ষত্ব বিধানের উদাহরণ কোনটি?
A
সুষমঃ
B
উষ্মা
C
সুমন্ত
D
লবণ
উত্তরের বিবরণ
সংস্কৃত ব্যাকরণে “ষত্ব বিধান (Sattva Vidhana)” এমন একটি নিয়ম, যেখানে কোনো পদার্থ বা গুণের নাম তার স্বভাব, গুণ বা প্রকৃতি অনুযায়ী গঠিত হয়। এই নিয়মে শব্দের অর্থ তার অন্তর্নিহিত গুণ বা বৈশিষ্ট্যকে প্রতিফলিত করে।
-
উদাহরণ হিসেবে “সুষমঃ” শব্দটি গঠিত হয়েছে —
সম (সমতা, সমান) + ম (পদার্থ বা গুণ নির্দেশক প্রত্যয়) → সমতার বৈশিষ্ট্যযুক্ত পদার্থ, অর্থাৎ যেখানে সাম্য বা সমতা রয়েছে। -
এটি ষত্ব বিধানের যথাযথ উদাহরণ, কারণ শব্দটি পদার্থের গুণনির্ভর।
-
অন্যদিকে লবণ, সুমন্ত, উষ্মা প্রভৃতি শব্দে এই গঠনপ্রণালী নেই, তাই সেগুলো ষত্ব বিধানের অন্তর্ভুক্ত নয়।
-
এই বিধান সংস্কৃত শব্দগঠনশাস্ত্রে এক বিশেষ ধারা, যা অর্থ ও ধাতুর মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
অতএব, ষত্ব বিধানের সঠিক উদাহরণ হলো “সুষমঃ”, কারণ এটি পদার্থের গুণের ভিত্তিতে গঠিত একটি শব্দ।

0
Updated: 1 day ago
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন- এর সংস্কৃত অনুবাদ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
মেঘাচ্ছন্নম্ আকাশম্
B
আকাশঃ মেঘে আচ্ছন্নম্
C
আকাশে মেঘে আচ্ছয়তি
D
নবম মেঘাবৃত্তম্
“আকাশ মেঘাচ্ছন্ন” বাক্যটি এমন একটি বর্ণনামূলক বাক্য, যেখানে আকাশের অবস্থা বোঝানো হয়েছে। সংস্কৃতে অনুবাদ করার সময় উভয় পদই নপুংসকলিঙ্গ ও একবচন রূপে ব্যবহৃত হয় যাতে লিঙ্গ ও বচনের সামঞ্জস্য বজায় থাকে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সঠিক উত্তর: ক) মেঘাচ্ছন্নম্ আকাশম্।
-
“আকাশ” শব্দের বিশ্লেষণ:
-
এটি বিষয়বাচক পদ, কর্তা নয়।
-
নপুংসকলিঙ্গ, একবচন, প্রথমা বিভক্তি রূপে ব্যবহৃত।
-
রূপ: আকাশম্।
-
-
“মেঘাচ্ছন্নম্” শব্দের বিশ্লেষণ:
-
গঠন: মেঘ + আচ্ছন্ন → অর্থ মেঘ দ্বারা আচ্ছাদিত।
-
এটি একটি কৃদন্ত বিশেষণ পদ (Past Participle Adjective)।
-
এখানে “আচ্ছাদিত” বা “ঢাকা” অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
-
বাক্যার্থ: “মেঘ দ্বারা আচ্ছাদিত আকাশ” → অর্থাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন।
-
ব্যাকরণগত দিক: উভয় পদই নপুংসকলিঙ্গ একবচন রূপে থাকায় সামঞ্জস্যপূর্ণ ও শুদ্ধ বাক্যগঠন হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
ভাসের লেখা নাটকের সংখ্যা কয়টি?
Created: 1 day ago
A
৫ টি
B
১৫ টি
C
১৩ টি
D
১০ টি
ভাস ছিলেন ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও শ্রেষ্ঠ সংস্কৃত নাট্যকার, যিনি কালিদাসেরও পূর্ববর্তী যুগে সাহিত্যসাধনা করেছিলেন। তাঁর রচনাগুলি প্রাচীন ভারতীয় নাট্যসাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
ভাসের সময়কাল প্রায় খ্রিস্টীয় ২য়–৩য় শতক।
-
কালিদাস নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তিনি ভাসসহ প্রাচীন কবিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন— “ভাস, সৌমিল, কৌটিল্যাদি পুরাতন কবিদের পদাঙ্কে আমি চলেছি” (মালবিকাগ্নিমিত্রম, ভূমিকা অংশে)।
-
বহুদিন ভাসের নাটকগুলো হারিয়ে গিয়েছিল, তবে কেরালার পণ্ডিত টি. গণপতিশাস্ত্রী ১৯১২–১৯১৫ সালের মধ্যে ত্রিবাঙ্কুরের এক পান্ডুলিপি থেকে ভাসের ১৩টি নাটক উদ্ধার করেন।
-
এর মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয় যে, ভাসের রচিত নাটকের সংখ্যা ১৩টি।
ভাসের ১৩টি নাটক ও তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
-
প্রতিজ্ঞা যৗগন্ধরায়ণম্ — যৌগন্ধরায়ণের প্রতিজ্ঞা ও উদার নীতির কাহিনি
-
স্বপ্নবাসবদত্তম্ — উদয়ন ও বাসবদত্তার প্রেমগাথা
-
পাঞ্চরাত্রম্ — উদয়ন–বাসবদত্তা–সুশ্রুভার কাহিনি
-
দূতঘটোত্কচম্ — মহাভারতের ঘটোত্কচ ও কৃষ্ণসংক্রান্ত নাটক
-
দূতবাক্যম্ — কৃষ্ণের কৌরব সভায় দূতরূপে যাত্রা
-
উরুভঙ্গম্ — দুরু্যোধনের উরু ভাঙার কাহিনি
-
কর্ণভারম্ — কর্ণের দানশীলতার চিত্রণ
-
অবিমারক (অভিমারক) — রোমান্টিক প্রেমকাহিনি
-
বালচরিতম্ — কৃষ্ণের শৈশবজীবনের কাহিনি
-
দারিদ্রচরিতম্ — মানবজীবনের দারিদ্র্যচিত্র
-
মাধ্যম্যবয়নম্ — মধ্যমবীর নায়কের কাহিনি
-
অভিমারক (Abhimāraka) — রাজকুমার–রাজকন্যার প্রেমগাথা
-
প্রতিমা নাটকম্ — রামায়ণ অবলম্বনে রচিত নাটক
কিছু গবেষকের মতে, দারিদ্রচরিতম্ ও মাধ্যম্যবয়নম্ সম্ভবত ভাসের রচনা নয়, কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে এগুলোকেও তাঁর নামে স্বীকৃত দেওয়া হয়েছে।
ভাসের নাটকের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
সংক্ষিপ্ত অথচ নাটকীয় উপস্থাপনা— ঘটনা বিন্যাস দ্রুত ও সংলাপ শক্তিশালী।
-
মানবিক আবেগের গভীর প্রকাশ— করুণা, প্রেম, ত্যাগ ও বীরত্বের মিশ্রণ।
-
সাহিত্যিক উদ্ভাবনশক্তি— রামায়ণ ও মহাভারতের পরিচিত কাহিনিতে নতুন ব্যাখ্যা।
-
নাট্যরূপের পূর্বসূরী ভূমিকা— পরবর্তী নাট্যকার যেমন কালিদাস ও ভট্টনারায়ণ ভাসের নাটক থেকে প্রভাবিত হন।
এইভাবে ভাস সংস্কৃত নাট্যধারার ভিত্তি স্থাপন করেন, যা ভারতীয় নাট্যকলার বিকাশে এক যুগান্তকারী অবদান হিসেবে চিহ্নিত।

0
Updated: 1 day ago
মহাভারতের মোট শ্লোকসংখ্যা কতটি?
Created: 1 day ago
A
৭০০ টি
B
১০০০০০ টি
C
১৮০০ টি
D
২৪০০০ টি
মহাভারত একটি প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্য, যার রচয়িতা মহর্ষি ব্যাসদেব। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাকাব্য হিসেবে পরিচিত এবং ভারতীয় সাহিত্য, ইতিহাস ও দর্শনের এক অনন্য নিদর্শন।
-
গঠন: পুরো মহাভারতে প্রায় ১,০০,০০০ শ্লোক বা প্রায় ২,০০,০০০ পদ্যপঙ্ক্তি রয়েছে।
-
পর্বসংখ্যা: এটি ১৮টি পর্বে বিভক্ত, যার প্রতিটি পর্বে ধর্ম, যুদ্ধ, রাজনীতি, সমাজ ও আধ্যাত্মিকতার নানা দিক আলোচনা করা হয়েছে।
-
বিষয়বস্তু: মূলত কুরুক্ষেত্র যুদ্ধকে কেন্দ্র করে গঠিত হলেও এতে মানবজীবনের নৈতিক, দার্শনিক ও ধর্মীয় দিকের বিস্তৃত বিশ্লেষণ রয়েছে।
-
সাংস্কৃতিক মূল্য: মহাভারত কেবল একটি ধর্মগ্রন্থ নয়; এটি ভারতীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি, নৈতিকতা ও জীবনবোধের এক মহামূল্যবান দলিল, যেখানে “ধর্ম” ধারণাটি জীবনের কেন্দ্রীয় নীতি হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago