অশ্বঘোষ কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন?
A
হিন্দুধর্ম
B
জৈনধর্ম
C
বৌদ্ধধর্ম
D
মানবধর্ম
উত্তরের বিবরণ
অশ্বঘোষ ছিলেন প্রাচীন ভারতের এক বিশিষ্ট কবি, নাট্যকার ও দার্শনিক, যিনি সাহিত্য ও দর্শনের মাধ্যমে বৌদ্ধধর্মের মহাযান শাখার আদর্শ প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর রচনাগুলো বৌদ্ধ চিন্তা, নীতি ও আধ্যাত্মিক আদর্শের কাব্যময় প্রকাশ।
মূল তথ্যসমূহ:
-
পরিচয়: প্রাচীন ভারতের অন্যতম খ্যাতনামা বৌদ্ধ কবি ও চিন্তাবিদ।
-
ধর্মীয় পরিচয়: বৌদ্ধধর্মের অনুসারী এবং মহাযান বৌদ্ধধর্মের প্রধান প্রচারক।
-
প্রধান রচনা:
-
“বুদ্ধচরিত” — বুদ্ধের জীবনীমূলক মহাকাব্য, যেখানে তাঁর জীবন, ত্যাগ ও জ্ঞানপ্রাপ্তির কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।
-
“সৌন্দরানন্দ” — নন্দ ও সুন্দরীর কাহিনির মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মের আধ্যাত্মিক শিক্ষা তুলে ধরা হয়েছে।
-
“সারিপুত্রপ্রকরন” — বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম শিষ্য সারিপুত্রকে কেন্দ্র করে রচিত দার্শনিক গ্রন্থ।
-
-
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য: তাঁর রচনায় কাব্যরস, দর্শন ও নীতিবোধের সংমিশ্রণ দেখা যায়, যা ধর্মীয় আদর্শকে সহজ ও হৃদয়গ্রাহীভাবে প্রকাশ করেছে।
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: অশ্বঘোষের সাহিত্যকর্ম বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার ও দার্শনিক ভাবনার বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছিল এবং প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃত সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।

0
Updated: 1 day ago
মহাভারতের যুদ্ধে মোট কত অক্ষৌহিণী সৈন্য ছিল?
Created: 1 day ago
A
৭ অক্ষৌহিণী
B
১১ অক্ষৌহিণী
C
১৮ অক্ষৌহিণী
D
১০ অক্ষৌহিণী
মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ ছিল ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ ও স্মরণীয় যুদ্ধ, যেখানে উভয় পক্ষ মিলিয়ে মোট ১৮ অক্ষৌহিণী সৈন্যবাহিনী অংশগ্রহণ করেছিল। এই বিশাল সেনাবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে মানব সভ্যতার প্রাচীনতম ও বৃহত্তম সংঘর্ষগুলোর একটি সৃষ্টি করে।
-
কৌরব পক্ষের সৈন্য সংখ্যা: ১১ অক্ষৌহিণী
-
পাণ্ডব পক্ষের সৈন্য সংখ্যা: ৭ অক্ষৌহিণী
-
একটি অক্ষৌহিণী সেনা বলতে বোঝানো হয় নির্দিষ্ট সংখ্যক রথ, হাতি, অশ্ব ও পদাতিকের সমন্বয়ে গঠিত এক বিশাল বাহিনী, যার মোট সদস্যসংখ্যা প্রায় ২১,৮৭,৮৭০ জন।
-
এই যুদ্ধেই কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে ন্যায় ও অন্যায়ের সংঘর্ষ ঘটে, যা মহাভারতের মূল কাহিনির কেন্দ্রবিন্দু।
-
যুদ্ধের সময় শ্রীকৃষ্ণ পাণ্ডবপক্ষের উপদেষ্টা ও অর্জুনের সারথি হিসেবে ভূমিকা রাখেন, যা পরবর্তীতে ভগবদ্গীতার শিক্ষার সূত্রপাত ঘটায়।

0
Updated: 1 day ago
শকুন্তলা নাটকে শকুন্ত শব্দের অর্থ কি?
Created: 1 day ago
A
পাখি
B
শৃগাল
C
শকুনপাখি
D
কুন্তল
কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তল’ নাটকে “শকুন্ত” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “Śakunta” থেকে, যার অর্থ পাখি। এই নামের মাধ্যমে চরিত্রের জন্ম ও পরিবেশের সঙ্গে এক সুন্দর প্রতীকী সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।
-
“শকুন্তলা” শব্দের আক্ষরিক অর্থ — “যিনি শকুন্ত (পাখি) দ্বারা লালিত”।
-
জন্মের পর শকুন্ত মুনি ও বনের পাখিরা তাঁকে আশ্রয় ও স্নেহ দিয়ে লালন করেছিলেন।
-
তাই নাটকের নায়িকার নাম হয়েছে “শকুন্তলা”, অর্থাৎ পাখিদের স্নেহে বেড়ে ওঠা এক কন্যা।
-
নাটকীয় দৃষ্টিতে, নামটি প্রকৃতি, মমতা ও নির্জনতার প্রতীক— বনজীবনের কোমলতার সঙ্গে চরিত্রের মানসিক জগতকে যুক্ত করে।
-
ভুল বিকল্পসমূহের ব্যাখ্যা:
-
গ) কুন্তল শব্দটি চুল বা কেশের অর্থে ব্যবহৃত হয়, শকুন্তলার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
-
খ) শৃগাল (শিয়াল) বা ঘ) শকুনপাখি শব্দের ধ্বনিগত মিল থাকলেও “শকুন্ত” শব্দের প্রকৃত অর্থ পাখি, যা সম্পূর্ণ ভিন্ন তাৎপর্য বহন করে।
-

0
Updated: 1 day ago
কৃষক খেতে চাষ করছে- এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
কৃষকঃ ক্ষেত্রে কর্ষতি
B
কৃষকাঃ ক্ষেত্রে কর্ষণঃ
C
কৃষকঃ ক্ষেত্রেং কৃষতি
D
কৃষকঃ ক্ষেত্রায় কৃষতি
বাক্যটি “কৃষক খেতে চাষ করছে” এর সংস্কৃত অনুবাদ গঠিত হয় সঠিক কারক ও ক্রিয়াপদ প্রয়োগের মাধ্যমে, যেখানে প্রতিটি পদ নির্দিষ্ট ব্যাকরণগত ভূমিকা পালন করে।
-
কৃষকঃ: কর্তা বা কর্মসম্পাদক, তাই এটি কর্তৃকারক, প্রথমা বিভক্তি, একবচন, পুংলিঙ্গ।
-
ক্ষেতে (ক্ষেত্রে): কাজটি যেখানে সম্পন্ন হচ্ছে, অর্থাৎ অধিকরণ কারক, যা সপ্তমী বিভক্তি দ্বারা প্রকাশিত হয়।
-
কर्षতি: মূল ধাতু “কৃষ্” (চাষ করা) থেকে উৎপন্ন বর্তমানকালের ক্রিয়াপদ, যার অর্থ “চাষ করছে”।
অতএব, ব্যাকরণ অনুযায়ী সঠিক বাক্যগঠন হবে — “कृषकः क्षेत्रे कर्षति” (কৃষকঃ ক্ষেত্রে কর্ষতি), যার অর্থ — “কৃষক খেতে চাষ করছে।”

0
Updated: 1 day ago