নিচের কোনটি ঐতিহাসিক কাব্য?
A
চৌরপঞ্চাশিকা
B
সদুক্তিকর্ণামৃত
C
উত্তররামচরিতম্
D
রাজতরঙ্গিনী
উত্তরের বিবরণ
“রাজতরঙ্গিনী” প্রাচীন ভারতের এক অনন্য ইতিহাসভিত্তিক সংস্কৃত কাব্য, যার রচয়িতা ছিলেন কালহাণ (Kalhaṇa)। এটি কাশ্মীরের রাজাদের ইতিহাস, রাজনৈতিক পরিবর্তন ও সামাজিক জীবনের ধারাবাহিক বিবরণ প্রদান করে এবং ভারতের একমাত্র প্রামাণ্য ঐতিহাসিক কাব্য হিসেবে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে।
-
রচয়িতা ও প্রকৃতি: কালহাণ ছিলেন ১২শ শতাব্দীর কাশ্মীরি কবি ও ইতিহাসবিদ। তাঁর “রাজতরঙ্গিনী” নামের অর্থ “রাজাদের তরঙ্গমালা” — অর্থাৎ রাজবংশের ধারাবাহিক বর্ণনা।
-
বিষয়বস্তু: এতে কাশ্মীরের রাজাদের শাসনকাল, যুদ্ধ, প্রশাসন, সংস্কৃতি ও সমাজজীবনের বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়।
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: এটি শুধুমাত্র কাব্য নয়, বরং ইতিহাস ও সাহিত্য উভয়ের সংমিশ্রণ; এজন্য একে ভারতের প্রাচীন ঐতিহাসিক কাব্যের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ বলা হয়।
-
অন্যান্য কাব্যের তুলনা: “চৌরপঞ্চাশিকা”, “সদুক্তিকর্ণামৃত” ও “উত্তররামচরিতম্” — এগুলো মূলত প্রেম, নীতি বা পুরাণনির্ভর কাব্য, যেখানে ঐতিহাসিক ধারাবিবরণ অনুপস্থিত।
অতএব, “রাজতরঙ্গিনী” হলো এমন এক কাব্য যেখানে ইতিহাস ও কাব্যসৌন্দর্য একত্রে মিশে গেছে, যা ভারতীয় সাহিত্যে এক অনন্য সংযোজন।

0
Updated: 1 day ago
পাণ্ডবদের বনবাস জীবন 'কীরাতার্জুনীয়ম' কাব্যের কোন সর্গে উল্লেখিত হয়েছে?
Created: 23 hours ago
A
দ্বিতীয় সর্গ
B
প্রথম সর্গ
C
পঞ্চম সর্গ
D
তৃতীয় সর্গ
সংস্কৃত সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্য “কীরাতার্জুনীয়ম্” মহাকবি ভারবী কর্তৃক রচিত একটি মহাকাব্য। এতে মূলত মহাভারতের একটি পর্ব অবলম্বনে অর্জুনের তপস্যা ও কীরাতরূপী শিবের সঙ্গে যুদ্ধের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
-
এতে পাণ্ডবদের বনবাসকালীন জীবন, তাদের দুঃখ, ত্যাগ ও ধৈর্য গভীরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
-
প্রথম সর্গে পাণ্ডবদের বনবাসের প্রেক্ষাপট ও জীবনযাত্রার কঠোর বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে।
-
অর্জুনের কঠোর তপস্যা ও শিক্ষালাভের প্রক্রিয়া অত্যন্ত কাব্যিক ও মনোমুগ্ধকরভাবে বর্ণিত।
-
এখানে প্রকৃতি, ভক্তি ও বীরত্বের সংমিশ্রণের মাধ্যমে কবি চরিত্রগুলোর মানসিক গভীরতা ফুটিয়ে তুলেছেন।
-
কাব্যের মূল আকর্ষণ হলো অর্জুনের কীরাতরূপী শিবের সঙ্গে যুদ্ধ, যা মানুষের আত্মোন্নয়ন ও দেবত্বপ্রাপ্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

0
Updated: 23 hours ago
"মন্দাক্রান্তা" ছন্দে রচিত কাব্য কোনটি?
Created: 1 day ago
A
রঘুবংশম
B
রাজতরঙ্গিনী
C
মেঘদূতম্
D
সকসপ্ততিকথা
“মেঘদূতম্” একটি অমর খণ্ডকাব্য, রচয়িতা মহান সংস্কৃত কবি কালিদাস। এটি তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি এবং সংস্কৃত সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ প্রেমবিরহমূলক কাব্যগুলোর মধ্যে অন্যতম।
-
কাব্যের প্রকৃতি: এটি একটি খণ্ডকাব্য, যেখানে এক নির্বাসিত যক্ষ তার প্রিয় স্ত্রীর কাছে বার্তা পাঠায় এক মেঘের মাধ্যমে।
-
ছন্দ: কাব্যটি রচিত হয়েছে মন্দাক্রান্তা ছন্দে, যা তার মধুর, কোমল ও সুরেলা গতির জন্য বিখ্যাত। এই ছন্দ প্রেম, বেদনা ও বিরহের আবেগ প্রকাশে বিশেষভাবে উপযুক্ত।
-
মূল ভাব: কাব্যে যক্ষের প্রিয়ার প্রতি গভীর ভালোবাসা, বিচ্ছেদের বেদনা এবং প্রকৃতির মাধ্যমে তার অনুভূতির কাব্যিক রূপ ফুটে উঠেছে।
-
সাহিত্যিক মাহাত্ম্য: “মেঘদূতম্” কেবল প্রেম ও বিরহের কাব্য নয়; এটি মানব-মন, প্রকৃতি ও কল্পনার এক অনুপম সংলাপ, যা কালিদাসকে “কবিকুলগুরু” হিসেবে অমর করেছে।

0
Updated: 1 day ago
কার বিরহদশা উপজীব্য করে মেঘদূত কাব্য রচিত?
Created: 1 day ago
A
যক্ষপত্নীর
B
কুরুপত্নীর
C
অলকাপুরীর
D
দময়ন্তীর
মহাকবি কালিদাস রচিত “মেঘদূত” একটি অনুপম সংস্কৃত কাব্য, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এক যক্ষের গভীর প্রেম ও বিরহবেদনা। কাব্যটি মানবিক আবেগ, প্রকৃতির সৌন্দর্য ও কল্পনার মিশ্রণে গঠিত এক অসামান্য কাব্যিক সৃষ্টি।
১. কাহিনির মূল চরিত্র একজন যক্ষ, যিনি দেবরাজ কুবেরের আদেশ অমান্য করার ফলে নির্বাসিত হন।
২. নির্বাসনকালে যক্ষ তার প্রিয় স্ত্রীর প্রতি বিরহ ও অনুতাপে ভোগে এবং তার কাছে নিজের মনের কথা পৌঁছে দিতে একটি মেঘকে দূতরূপে প্রেরণ করেন।
৩. এই বার্তাবাহক মেঘের মাধ্যমে যক্ষের আবেগ, আকুলতা ও প্রেমবেদনা কাব্যিক রূপে প্রকাশ পেয়েছে।
৪. “মেঘদূত” দুটি অংশে বিভক্ত — পুর্বমেঘ ও উত্তরমেঘ, যেখানে প্রথম অংশে যক্ষ মেঘকে যাত্রাপথ নির্দেশ দেয় এবং দ্বিতীয় অংশে স্ত্রীর প্রতি বার্তা প্রেরণ করে।
৫. কাব্যটিতে প্রকৃতির বর্ণনা, প্রেমের সূক্ষ্ম অনুভূতি এবং শব্দচয়নের কাব্যিকতা কালিদাসের অতুলনীয় রোমান্টিক ও ভাবসম্পন্ন শৈলী প্রকাশ করে।
৬. “মেঘদূত” শুধু একটি প্রেমকাহিনি নয়, এটি বিরহ, আশা ও আধ্যাত্মিক সংযোগের প্রতীক, যা সংস্কৃত কাব্যসাহিত্যে এক অমর নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 1 day ago