মহাভারতের মোট শ্লোকসংখ্যা কতটি?
A
৭০০ টি
B
১০০০০০ টি
C
১৮০০ টি
D
২৪০০০ টি
উত্তরের বিবরণ
মহাভারত একটি প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্য, যার রচয়িতা মহর্ষি ব্যাসদেব। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম মহাকাব্য হিসেবে পরিচিত এবং ভারতীয় সাহিত্য, ইতিহাস ও দর্শনের এক অনন্য নিদর্শন।
-
গঠন: পুরো মহাভারতে প্রায় ১,০০,০০০ শ্লোক বা প্রায় ২,০০,০০০ পদ্যপঙ্ক্তি রয়েছে।
-
পর্বসংখ্যা: এটি ১৮টি পর্বে বিভক্ত, যার প্রতিটি পর্বে ধর্ম, যুদ্ধ, রাজনীতি, সমাজ ও আধ্যাত্মিকতার নানা দিক আলোচনা করা হয়েছে।
-
বিষয়বস্তু: মূলত কুরুক্ষেত্র যুদ্ধকে কেন্দ্র করে গঠিত হলেও এতে মানবজীবনের নৈতিক, দার্শনিক ও ধর্মীয় দিকের বিস্তৃত বিশ্লেষণ রয়েছে।
-
সাংস্কৃতিক মূল্য: মহাভারত কেবল একটি ধর্মগ্রন্থ নয়; এটি ভারতীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি, নৈতিকতা ও জীবনবোধের এক মহামূল্যবান দলিল, যেখানে “ধর্ম” ধারণাটি জীবনের কেন্দ্রীয় নীতি হিসেবে প্রতিফলিত হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
শকুন্তলা নাটকে শকুন্ত শব্দের অর্থ কি?
Created: 1 day ago
A
পাখি
B
শৃগাল
C
শকুনপাখি
D
কুন্তল
কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তল’ নাটকে “শকুন্ত” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “Śakunta” থেকে, যার অর্থ পাখি। এই নামের মাধ্যমে চরিত্রের জন্ম ও পরিবেশের সঙ্গে এক সুন্দর প্রতীকী সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।
-
“শকুন্তলা” শব্দের আক্ষরিক অর্থ — “যিনি শকুন্ত (পাখি) দ্বারা লালিত”।
-
জন্মের পর শকুন্ত মুনি ও বনের পাখিরা তাঁকে আশ্রয় ও স্নেহ দিয়ে লালন করেছিলেন।
-
তাই নাটকের নায়িকার নাম হয়েছে “শকুন্তলা”, অর্থাৎ পাখিদের স্নেহে বেড়ে ওঠা এক কন্যা।
-
নাটকীয় দৃষ্টিতে, নামটি প্রকৃতি, মমতা ও নির্জনতার প্রতীক— বনজীবনের কোমলতার সঙ্গে চরিত্রের মানসিক জগতকে যুক্ত করে।
-
ভুল বিকল্পসমূহের ব্যাখ্যা:
-
গ) কুন্তল শব্দটি চুল বা কেশের অর্থে ব্যবহৃত হয়, শকুন্তলার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
-
খ) শৃগাল (শিয়াল) বা ঘ) শকুনপাখি শব্দের ধ্বনিগত মিল থাকলেও “শকুন্ত” শব্দের প্রকৃত অর্থ পাখি, যা সম্পূর্ণ ভিন্ন তাৎপর্য বহন করে।
-

0
Updated: 1 day ago
মহাভারতের সর্বশেষ পর্বের নাম কি?
Created: 1 day ago
A
আদিপর্ব
B
সভাপর্ব
C
বনপর্ব
D
স্বর্গারোহণ পর্ব
মহাভারতের শেষ পর্বের নাম “স্বর্গারোহণ পর্ব”, যা এই মহাকাব্যের ১৮তম ও সমাপনী অধ্যায়। এটি মহর্ষি ব্যাসদেব রচিত মহাভারতের কাহিনির পরিণতি নির্দেশ করে, যেখানে পার্থিব জীবনের সমাপ্তি ও আত্মার চূড়ান্ত গমনপথ তুলে ধরা হয়েছে।
-
পর্বসংখ্যা: মহাভারতে মোট ১৮টি পর্ব রয়েছে।
-
প্রথম পর্ব: আদিপর্ব, যেখানে পাণ্ডব ও কৌরব বংশের উৎপত্তি ও প্রেক্ষাপট বর্ণিত।
-
শেষ পর্ব: স্বর্গারোহণ পর্ব, যেখানে পাণ্ডবদের জীবনের শেষ অধ্যায় ও যুধিষ্ঠিরের স্বর্গারোহণের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।
-
মূল বিষয়বস্তু: এই পর্বে পাণ্ডবদের তপস্যা, মৃত্যুর পর যুধিষ্ঠিরের ধর্মপরায়ণতা ও সত্যনিষ্ঠার পুরস্কার হিসেবে স্বর্গলাভের বিবরণ পাওয়া যায়।
-
আধ্যাত্মিক তাৎপর্য: এটি ধর্ম, ন্যায়, কর্মফল ও জীবনের চূড়ান্ত মুক্তির প্রতীক হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।
অতএব, মহাভারতের শেষ পর্ব বা সমাপ্তি অধ্যায় হলো “স্বর্গারোহণ পর্ব”।

0
Updated: 1 day ago
উপনিষদের প্রধান বিষয়বস্তু কি?
Created: 23 hours ago
A
জ্যোতিষ
B
আত্মতত্ত্ব
C
ব্রহ্মবিদ্যা
D
যজ্ঞবিদ্যা
উপনিষদ হলো প্রাচীন ভারতীয় দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক গ্রন্থসমূহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মূল উদ্দেশ্য আত্মা ও ব্রহ্মের সম্পর্ক উদ্ঘাটন এবং আত্মজ্ঞান অর্জনের পথ নির্দেশ করা। এগুলো বেদের অন্তিম অংশ হিসেবে ‘বেদান্ত’ নামেও পরিচিত।
-
উপনিষদে আত্মা (ব্যক্তিগত সত্তা) ও ব্রহ্ম (সর্বজনীন সত্তা)-এর ঐক্য নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।
-
এর মূল লক্ষ্য মোক্ষ বা মুক্তি, যা আত্ম-জ্ঞান ও ব্রহ্মজ্ঞান দ্বারা লাভ করা সম্ভব বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
এতে ধ্যান, তপস্যা, মনঃসংযম ও জ্ঞানের মাধ্যমে সত্য অনুধাবনের পথ নির্দেশ করা হয়েছে।
-
উপনিষদগুলোর ভাষা মূলত রূপক, সংলাপ ও দার্শনিক বিশ্লেষণমূলক, যা চিন্তাশীল পাঠককে আত্মবিশ্লেষণে উদ্বুদ্ধ করে।
-
যদিও জ্যোতিষ বা যজ্ঞবিদ্যার মতো বিষয় আংশিকভাবে উল্লেখিত, তবে মূল কেন্দ্রবিন্দু আত্মতত্ত্ব বা আত্মদর্শন।
-
এ কারণে উপনিষদকে ভারতীয় দর্শনের ভিত্তি এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানের শ্রেষ্ঠ উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 23 hours ago