বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি - এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
A
বাংলাদেশঃ অস্মাকং মাতৃভূমিঃ
B
বাংলাদেশঃ অস্মাভ্য মাতৃভূমিঃ
C
বাংলাদেশস্য অস্মাকং জন্মভূমিঃ
D
বাংলাদেশাৎ অস্মাৎ মাতৃভূমি
উত্তরের বিবরণ
সংস্কৃত বাক্য “বাংলাদেশঃ অস্মাকং মাতৃভূমিঃ” একটি পূর্ণার্থবোধক ও ব্যাকরণসম্মত বাক্য, যার প্রতিটি শব্দের নিজস্ব অর্থ রয়েছে এবং সম্মিলিতভাবে তা দেশপ্রেমের সুন্দর প্রকাশ ঘটায়।
১. বাংলাদেশঃ (Bangladeśaḥ) — এখানে “ঃ” দ্বারা নির্দেশিত হয়েছে পুল্লিঙ্গ একবচন প্রथামা বিভক্তি, অর্থাৎ “বাংলাদেশ”।
২. অস্মাকং (Asmākaṃ) — সর্বনাম, অর্থ “আমাদের” বা “আমাদের অন্তর্গত”।
৩. মাতৃভূমিঃ (Mātṛbhūmiḥ) — স্ত্রীলিঙ্গ শব্দ, অর্থ “মাতৃভূমি” বা “জন্মভূমি”, যেখানে “মাতৃ” অর্থ মা এবং “ভূমি” অর্থ দেশ বা ভূমি।
৪. এই তিনটি শব্দ একত্রে গঠন করেছে বাক্য —
“বাংলাদেশঃ অস্মাকং মাতৃভূমিঃ।”
যার অর্থ — “বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি।”
৫. বাক্যটি দেশপ্রেম ও স্বজাতি-চেতনার একটি সরল অথচ গভীর সংস্কৃত রূপ, যা দেশের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও গর্বের অনুভূতি প্রকাশ করে।

0
Updated: 1 day ago
অমৃতং বালভাষিতম্ - এর অনুবাদ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
শিশুরা বালসুলভ
B
শিশুরা অমৃতসমান
C
অমৃত বালভাষিত
D
শিশুদের ভাষা অমৃতসমান
“শিশুদের ভাষা অমৃতসমান” বাক্যটি শিশুর নির্দোষ, আন্তরিক ও স্বতঃস্ফূর্ত বক্তব্যের সৌন্দর্য প্রকাশ করে। এটি এমন এক তুলনা যেখানে শিশুর কথাকে অমৃতের মাধুর্যের সঙ্গে সমান করা হয়েছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
अमृतं (অমৃতং): অর্থ অমৃত, আনন্দদায়ক, অমৃতসদৃশ বা মধুর।
-
बालभाषিতम् (বালভাষিতম্): অর্থ শিশুদের বলা কথা, অর্থাৎ শিশুর ভাষা।
-
আক্ষরিক অর্থ: “শিশুদের বলা কথা অমৃতের মতো মধুর।”
-
অর্থগত ব্যাখ্যা: শিশুর ভাষা অমৃতসমান, কারণ তা সরল, নিষ্পাপ, আন্তরিক ও প্রীতিকর।
-
ব্যবহারিক দিক: এই বাক্যটি ব্যবহৃত হয় শিশুর প্রাকৃতিক সরলতা, সত্যতা ও হৃদয়স্পর্শী কথার মাধুর্য প্রকাশে।
-
সাহিত্যিক তাৎপর্য: এটি মানবজীবনের এক নির্মল আবেগের প্রতীক, যেখানে শিশুর নির্ভেজাল মন ও ভাষা অমৃতের মতো মিষ্টি বলে অনুভূত হয়।

0
Updated: 1 day ago
অজ্ঞানতা দুঃখের মূল- এর অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
অজ্ঞানতা দুঃখাৎ মূলম্
B
অজ্ঞানতা দুঃখস্য মূলম্
C
অজ্ঞানতাঃ দুঃখ ভবেৎ
D
অজ্ঞানতা দুঃখং কারণম
সংস্কৃত বাক্যটি “অজ্ঞানতা দুঃখস্য মূলম্” অর্থাৎ “অজ্ঞানতা দুঃখের মূল” — নীতিশাস্ত্র ও দর্শনের এক গভীর সত্যকে প্রকাশ করে। এটি বোঝায় যে মানুষের দুঃখ, কষ্ট ও বিভ্রান্তির প্রধান কারণ হলো জ্ঞানের অভাব বা অজ্ঞানতা।
-
অজ্ঞানতা শব্দের অর্থ অজ্ঞতা বা জ্ঞানহীনতা, যা মানুষকে সত্য উপলব্ধি থেকে দূরে রাখে।
-
দুঃখস্য হলো “দুঃখ” শব্দের সম্বন্ধসূচক (Genitive) বিভক্তি, যার দ্বারা সম্পর্ক বা অধিকার বোঝানো হয়— এখানে অর্থ “দুঃখের”।
-
মূলম্ মানে মূল, কারণ, বা উৎস।
-
তাই বাক্যটির আক্ষরিক অনুবাদ দাঁড়ায় — “অজ্ঞানতা দুঃখের মূল বা কারণ”।
-
দর্শনশাস্ত্র অনুসারে, অজ্ঞানতা থেকেই মোহ, কামনা, আসক্তি ও দুঃখের জন্ম হয়, এবং জ্ঞানই সেই দুঃখ মোচনের উপায়।
-
এই ধারণা উপনিষদ, বেদান্ত এবং বৌদ্ধ দর্শন— সব ধারাতেই সমানভাবে প্রতিফলিত।
-
উদাহরণস্বরূপ, বৌদ্ধধর্মে বলা হয়েছে — “অবিদ্যা পচ্চয়া সংখারা”, অর্থাৎ অজ্ঞানতা থেকেই সংসারের চক্র বা দুঃখের উৎপত্তি।
অতএব, এই বাক্যটি মানবজীবনের একটি সার্বজনীন সত্য নির্দেশ করে — যেখানে জ্ঞান আছে, সেখানেই দুঃখের অবসান ঘটে।

0
Updated: 1 day ago
বিপদি ধৈর্যং ধারয়- এর অনুবাদ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
বিপদে ধৈর্য নাই
B
বিপদকে দূরে রাখ
C
বিপদে ধৈর্য ধারণ কর
D
বিপদে দিশেহারা হয়ো না
এই সংস্কৃত বাক্যটি একটি উপদেশমূলক উক্তি, যেখানে জীবনের সংকটকালীন পরিস্থিতিতে ধৈর্যের গুরুত্ব প্রকাশ করা হয়েছে। এটি নীতিশাস্ত্র ও প্রাচীন উপদেশমূলক শ্লোকসমূহের অন্যতম সাধারণ শিক্ষা হিসেবে বিবেচিত।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সঠিক উত্তর: গ) বিপদে ধৈর্য ধারণ কর।
-
বাক্যের বিশ্লেষণ:
-
বিপদি (বিপদে): “বিপদ” শব্দের সপ্তমী বিভক্তি, অর্থাৎ “কোন অবস্থায়?” → বিপদে।
-
ধৈর্যং (ধৈর্য): অর্থ সহনশীলতা বা স্থিরতা।
-
ধারয় (ধারণ কর): √ধৃ ধাতু (ধারণ করা) থেকে উদ্ভূত লোট্ লকার ক্রিয়া, অর্থ “ধারণ কর” বা “অবলম্বন কর”।
-
-
সম্পূর্ণ অর্থ: “বিপদে ধৈর্য ধারণ কর” বা “বিপদের সময় ধৈর্য ধারণ করা উচিত।”
-
বাক্যের ভাবার্থ: এটি জীবনের প্রতিকূল মুহূর্তে শান্ত থাকা, সহনশীল থাকা এবং স্থিরচিত্তে সমস্যার মোকাবিলা করার পরামর্শ দেয়।
-
নৈতিক তাৎপর্য: প্রাচীন ভারতীয় নীতিশাস্ত্রে ধৈর্যকে সর্বোচ্চ গুণগুলির একটি বলা হয়েছে, কারণ এটি মনুষ্যজীবনে স্থিরতা, সাহস ও সাফল্যের ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 1 day ago