কিরাতার্জুনীয়ম মহাকাব্যটি কতটি সর্গে বিভক্ত?
A
২০টি
B
১৫টি
C
১৭টি
D
১৮টি
উত্তরের বিবরণ
প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংস্কৃত মহাকাব্য “কিরাতার্জুনীয়ম্” রচনা করেছিলেন মহান কবি ভারভী (Bharavi), যিনি কালীদাস-পরবর্তী যুগের একজন বিশিষ্ট মহাকবি হিসেবে পরিচিত। এই কাব্যের কাহিনি সংগৃহীত হয়েছে মহাভারতের বনপর্ব থেকে, যেখানে অর্জুনের তপস্যা, শিবের কিরাতরূপ ধারণ ও পাশুপত অস্ত্র প্রাপ্তি—এই ঘটনাগুলো কাব্যিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
১. “কিরাতার্জুনীয়ম্” নামটি এসেছে “কিরাত” (অর্থাৎ শিকারীর রূপে শিব) ও “অর্জুন”-এর নামের সংযোগ থেকে।
২. কাব্যে মূলত অর্জুনের ত্যাগ, অধ্যবসায় ও ঈশ্বরপ্রেমকে মহাকাব্যিক আকারে চিত্রিত করা হয়েছে।
৩. এতে রস, অলঙ্কার, ছন্দ ও ভাষার গৌরব অত্যন্ত উচ্চমানের, যা ভারভীর সাহিত্যপ্রতিভার পরিচায়ক।
৪. এই মহাকাব্যটি মোট ১৮টি সর্গে বিভক্ত, প্রতিটি সর্গে কাহিনির একটি স্বতন্ত্র ধাপ বর্ণিত — যেমন তপস্যা, কিরাতরূপ ধারণ, যুদ্ধ, অর্জুনের বিজয় ও শিবের আশীর্বাদ।
৫. এটি কেবল ধর্মীয় বা পৌরাণিক কাব্য নয়, বরং নায়কোচিত বীরত্ব ও আধ্যাত্মিক উপলব্ধির সমন্বয়।
সঠিক উত্তর: গ) ১৮টি সর্গে বিভক্ত

0
Updated: 1 day ago
রাজা উদয়নের রাজ্যের নাম কি?
Created: 1 day ago
A
উত্তরাখণ্ড
B
কাশ্মীর
C
বৎস রাজ্য
D
দণ্ডকারণ্য
“স্বপ্নবাসবদত্তম” একটি প্রখ্যাত সংস্কৃত নাটক, যার নায়ক রাজা উদয়ন, এবং নাটকের প্রধান প্রেক্ষাপট হলো বৎস রাজ্য। এই রাজ্যকেই নাটকের কাহিনির কেন্দ্রস্থল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
১. রাজ্যের পরিচয়: বৎস রাজ্য ছিল প্রাচীন ভারতের এক সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী রাজ্য, যার রাজধানী ছিল কৌশাম্বী।
২. নায়ক উদয়ন: রাজা উদয়ন ছিলেন বৎসরাজ্যের শাসক—বীর, রসিক ও কাব্যপ্রেমী রাজা, যিনি বীণাবাদন ও কূটনৈতিক দক্ষতার জন্য পরিচিত।
৩. নাট্যের কাহিনি: কাহিনিটি উদয়ন ও বাসবদত্তার প্রেম এবং রাজনীতির সংঘাতে আবর্তিত, যেখানে প্রেম, কৌশল ও রাজ্যনীতি একে অপরের সঙ্গে জড়িত।
৪. প্রেক্ষাপটের গুরুত্ব: বৎসরাজ্য শুধু ভৌগোলিক স্থান নয়, বরং নাটকের রাজনৈতিক ও আবেগিক পরিবেশের ভিত্তি; এখানেই নাটকের প্রধান সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
৫. মূল ভাবার্থ: বৎসরাজ্য নাটকে ক্ষমতা, কূটনীতি ও প্রেমের মেলবন্ধনের প্রতীক—যেখানে উদয়নের বীরত্ব, প্রেম ও প্রজ্ঞা একই সঙ্গে বিকশিত হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
অশ্বঘোষ কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন?
Created: 1 day ago
A
হিন্দুধর্ম
B
জৈনধর্ম
C
বৌদ্ধধর্ম
D
মানবধর্ম
অশ্বঘোষ ছিলেন প্রাচীন ভারতের এক বিশিষ্ট কবি, নাট্যকার ও দার্শনিক, যিনি সাহিত্য ও দর্শনের মাধ্যমে বৌদ্ধধর্মের মহাযান শাখার আদর্শ প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর রচনাগুলো বৌদ্ধ চিন্তা, নীতি ও আধ্যাত্মিক আদর্শের কাব্যময় প্রকাশ।
মূল তথ্যসমূহ:
-
পরিচয়: প্রাচীন ভারতের অন্যতম খ্যাতনামা বৌদ্ধ কবি ও চিন্তাবিদ।
-
ধর্মীয় পরিচয়: বৌদ্ধধর্মের অনুসারী এবং মহাযান বৌদ্ধধর্মের প্রধান প্রচারক।
-
প্রধান রচনা:
-
“বুদ্ধচরিত” — বুদ্ধের জীবনীমূলক মহাকাব্য, যেখানে তাঁর জীবন, ত্যাগ ও জ্ঞানপ্রাপ্তির কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।
-
“সৌন্দরানন্দ” — নন্দ ও সুন্দরীর কাহিনির মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মের আধ্যাত্মিক শিক্ষা তুলে ধরা হয়েছে।
-
“সারিপুত্রপ্রকরন” — বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম শিষ্য সারিপুত্রকে কেন্দ্র করে রচিত দার্শনিক গ্রন্থ।
-
-
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য: তাঁর রচনায় কাব্যরস, দর্শন ও নীতিবোধের সংমিশ্রণ দেখা যায়, যা ধর্মীয় আদর্শকে সহজ ও হৃদয়গ্রাহীভাবে প্রকাশ করেছে।
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: অশ্বঘোষের সাহিত্যকর্ম বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার ও দার্শনিক ভাবনার বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছিল এবং প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃত সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।

0
Updated: 1 day ago
শ্রীমদ্ভগবতগীতার কোন অধ্যায়কে গীতার সার অধ্যায় বলে কর্ণনা করা হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
সাংখ্যযোগকে
B
পুরুষোত্তমযোগকে
C
ভক্তি যোগকে
D
বিজ্ঞানযোগকে
শ্রীমদ্ভগবদগীতার দ্বিতীয় অধ্যায় “সাংখ্যযোগ” গীতার মূল দর্শনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত। এটি ৭২টি শ্লোক নিয়ে গঠিত এবং গীতার সারাংশ হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এখানেই কৃষ্ণ প্রথমবার অর্জুনকে জীবনের, কর্মের ও জ্ঞানের প্রকৃত অর্থ শিক্ষা দেন। প্রথম অধ্যায় “অর্জুন বিষাদযোগ” কেবল প্রেক্ষাপট তৈরি করলেও দ্বিতীয় অধ্যায় থেকেই শুরু হয় গীতার উপদেশধারা।
১. আত্মার অমরত্ব ও তত্ত্বজ্ঞান
-
কৃষ্ণ অর্জুনকে বলেন — “ন জায়তে মৃয়তে বা কদাচিন্ নায়ং ভূত্বা ভবিতা वा ন ভূয়ঃ।” (গীতা ২.২০)
-
এর অর্থ, আত্মা চিরন্তন ও অবিনশ্বর, সে জন্ম নেয় না, মরে না।
-
এই ধারণা গীতার মূল তত্ত্ব— আত্মার অমরত্ব ও চেতনার অখণ্ডতা।
২. কর্মের প্রয়োজন ও কর্তব্যবোধ
-
কৃষ্ণ বলেন — “কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন।” (গীতা ২.৪৭)
-
এখানে বলা হয়েছে, মানুষের কর্তব্য হলো কর্ম করা, কিন্তু ফলের প্রতি আসক্তি ত্যাগ করা উচিত।
-
এই শ্লোক কর্মযোগের ভিত্তি, যেখানে নিঃস্বার্থ কর্মের গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে।
৩. স্থিতপ্রজ্ঞ যোগের শিক্ষা
-
এই অধ্যায়ে “স্থিতপ্রজ্ঞ” মানুষের আদর্শ উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
যিনি আনন্দ–দুঃখে সমবৃত্ত, আকাঙ্ক্ষামুক্ত ও স্থিরচিত্ত, তিনিই প্রকৃত জ্ঞানী।
-
এটি আধ্যাত্মিক জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য— সমত্ব ও সংযমের অবস্থান।
৪. পরবর্তী অধ্যায়গুলোর ভিত্তি
-
গীতার পরবর্তী অধ্যায়গুলো যেমন জ্ঞানযোগ, কর্মযোগ, ভক্তিযোগ—সবই দ্বিতীয় অধ্যায়ের শিক্ষার বিস্তার।
-
আচার্যদের মতে, “দ্বিতীয় অধ্যায় গীতার মূলসূত্র, বাকিগুলো তার বিশ্লেষণ।”
৫. আচার্য ও পণ্ডিতদের মতামত
-
আদি শঙ্করাচার্য: “দ্বিতীয় অধ্যায়েই সমগ্র গীতার তত্ত্ব নিহিত।”
-
বাল গঙ্গাধর তিলক: “সাংখ্যযোগ অধ্যায় গীতার মর্মকথা প্রকাশ করেছে।”
-
স্বামী বিবেকানন্দ: “দ্বিতীয় অধ্যায় গীতার সারাংশ—এখানে আত্মা, কর্ম ও সমত্বের শিক্ষা একত্রে মেলে।”
সব মিলিয়ে, শ্রীমদ্ভগবদগীতার দ্বিতীয় অধ্যায় ‘সাংখ্যযোগ’-কেই গীতার সার অধ্যায় বলা হয়, কারণ এতে আত্মা, কর্ম, জ্ঞান ও সমত্ব—এই চারটি মৌলিক তত্ত্ব সংক্ষেপে প্রকাশ পেয়েছে, যা গীতার সমগ্র দর্শনের ভিত্তি।
সঠিক উত্তর: ক) সাংখ্যযোগকে — গীতার সার অধ্যায় বলে কর্ণনা করা হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago