গদ্যসাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন কোন বেদে পাওয়া যায়?
A
ঋগ্বেদে
B
যজুর্বেদে
C
সামবেদে
D
ধনুর্বেদে
উত্তরের বিবরণ
ঋগ্বেদ হল চার বেদের মধ্যে প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে প্রামাণ্য ধর্মগ্রন্থ, যা প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতির ভিত্তি স্থাপন করেছে। এতে দেবতা, প্রকৃতি ও মানবজীবনের প্রতি ভক্তি ও দার্শনিক চিন্তার প্রকাশ ঘটেছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
পরিচয়: ঋগ্বেদ হলো প্রাচীনতম বেদ, যা সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
-
বিন্যাস: এটি গদ্য ও ছন্দবদ্ধ স্তোত্র দ্বারা গঠিত।
-
বিষয়বস্তু: মূলত দেবতা ও প্রকৃতির প্রতি স্তোত্র, প্রার্থনা ও ভক্তিগীতি সংবলিত।
-
ধর্মীয় গুরুত্ব: এতে অগ্নি, ইন্দ্র, বরুণ, মিত্র, সূর্য প্রভৃতি দেবতাদের উদ্দেশ্যে স্তোত্র রয়েছে।
-
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য: ঋগ্বেদে ভক্তিমূলক, দার্শনিক ও সামাজিক চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।
-
গদ্যসাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন: এটি ভারতীয় গদ্য ও সাহিত্যিক রচনার সূচনা হিসেবে গণ্য, কারণ এর ভাব, রূপ ও ভাষা পরবর্তীকালের উপনিষদ ও দর্শনগ্রন্থের ভিত্তি স্থাপন করেছে।

0
Updated: 1 day ago
রাজা উদয়নের রাজ্যের নাম কি?
Created: 1 day ago
A
উত্তরাখণ্ড
B
কাশ্মীর
C
বৎস রাজ্য
D
দণ্ডকারণ্য
“স্বপ্নবাসবদত্তম” একটি প্রখ্যাত সংস্কৃত নাটক, যার নায়ক রাজা উদয়ন, এবং নাটকের প্রধান প্রেক্ষাপট হলো বৎস রাজ্য। এই রাজ্যকেই নাটকের কাহিনির কেন্দ্রস্থল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
১. রাজ্যের পরিচয়: বৎস রাজ্য ছিল প্রাচীন ভারতের এক সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী রাজ্য, যার রাজধানী ছিল কৌশাম্বী।
২. নায়ক উদয়ন: রাজা উদয়ন ছিলেন বৎসরাজ্যের শাসক—বীর, রসিক ও কাব্যপ্রেমী রাজা, যিনি বীণাবাদন ও কূটনৈতিক দক্ষতার জন্য পরিচিত।
৩. নাট্যের কাহিনি: কাহিনিটি উদয়ন ও বাসবদত্তার প্রেম এবং রাজনীতির সংঘাতে আবর্তিত, যেখানে প্রেম, কৌশল ও রাজ্যনীতি একে অপরের সঙ্গে জড়িত।
৪. প্রেক্ষাপটের গুরুত্ব: বৎসরাজ্য শুধু ভৌগোলিক স্থান নয়, বরং নাটকের রাজনৈতিক ও আবেগিক পরিবেশের ভিত্তি; এখানেই নাটকের প্রধান সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
৫. মূল ভাবার্থ: বৎসরাজ্য নাটকে ক্ষমতা, কূটনীতি ও প্রেমের মেলবন্ধনের প্রতীক—যেখানে উদয়নের বীরত্ব, প্রেম ও প্রজ্ঞা একই সঙ্গে বিকশিত হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
শ্রীগীতা কোন ধরণের শাস্ত্র?
Created: 1 day ago
A
স্মৃতিশাস্ত্র
B
ধর্মশাস্ত্র
C
নীতিশাস্ত্র
D
দর্শনশাস্ত্র
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা একটি মহান আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক গ্রন্থ, যা মানুষের আত্মার স্বরূপ ও জীবনের সত্যতত্ত্ব উপলব্ধির শিক্ষা দেয়। এতে ধর্ম, নীতি ও কর্মের আলোচনা থাকলেও এর মূল লক্ষ্য দার্শনিক সত্য প্রকাশ করা।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সঠিক উত্তর: গ) দর্শনশাস্ত্র।
-
গ্রন্থের প্রকৃতি: এটি মূলত এক দার্শনিক গ্রন্থ, যেখানে আত্মা, ব্রহ্ম, কর্ম, জ্ঞান, যোগ ও মোক্ষ সম্পর্কিত গভীর তত্ত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
মূল উদ্দেশ্য: মানুষের আত্মজ্ঞান, ভক্তি, কর্ম ও যোগের মাধ্যমে মুক্তির পথ নির্দেশ করা।
-
গীতার প্রধান যোগসমূহ:
-
কর্মযোগ — কর্তব্যকর্মের মাধ্যমে মুক্তি।
-
জ্ঞানযোগ — জ্ঞানলাভের মাধ্যমে আত্মউদ্ধার।
-
ভক্তিযোগ — ভক্তির মাধ্যমে ঈশ্বরলাভ।
-
সন্ন্যাসযোগ — ত্যাগের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি।
-
-
দার্শনিক দিক: গীতা জীবন, ধর্ম ও সৃষ্টির সত্যতত্ত্ব ব্যাখ্যা করে, যা একে দর্শনশাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত করে।
-
অন্যান্য শাস্ত্র থেকে পার্থক্য: ধর্ম বা নীতিশাস্ত্রের আলোচনা থাকলেও, গীতার মূল ভাবনা জীবনের চরম সত্য অনুসন্ধান, যা দর্শনের মূল ভিত্তি।

0
Updated: 1 day ago
সংস্কৃত সাহিত্যের আদিযুগ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
উপনিষদ যুগ
B
মধ্যযুগ
C
বৈদিক যুগ
D
কাব্য যুগ
সংস্কৃত সাহিত্যের আদিযুগ হিসেবে বৈদিক যুগ সর্বজনস্বীকৃত, কারণ এই সময়েই সংস্কৃত ভাষার প্রাচীনতম রূপে রচিত হয়েছে চারটি বেদ। এই যুগ সংস্কৃত সাহিত্য ও ভারতীয় আধ্যাত্মিক চিন্তার ভিত্তি স্থাপন করেছে।
১. প্রধান গ্রন্থসমূহ: এই যুগে রচিত চারটি বেদ হলো—ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ।
২. সাহিত্যের প্রকৃতি: বৈদিক সাহিত্যে মূলত প্রার্থনা, স্তোত্র, যজ্ঞসংক্রান্ত মন্ত্র, দেবতাদের উদ্দেশ্যে নিবেদন ও দার্শনিক চিন্তাধারা প্রকাশ পেয়েছে।
৩. ভাষার বৈশিষ্ট্য: এই সময়ের সংস্কৃত ভাষা ছিল প্রাকৃত ও প্রাচীন রূপের, যা পরে শাস্ত্রীয় সংস্কৃতের ভিত্তি হয়ে ওঠে।
৪. চিন্তাধারার গভীরতা: বেদে কেবল ধর্মীয় প্রার্থনাই নয়, বরং প্রকৃতি, নৈতিকতা, সৃষ্টিতত্ত্ব ও মানবজীবনের দার্শনিক ব্যাখ্যাও পাওয়া যায়।
৫. ঐতিহাসিক গুরুত্ব: বৈদিক যুগের সাহিত্য পরবর্তীকালে উপনিষদ, মহাকাব্য, নাটক ও কাব্যসাহিত্য–এর বিকাশের ভিত্তি তৈরি করেছে, যা সংস্কৃত সাহিত্যের পরবর্তী যুগগুলোর মূল প্রেরণা।

0
Updated: 1 day ago