শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার দশম অধ্যায়ের নাম কি?
A
জ্ঞানযোগ
B
বিভূতিযোগ
C
অভ্যাসযোগ
D
সাংখ্যযোগ
উত্তরের বিবরণ
ভগবদ্গীতার দশম অধ্যায় “বিভূতিযোগ” নামে পরিচিত, যেখানে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর মহিমা, ঐশ্বর্য ও সর্বব্যাপী শক্তির প্রকাশ ব্যাখ্যা করেছেন। এই অধ্যায় ঈশ্বরের সর্বত্র বিরাজমান রূপের দার্শনিক ব্যাখ্যা ও ভক্তির গভীর তাৎপর্য তুলে ধরে।
১. অধ্যায়ের মূল বিষয়: শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জানান যে, জগতে যে কোনো মহানতা, শক্তি, জ্ঞান, সৌন্দর্য বা গুণ—সবই তাঁরই এক অংশ বা “বিভূতি”।
২. বিভূতির অর্থ: “বিভূতি” বলতে বোঝায় ঈশ্বরের দিব্য প্রকাশ বা ঐশ্বর্যময় রূপ, যা সৃষ্টির প্রতিটি ক্ষেত্রে বিরাজমান।
৩. দার্শনিক তাৎপর্য: এখানে শ্রীকৃষ্ণ জগতের সবকিছুতেই নিজের অস্তিত্ব নির্দেশ করে বোঝাতে চান যে, ঈশ্বর সর্বব্যাপী এবং সর্বশক্তিমান।
৪. অধ্যায়ের উদ্দেশ্য: ভক্তদের মনে ঈশ্বরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস জাগানো, যাতে তারা প্রতিটি সৃষ্টিতে ঈশ্বরের রূপ উপলব্ধি করতে শেখে।
৫. মূল ভাবার্থ: এই অধ্যায় মানুষকে শেখায় যে ঈশ্বর কেবল এক স্থানে নন, বরং সমস্ত মহত্ত্ব, সৌন্দর্য ও শক্তির মধ্যেই প্রকাশমান। তাই ভক্তি ও উপলব্ধির মাধ্যমে তাঁর ঐশ্বর্যকে জানা সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
বিদিশা নগরীর পাশ দিয়ে কোন নদী বয়ে গেছে?
Created: 1 day ago
A
সরস্বতী
B
যমুনা
C
বেত্রবর্তী
D
পদ্মা
বিদিশা ছিল মধ্যপ্রদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক নগরী, যার পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বেত্রবতী নদী — বর্তমানের বেত্ওয়া নদী (Betwa River)। এই নদীই ছিল নগরীর প্রধান প্রাণশক্তি ও সাংস্কৃতিক বিকাশের অন্যতম উৎস।
-
অবস্থান: বিদিশা বর্তমান ভোপাল জেলার নিকটে অবস্থিত একটি প্রাচীন নগরী।
-
নদীর পরিচয়: বেত্রবতী নদী পরবর্তীতে বেত্ওয়া নদী নামে পরিচিত হয়।
-
সাহিত্যিক উল্লেখ: ভাসের নাটক “স্বপ্নবাসবদত্তম” ও “প্রতিজ্ঞা যৌগন্ধরায়ণম্”-এ এই নদী ও নগরীর বর্ণনা পাওয়া যায়।
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: বেত্রবতী নদী বিদিশার জীবনধারা, কৃষি, বাণিজ্য ও সৌন্দর্যের ভিত্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
-
রাজপ্রাসাদের অবস্থান: উদয়ন রাজার প্রাসাদ এই নদীর তীরে অবস্থিত ছিল বলে কাহিনিতে উল্লেখ পাওয়া যায়।
তাই বেত্রবতী (বেত্রবর্তী) নদীর সঙ্গে বিদিশার ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিক পরিচিতি গভীরভাবে যুক্ত, এবং সে কারণেই সঠিক উত্তর “গ) বেত্রবতী (বেত্রবর্তী)”।

0
Updated: 1 day ago
দ্রৌপদী যুধিষ্ঠিরকে কোন ধরণের বাক্য প্রয়োগের মাধ্যমে ক্রোধে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন?
Created: 1 day ago
A
ভৎসনামূলক
B
বিরহাত্বক
C
বিরুদ্ধাত্মক
D
শান্তনাসূচক
মহাভারতের বর্ণনা অনুযায়ী, দ্রৌপদী যুধিষ্ঠিরের অতিরিক্ত ধর্মনিষ্ঠ ও ধীর স্বভাব দেখে তাঁকে কঠোরভাবে তিরস্কার করেন, যাতে তাঁর মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা জাগে।
-
যুধিষ্ঠিরের স্বভাব: তিনি ছিলেন ধর্মনিষ্ঠ, সহিষ্ণু ও শান্তপ্রকৃতির রাজা, যিনি অন্যায় সহ্য করতেন ধর্মরক্ষার নামে।
-
দ্রৌপদীর বক্তব্য: তিনি ক্রোধভরে বলেন — “ধর্ম, ধর্ম বলে তুমি সব সহ্য করছ, অথচ অন্যায় হচ্ছে তোমার চোখের সামনে।”
-
বাক্যের প্রকৃতি: এই উক্তিগুলো তিরস্কারমূলক ও ক্রোধোদ্দীপক, যা যুধিষ্ঠিরের নীরবতা ভাঙাতে চেয়েছিল।
-
ধারার ধরন: এসব বাক্য ব্যঙ্গাত্মক বা বিরহজনিত নয়, বরং ভর্ৎসনা ও প্ররোচনামূলক, তাই এটি ভৎসনামূলক ধারা।

0
Updated: 1 day ago
মহাভারতের মোট শ্লোকসংখ্যা কতটি?
Created: 1 day ago
A
৭০০ টি
B
১০০০০০ টি
C
১৮০০ টি
D
২৪০০০ টি
মহাভারত একটি প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্য, যার রচয়িতা মহর্ষি ব্যাসদেব। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাকাব্য হিসেবে পরিচিত এবং ভারতীয় সাহিত্য, ইতিহাস ও দর্শনের এক অনন্য নিদর্শন।
-
গঠন: পুরো মহাভারতে প্রায় ১,০০,০০০ শ্লোক বা প্রায় ২,০০,০০০ পদ্যপঙ্ক্তি রয়েছে।
-
পর্বসংখ্যা: এটি ১৮টি পর্বে বিভক্ত, যার প্রতিটি পর্বে ধর্ম, যুদ্ধ, রাজনীতি, সমাজ ও আধ্যাত্মিকতার নানা দিক আলোচনা করা হয়েছে।
-
বিষয়বস্তু: মূলত কুরুক্ষেত্র যুদ্ধকে কেন্দ্র করে গঠিত হলেও এতে মানবজীবনের নৈতিক, দার্শনিক ও ধর্মীয় দিকের বিস্তৃত বিশ্লেষণ রয়েছে।
-
সাংস্কৃতিক মূল্য: মহাভারত কেবল একটি ধর্মগ্রন্থ নয়; এটি ভারতীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি, নৈতিকতা ও জীবনবোধের এক মহামূল্যবান দলিল, যেখানে “ধর্ম” ধারণাটি জীবনের কেন্দ্রীয় নীতি হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago