'মেঘদূতম' কাব্যে মেঘের গতিপথ কোনটি?
A
অলকা থেকে রামগিরি
B
কাশ্মীর থেকে পাঞ্জাব
C
হরিয়ানা থেকে দিল্লী
D
রামগিরি থেকে অলকা
উত্তরের বিবরণ
কালিদাসের “মেঘদূত” কাব্যে এক নির্বাসিত যক্ষ তার প্রিয় স্ত্রীর কাছে বার্তা পাঠাতে একটি মেঘকে দূত হিসেবে প্রেরণ করে। এই কাব্যের মূল কাহিনি মেঘের যাত্রাপথ ও সেই যাত্রার কাব্যময় বর্ণনাকে কেন্দ্র করে গঠিত।
-
যক্ষের অবস্থা: দেবরাজ কুবেরের অভিশাপে যক্ষ রামগিরি পর্বতে নির্বাসিত জীবনযাপন করছিল।
-
দূত প্রেরণ: প্রিয় স্ত্রীর প্রতি গভীর ভালোবাসায় তিনি এক শুভ মেঘকে দূত রূপে কল্পনা করেন এবং তাকে বার্তা প্রেরণের অনুরোধ জানান।
-
রামগিরি: এটি যক্ষের নির্বাসনস্থল, মধ্যভারতের এক পর্বতাঞ্চল, যেখানে যক্ষের একাকিত্ব ও বিরহচেতনা ফুটে ওঠে।
-
অলকা: যক্ষের স্ত্রীর বাসস্থান, যা কৈলাস পর্বতের নিকটে স্বর্গীয় অলকানগর নামে পরিচিত।
-
মেঘের যাত্রা: মেঘটি রামগিরি থেকে অলকা পর্যন্ত দীর্ঘ পথে যাত্রা করে, আর সেই পথে পর্বত, নদী, বনভূমি, নগর ও ঋতুচিত্রের মনোরম বর্ণনা কবি সুচারুভাবে অঙ্কন করেছেন।
-
কাব্যের সৌন্দর্য: এই যাত্রাপথের বর্ণনায় প্রকৃতি, প্রেম ও বিরহের মিশ্র অনুভূতি মূর্ত হয়ে উঠেছে, যা “মেঘদূত”কে কালিদাসের এক অমর কাব্যরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

0
Updated: 1 day ago
"মন্দাক্রান্তা" ছন্দে রচিত কাব্য কোনটি?
Created: 1 day ago
A
রঘুবংশম
B
রাজতরঙ্গিনী
C
মেঘদূতম্
D
সকসপ্ততিকথা
“মেঘদূতম্” একটি অমর খণ্ডকাব্য, রচয়িতা মহান সংস্কৃত কবি কালিদাস। এটি তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি এবং সংস্কৃত সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ প্রেমবিরহমূলক কাব্যগুলোর মধ্যে অন্যতম।
-
কাব্যের প্রকৃতি: এটি একটি খণ্ডকাব্য, যেখানে এক নির্বাসিত যক্ষ তার প্রিয় স্ত্রীর কাছে বার্তা পাঠায় এক মেঘের মাধ্যমে।
-
ছন্দ: কাব্যটি রচিত হয়েছে মন্দাক্রান্তা ছন্দে, যা তার মধুর, কোমল ও সুরেলা গতির জন্য বিখ্যাত। এই ছন্দ প্রেম, বেদনা ও বিরহের আবেগ প্রকাশে বিশেষভাবে উপযুক্ত।
-
মূল ভাব: কাব্যে যক্ষের প্রিয়ার প্রতি গভীর ভালোবাসা, বিচ্ছেদের বেদনা এবং প্রকৃতির মাধ্যমে তার অনুভূতির কাব্যিক রূপ ফুটে উঠেছে।
-
সাহিত্যিক মাহাত্ম্য: “মেঘদূতম্” কেবল প্রেম ও বিরহের কাব্য নয়; এটি মানব-মন, প্রকৃতি ও কল্পনার এক অনুপম সংলাপ, যা কালিদাসকে “কবিকুলগুরু” হিসেবে অমর করেছে।

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোনটি ঐতিহাসিক কাব্য?
Created: 1 day ago
A
চৌরপঞ্চাশিকা
B
সদুক্তিকর্ণামৃত
C
উত্তররামচরিতম্
D
রাজতরঙ্গিনী
“রাজতরঙ্গিনী” প্রাচীন ভারতের এক অনন্য ইতিহাসভিত্তিক সংস্কৃত কাব্য, যার রচয়িতা ছিলেন কালহাণ (Kalhaṇa)। এটি কাশ্মীরের রাজাদের ইতিহাস, রাজনৈতিক পরিবর্তন ও সামাজিক জীবনের ধারাবাহিক বিবরণ প্রদান করে এবং ভারতের একমাত্র প্রামাণ্য ঐতিহাসিক কাব্য হিসেবে বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে।
-
রচয়িতা ও প্রকৃতি: কালহাণ ছিলেন ১২শ শতাব্দীর কাশ্মীরি কবি ও ইতিহাসবিদ। তাঁর “রাজতরঙ্গিনী” নামের অর্থ “রাজাদের তরঙ্গমালা” — অর্থাৎ রাজবংশের ধারাবাহিক বর্ণনা।
-
বিষয়বস্তু: এতে কাশ্মীরের রাজাদের শাসনকাল, যুদ্ধ, প্রশাসন, সংস্কৃতি ও সমাজজীবনের বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়।
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: এটি শুধুমাত্র কাব্য নয়, বরং ইতিহাস ও সাহিত্য উভয়ের সংমিশ্রণ; এজন্য একে ভারতের প্রাচীন ঐতিহাসিক কাব্যের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ বলা হয়।
-
অন্যান্য কাব্যের তুলনা: “চৌরপঞ্চাশিকা”, “সদুক্তিকর্ণামৃত” ও “উত্তররামচরিতম্” — এগুলো মূলত প্রেম, নীতি বা পুরাণনির্ভর কাব্য, যেখানে ঐতিহাসিক ধারাবিবরণ অনুপস্থিত।
অতএব, “রাজতরঙ্গিনী” হলো এমন এক কাব্য যেখানে ইতিহাস ও কাব্যসৌন্দর্য একত্রে মিশে গেছে, যা ভারতীয় সাহিত্যে এক অনন্য সংযোজন।

0
Updated: 1 day ago
মেঘদূতম কাব্যের উৎস কোনটি?
Created: 1 day ago
A
মহাভারত
B
রামায়ণ
C
পুরাণ
D
ঋগ্বেদ
“মেঘদূতম্” মহাকবি কালিদাস রচিত এক অনন্য সংস্কৃত গীতিকাব্য, যার মূল প্রেরণা নিহিত আছে “রামায়ণ” মহাকাব্যে। রামায়ণের বিচ্ছেদ, বেদনা ও বার্তাপ্রেরণের ভাবধারাই মেঘদূতের কাহিনিকে আবেগপূর্ণ ও অনুরণিত করেছে।
১. কাব্যের বিষয়বস্তু: নির্বাসিত এক যক্ষ তার প্রিয় পত্নীর কাছে মেঘের মাধ্যমে বার্তা পাঠায়—এই কাহিনিই মেঘদূতের মূল কেন্দ্র।
২. রামায়ণের প্রভাব: রামায়ণে রাবণের হাতে বন্দী সীতা রামের প্রতি বার্তা পাঠানোর যে আকুলতা প্রকাশ করেন, তা-ই মেঘদূতের আবেগ ও ভাবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিলে যায়।
৩. ভাবগত সাদৃশ্য: উভয় কাহিনিতেই প্রিয়জনের বিচ্ছেদ, আকুলতা ও পুনর্মিলনের আকাঙ্ক্ষা গভীরভাবে প্রতিফলিত।
৪. পণ্ডিতমত: সাহিত্য বিশারদদের মতে, রামায়ণই মেঘদূতের মূল উৎস—কালিদাস সেখানে রাম-সীতার বেদনা থেকে প্রেরণা নিয়ে যক্ষ-যক্ষিণীর বিরহকে কাব্যময় রূপ দিয়েছেন।
৫. মূল ভাবার্থ: রামায়ণ যেমন প্রেম, বেদনা ও নিষ্ঠার প্রতীক; তেমনি মেঘদূতও সেই অনন্ত মানবীয় অনুভূতির শিল্পিত প্রতিচ্ছবি। তাই রামায়ণকে মেঘদূতের প্রেরণার উৎস বলা হয়।

0
Updated: 1 day ago