শ্রীভাগবতম্ এর কোন স্কন্ধে রাসলীলা বর্ণিত হয়েছে?
A
দ্বাদশ
B
দশম
C
নবম
D
একাদশ
উত্তরের বিবরণ
শ্রীমদ্ভাগবতের দশম স্কন্ধ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলাকাহিনির জন্য সর্বাধিক প্রসিদ্ধ। এই স্কন্ধে তাঁর জন্ম, শৈশবকাল, বৃন্দাবনের অলৌকিক ঘটনা এবং গোপীদের সঙ্গে ঐশ্বরিক রাসলীলা বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সঠিক উত্তর: খ) দশম স্কন্ধ।
-
বিষয়বস্তু: শ্রীকৃষ্ণের জন্ম, বাল্যলীলা, বৃন্দাবনের অলৌকিক কাহিনি এবং বিশেষত গোপীগণের সঙ্গে রাসলীলা।
-
রাসলীলার অবস্থান: দশম স্কন্ধের ২৯তম থেকে ৩৩তম অধ্যায় পর্যন্ত রাসলীলার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়।
-
ঘটনার সারাংশ: শ্রীকৃষ্ণের বাঁশির সুরে আকৃষ্ট হয়ে গোপীরা রাত্রিতে তাঁর সঙ্গে মিলিত হন, যা মানব-ঈশ্বর সম্পর্কের অতীন্দ্রিয় প্রেম ও ভক্তির প্রতীক।
-
লীলার দার্শনিক তাৎপর্য:
-
ভক্তির পরম রূপ প্রকাশ করা।
-
আত্মসমর্পণ ও ঈশ্বরপ্রেমের মহিমা তুলে ধরা।
-
গোপীদের প্রেমের মাধ্যমে জীবাত্মা ও পরমাত্মার মিলনের প্রতীকী অর্থ প্রকাশ।
-
-
সাহিত্যিক মূল্য: এই অংশের কাব্যমাধুর্য, ভাবগাম্ভীর্য ও আধ্যাত্মিক গভীরতা শ্রীমদ্ভাগবতের সৌন্দর্য ও জনপ্রিয়তার মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 1 day ago
শ্রীগীতা কোন ধরণের শাস্ত্র?
Created: 1 day ago
A
স্মৃতিশাস্ত্র
B
ধর্মশাস্ত্র
C
নীতিশাস্ত্র
D
দর্শনশাস্ত্র
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা একটি মহান আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক গ্রন্থ, যা মানুষের আত্মার স্বরূপ ও জীবনের সত্যতত্ত্ব উপলব্ধির শিক্ষা দেয়। এতে ধর্ম, নীতি ও কর্মের আলোচনা থাকলেও এর মূল লক্ষ্য দার্শনিক সত্য প্রকাশ করা।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সঠিক উত্তর: গ) দর্শনশাস্ত্র।
-
গ্রন্থের প্রকৃতি: এটি মূলত এক দার্শনিক গ্রন্থ, যেখানে আত্মা, ব্রহ্ম, কর্ম, জ্ঞান, যোগ ও মোক্ষ সম্পর্কিত গভীর তত্ত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
মূল উদ্দেশ্য: মানুষের আত্মজ্ঞান, ভক্তি, কর্ম ও যোগের মাধ্যমে মুক্তির পথ নির্দেশ করা।
-
গীতার প্রধান যোগসমূহ:
-
কর্মযোগ — কর্তব্যকর্মের মাধ্যমে মুক্তি।
-
জ্ঞানযোগ — জ্ঞানলাভের মাধ্যমে আত্মউদ্ধার।
-
ভক্তিযোগ — ভক্তির মাধ্যমে ঈশ্বরলাভ।
-
সন্ন্যাসযোগ — ত্যাগের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি।
-
-
দার্শনিক দিক: গীতা জীবন, ধর্ম ও সৃষ্টির সত্যতত্ত্ব ব্যাখ্যা করে, যা একে দর্শনশাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত করে।
-
অন্যান্য শাস্ত্র থেকে পার্থক্য: ধর্ম বা নীতিশাস্ত্রের আলোচনা থাকলেও, গীতার মূল ভাবনা জীবনের চরম সত্য অনুসন্ধান, যা দর্শনের মূল ভিত্তি।

0
Updated: 1 day ago
কবিষু কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ - এর অনুবাদ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
কবি কালিদাস শ্রেষ্ঠ
B
কালিদাস আমাদের বড় কবি
C
কালিদাস ছাড়া কবি নাই
D
কবিদের মধ্যে কালিদাস শ্রেষ্ঠ
এই উক্তিটি কালিদাসের অসামান্য প্রতিভা ও সাহিত্যকীর্তির স্বীকৃতি প্রকাশ করে। সংস্কৃত সাহিত্যে তাঁর স্থান অনন্য, এবং “কবিষু কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ” বাক্যটি তাঁকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
১. “কবিষু” অর্থ কবিদের মধ্যে, যা একটি সমষ্টিবাচক রূপ।
২. “কালিদাসঃ” দ্বারা বোঝানো হয়েছে মহান সংস্কৃত কবি কালিদাসকে।
৩. “শ্রেষ্ঠঃ” মানে সর্বোত্তম বা উৎকৃষ্টতম, যা তাঁর সাহিত্যমানের সর্বোচ্চ পর্যায়কে নির্দেশ করে।
৪. বাক্যটির অর্থ— “কবিদের মধ্যে কালিদাস শ্রেষ্ঠ”, যা তাঁর কাব্যপ্রতিভার সর্বজনস্বীকৃত অবস্থানকে প্রকাশ করে।
৫. কালিদাসের রচনায় প্রকৃতি, প্রেম, মানবতা ও নন্দনচেতনার গভীর প্রকাশ তাঁকে এই শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।

0
Updated: 1 day ago
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ব্যবহৃত শঙ্খের নাম কি?
Created: 1 day ago
A
অনন্ত বিজয়
B
দেবদত্তম
C
দুন্দুভি
D
পাঞ্চজন্য
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ব্যবহৃত শঙ্খের নাম “পাঞ্চজন্য”। এই তথ্য পাওয়া যায় শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-এর প্রথম অধ্যায় “অর্জুন বিষাদযোগ”-এর দ্বিতীয় শ্লোকে—
“পাঞ্চজন্যং হৃষীকেশো দেবদত্তং ধনঞ্জয়ঃ।
পাওণ্ড্রং দধ্মৌ মহাশঙ্খং ভীমকর্মা বৃত্তরঃ॥”
(গীতা, অধ্যায় ১, শ্লোক ১৫)
এখানে বলা হয়েছে—হৃষীকেশ (অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ) বাজিয়েছিলেন পাঞ্চজন্য, অর্জুন বাজিয়েছিলেন দেবদত্তম্, এবং ভীম বাজিয়েছিলেন পৌণ্ড্রং নামক মহাশঙ্খ।
১. “পাঞ্চজন্য” শব্দটি এসেছে ‘পাঞ্চজন’ নামক দানবের নাম থেকে, যাকে শ্রীকৃষ্ণ সমুদ্রের মধ্যে বধ করে তার অস্থি থেকে এই শঙ্খ অর্জন করেন।
২. এই ঘটনা মহাভারত-এর সব্যসাচী পার্বে বর্ণিত আছে।
৩. পাঞ্চজন্য শঙ্খ শুধু যুদ্ধের সংকেত নয়, এটি ধর্ম, ন্যায় ও ঈশ্বরচেতনার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।
৪. প্রতীকী অর্থে পাঞ্চজন্য শঙ্খের ধ্বনি অসুরনাশ, ন্যায়ের জাগরণ ও ধর্মরক্ষার বার্তা বহন করে।
৫. ভগবান কৃষ্ণের হাতে পাঞ্চজন্য শঙ্খ তাই দিব্যশক্তি ও ধর্মপালনের প্রতীক হিসেবে পূজিত।
সঠিক উত্তর: ঘ) পাঞ্চজন্য

0
Updated: 1 day ago