চিহ্নিত করে।
১. শব্দার্থ:
-
মিথ্যা — অর্থ অসত্য বা ভুল কথা।
-
ভাষনং — √ভাষ ধাতু থেকে উৎপন্ন, যার অর্থ “বলা” বা “উচ্চারণ করা।”
-
মহাপাপম্ — অর্থ অত্যন্ত গুরুতর পাপ বা নিন্দনীয় কাজ।
২. আক্ষরিক অনুবাদ: “মিথ্যা বলা মহাপাপ”— অর্থাৎ অসত্য ভাষণ করা নৈতিকভাবে অপরাধ।
৩. নৈতিক তাৎপর্য: এই উক্তির মূল উদ্দেশ্য মানুষকে সত্যনিষ্ঠ হতে উদ্বুদ্ধ করা এবং সমাজে সততার মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা।
৪. শাস্ত্রীয় উল্লেখ: মনুস্মৃতি, নীতিশাস্ত্র ও উপনিষদসমূহে বলা হয়েছে— সত্যই ধর্মের মূল, আর মিথ্যা সব পাপের মূল কারণ।
৫. মূল ভাবার্থ: সত্য বলা মানেই ধর্মপালন; তাই মিথ্যা বলা শুধু নৈতিক অপরাধ নয়, বরং এক মহাপাপ, যা মানুষকে ধর্মপথ থেকে বিচ্যুত করে।

0
Updated: 1 day ago
অহিংসা শ্রেষ্ঠ ধর্ম- এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
অহিংসা বৃহৎ ধর্মঃ
B
অহিংসাহি পরম ধর্মঃ
C
অহিংসা পরমো ধর্মঃ
D
অহিসাং পরা ধর্মঃ
বাক্যটি “অহিংসা শ্রেষ্ঠ ধর্ম” সংস্কৃত ভাষায় অনুবাদ করলে হয় “অহিংসা পরমো ধর্মঃ”। এটি একটি প্রসিদ্ধ নীতিবাক্য, যা বহু ধর্মগ্রন্থ ও শাস্ত্রে উদ্ধৃত হয়েছে এবং মানবধর্মের সারকথা প্রকাশ করে।
১. অহিংসা অর্থাৎ জীব বা প্রাণীর প্রতি কোনো প্রকার হিংসা না করা, কারো ক্ষতি না করা বা আঘাত না দেওয়া।
২. পরমঃ শব্দের অর্থ “শ্রেষ্ঠ” বা “সর্বোত্তম”।
৩. ধর্মঃ অর্থ নীতি, কর্তব্য বা মানবজীবনের সঠিক পথ।
৪. ফলে “অহিংসা পরমো ধর্মঃ”-এর অর্থ দাঁড়ায় — “অহিংসাই সর্বোত্তম ধর্ম” বা “অহিংসাই মানবতার শ্রেষ্ঠ আদর্শ।”
৫. এই নীতি বৌদ্ধ, জৈন ও হিন্দু ধর্মে সমভাবে গুরুত্ব পেয়েছে; মহাত্মা গান্ধীও অহিংসাকে জীবনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
৬. এই বাক্য মানবসভ্যতার সর্বজনীন নৈতিক আদর্শ হিসেবে আজও প্রাসঙ্গিক।
সঠিক উত্তর: গ) অহিংসা পরমো ধর্মঃ

0
Updated: 1 day ago