দিনরাত পূণ্য অর্জন কর- এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
A
দিবারাত্র পূণ্য অর্জয়
B
অহোরাত্র পূণ্যম্ অর্জয়
C
প্রতিদিন পূণ্য অর্জনম্
D
দিনং দিনং পূণ্য আহরতি
উত্তরের বিবরণ
সংস্কৃত বাক্য “অহোরাত্র পূণ্যম্ অর্জয়” একটি নির্দেশমূলক বা আদেশবাচক বাক্য, যার দ্বারা নিয়মিত সৎকর্ম ও ধর্মচর্চার উপদেশ দেওয়া হয়েছে। বাক্যের প্রতিটি শব্দের নিজস্ব অর্থ একত্রে একটি গভীর নৈতিক বার্তা প্রকাশ করে।
১. অহঃ (Ahaḥ) — অর্থ “দিন” বা “দিবস”, আবার অহোরাত্র শব্দে এটি “দিনরাত্রি” অর্থে ব্যবহৃত।
২. রাত্র (Rātra) — অর্থ “রাত্রি” বা “রাত”। অহঃ + রাত্র = অহোরাত্র, যার মানে “দিনরাত”।
৩. পূণ্যম্ (Puṇyam) — অর্থ “পুণ্য”, “ধর্মসাধনা” বা “সৎকর্মের ফল”।
৪. অর্জয় (Arjaya) — ক্রিয়াপদ, অর্থ “অর্জন করো” বা “সংগ্রহ করো”।
৫. সব মিলিয়ে “অহোরাত্র পূণ্যম্ অর্জয়” অর্থ — “দিনরাত পুণ্য অর্জন করো”, যা মানুষকে সর্বদা সৎ, নৈতিক ও ধর্মনিষ্ঠ জীবনের আহ্বান জানায়।
৬. এই বাক্যটির মূল ভাব হলো, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ধর্ম, করুণা ও সৎকর্মের চর্চা করা — সেটিই প্রকৃত পুণ্য অর্জনের পথ।

0
Updated: 1 day ago
কৃষক খেতে চাষ করছে- এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
কৃষকঃ ক্ষেত্রে কর্ষতি
B
কৃষকাঃ ক্ষেত্রে কর্ষণঃ
C
কৃষকঃ ক্ষেত্রেং কৃষতি
D
কৃষকঃ ক্ষেত্রায় কৃষতি
বাক্যটি “কৃষক খেতে চাষ করছে” এর সংস্কৃত অনুবাদ গঠিত হয় সঠিক কারক ও ক্রিয়াপদ প্রয়োগের মাধ্যমে, যেখানে প্রতিটি পদ নির্দিষ্ট ব্যাকরণগত ভূমিকা পালন করে।
-
কৃষকঃ: কর্তা বা কর্মসম্পাদক, তাই এটি কর্তৃকারক, প্রথমা বিভক্তি, একবচন, পুংলিঙ্গ।
-
ক্ষেতে (ক্ষেত্রে): কাজটি যেখানে সম্পন্ন হচ্ছে, অর্থাৎ অধিকরণ কারক, যা সপ্তমী বিভক্তি দ্বারা প্রকাশিত হয়।
-
কर्षতি: মূল ধাতু “কৃষ্” (চাষ করা) থেকে উৎপন্ন বর্তমানকালের ক্রিয়াপদ, যার অর্থ “চাষ করছে”।
অতএব, ব্যাকরণ অনুযায়ী সঠিক বাক্যগঠন হবে — “कृषकः क्षेत्रे कर्षति” (কৃষকঃ ক্ষেত্রে কর্ষতি), যার অর্থ — “কৃষক খেতে চাষ করছে।”

0
Updated: 1 day ago
বিদ্বান সর্বেষাং পূজিতঃ- বাক্যটির অনুবাদ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
বিদ্বান ব্যক্তি সকলের পূজনীয
B
বিদ্যা দ্বারা পূজা পায়
C
বিদ্যালাভ হলে পূজা পায়
D
বিদ্যাজনই শ্রেষ্ঠসম্পদ
বাক্যটি একটি সাধারণ সত্যবচনমূলক সংস্কৃত বাক্য, যা জ্ঞানের মর্যাদা ও সমাজে বিদ্বান ব্যক্তির সম্মানকে প্রকাশ করে। প্রতিটি শব্দের নিজস্ব অর্থ মিলিয়ে পুরো বাক্যটি এক সার্বজনীন সত্য প্রকাশ করে।
১. विद्वान् (বিদ্বান্) — অর্থ জ্ঞানী, পণ্ডিত বা শিক্ষিত ব্যক্তি, যিনি বিদ্যার মাধ্যমে প্রজ্ঞা অর্জন করেছেন।
২. सर्वेषाम् (সর্বেষাম্) — অর্থ সকলের, অর্থাৎ সমাজের প্রতিটি মানুষের।
৩. पूजितः (পূজিতঃ) — অর্থ পূজিত, সম্মানিত বা শ্রদ্ধেয়।
৪. পুরো বাক্যের অর্থ: “বিদ্বান ব্যক্তি সকলের দ্বারা পূজিত হয়” বা “জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তি সমাজে শ্রদ্ধা পান।”
৫. নীতিগত তাৎপর্য: এই বাক্যটি সংস্কৃত নীতিশাস্ত্র, উপনিষদ ও প্রাচীন ভারতীয় দর্শনের মূল ভাবের সঙ্গে সম্পর্কিত, যেখানে বলা হয়েছে— বিদ্যা মানুষকে উন্নত করে, অজ্ঞান থেকে মুক্তি দেয় এবং সামাজিক শ্রদ্ধার অধিকারী করে তোলে।
৬. মূল ভাবার্থ: জ্ঞান বা বিদ্যা মানুষকে শুধু আলোকিতই করে না, বরং তাকে সমাজে মর্যাদাবান করে তোলে; তাই বিদ্বান ব্যক্তি সর্বজনের পূজনীয়।

0
Updated: 1 day ago
বিপদি ধৈর্যং ধারয়- এর অনুবাদ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
বিপদে ধৈর্য নাই
B
বিপদকে দূরে রাখ
C
বিপদে ধৈর্য ধারণ কর
D
বিপদে দিশেহারা হয়ো না
এই সংস্কৃত বাক্যটি একটি উপদেশমূলক উক্তি, যেখানে জীবনের সংকটকালীন পরিস্থিতিতে ধৈর্যের গুরুত্ব প্রকাশ করা হয়েছে। এটি নীতিশাস্ত্র ও প্রাচীন উপদেশমূলক শ্লোকসমূহের অন্যতম সাধারণ শিক্ষা হিসেবে বিবেচিত।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সঠিক উত্তর: গ) বিপদে ধৈর্য ধারণ কর।
-
বাক্যের বিশ্লেষণ:
-
বিপদি (বিপদে): “বিপদ” শব্দের সপ্তমী বিভক্তি, অর্থাৎ “কোন অবস্থায়?” → বিপদে।
-
ধৈর্যং (ধৈর্য): অর্থ সহনশীলতা বা স্থিরতা।
-
ধারয় (ধারণ কর): √ধৃ ধাতু (ধারণ করা) থেকে উদ্ভূত লোট্ লকার ক্রিয়া, অর্থ “ধারণ কর” বা “অবলম্বন কর”।
-
-
সম্পূর্ণ অর্থ: “বিপদে ধৈর্য ধারণ কর” বা “বিপদের সময় ধৈর্য ধারণ করা উচিত।”
-
বাক্যের ভাবার্থ: এটি জীবনের প্রতিকূল মুহূর্তে শান্ত থাকা, সহনশীল থাকা এবং স্থিরচিত্তে সমস্যার মোকাবিলা করার পরামর্শ দেয়।
-
নৈতিক তাৎপর্য: প্রাচীন ভারতীয় নীতিশাস্ত্রে ধৈর্যকে সর্বোচ্চ গুণগুলির একটি বলা হয়েছে, কারণ এটি মনুষ্যজীবনে স্থিরতা, সাহস ও সাফল্যের ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 1 day ago