বৈদিক যুগে সমাজের ভিত্তি কি ছিল?
A
রাষ্ট্র
B
সম্প্রদায়
C
ঘরবাড়ি
D
পরিবার
উত্তরের বিবরণ
বৈদিক যুগে সমাজের মূল ভিত্তি ছিল “পরিবার”, যা সামাজিক সংগঠনের প্রথম ও প্রধান স্তর হিসেবে বিবেচিত। তখন রাষ্ট্র বা সংগঠিত শাসনব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে গঠিত হয়নি, ফলে পারিবারিক কাঠামোই সমাজজীবনের কেন্দ্র ছিল।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সঠিক উত্তর: ঘ) পরিবার।
-
সমাজব্যবস্থার প্রকৃতি: বৈদিক যুগে সমাজ রাষ্ট্রনির্ভর না হয়ে পরিবারনির্ভর ছিল।
-
পরিবারের পরিচয়: পরিবারকে বলা হতো “গৃহ”, যা পিতা বা গৃহস্বামী পরিচালনা করতেন।
-
পরিবারপ্রধানের পদ: পরিবারের কর্তা ছিলেন “গৃহপতি”, যিনি ছিলেন পরিবারের ধর্মীয়, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
-
পরিবারের ভূমিকা:
-
ধর্মীয় কার্যাবলি যেমন যজ্ঞ, পূজা ইত্যাদি গৃহেই সম্পন্ন হতো।
-
শিক্ষা ও অর্থনৈতিক জীবনের কেন্দ্র ছিল গৃহ।
-
সমাজজীবনের প্রতিটি দিকেই পরিবার ছিল মৌলিক একক ও প্রধান আশ্রয়স্থল।
-
-
সারসংক্ষেপ: বৈদিক সমাজে পরিবারই ছিল সভ্যতার প্রাথমিক ও কার্যকর ভিত্তি, যা পরবর্তীকালে রাষ্ট্রব্যবস্থার বিকাশে ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 1 day ago
উপনিষদের প্রধান বিষয়বস্তু কি?
Created: 23 hours ago
A
জ্যোতিষ
B
আত্মতত্ত্ব
C
ব্রহ্মবিদ্যা
D
যজ্ঞবিদ্যা
উপনিষদ হলো প্রাচীন ভারতীয় দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক গ্রন্থসমূহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মূল উদ্দেশ্য আত্মা ও ব্রহ্মের সম্পর্ক উদ্ঘাটন এবং আত্মজ্ঞান অর্জনের পথ নির্দেশ করা। এগুলো বেদের অন্তিম অংশ হিসেবে ‘বেদান্ত’ নামেও পরিচিত।
-
উপনিষদে আত্মা (ব্যক্তিগত সত্তা) ও ব্রহ্ম (সর্বজনীন সত্তা)-এর ঐক্য নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।
-
এর মূল লক্ষ্য মোক্ষ বা মুক্তি, যা আত্ম-জ্ঞান ও ব্রহ্মজ্ঞান দ্বারা লাভ করা সম্ভব বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
এতে ধ্যান, তপস্যা, মনঃসংযম ও জ্ঞানের মাধ্যমে সত্য অনুধাবনের পথ নির্দেশ করা হয়েছে।
-
উপনিষদগুলোর ভাষা মূলত রূপক, সংলাপ ও দার্শনিক বিশ্লেষণমূলক, যা চিন্তাশীল পাঠককে আত্মবিশ্লেষণে উদ্বুদ্ধ করে।
-
যদিও জ্যোতিষ বা যজ্ঞবিদ্যার মতো বিষয় আংশিকভাবে উল্লেখিত, তবে মূল কেন্দ্রবিন্দু আত্মতত্ত্ব বা আত্মদর্শন।
-
এ কারণে উপনিষদকে ভারতীয় দর্শনের ভিত্তি এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানের শ্রেষ্ঠ উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 23 hours ago
দুর্যোধন যুধিষ্ঠিরকে পরাজিত করে কোন রাজ্যে অধিষ্ঠিত হন?
Created: 23 hours ago
A
বৎসরাজ্য
B
কৌরবরাজ্য
C
হস্তিনারাজ্য
D
স্বর্গরাজ্য
মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ ছিল কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে সংঘটিত এক মহান যুদ্ধ, যার রাজনৈতিক ও নৈতিক প্রেক্ষাপট গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। যুদ্ধের সময় এবং তার পূর্বে দুর্যোধন কৌরবপক্ষের রাজা হিসেবে হস্তিনাপুরে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
-
হস্তিনাপুর ছিল কুরুবংশের প্রাচীন রাজধানী, যেখানে থেকেই কৌরব ও পাণ্ডবদের শাসন কার্য পরিচালিত হতো।
-
যুদ্ধ শুরুর পূর্বে দুর্যোধন নিজের কৌশল, সামরিক দক্ষতা ও প্রভাবের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন।
-
যুদ্ধকালীন সময়ে হস্তিনাপুর ছিল কৌরব সেনার প্রধান কেন্দ্র, এবং সেখান থেকেই যুদ্ধের নির্দেশ জারি করা হতো।
-
যদিও কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পর পাণ্ডবরা রাজ্য পুনরুদ্ধার করে, তবুও যুদ্ধ চলাকালীন দুর্যোধনের রাজাসন হস্তিনাপুরেই ছিল।
-
এভাবে হস্তিনাপুর মহাভারতের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু ও বীরত্ব, ন্যায়-অন্যায়ের সংঘাতের প্রতীক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

0
Updated: 23 hours ago
পঞ্চতন্ত্র কে রচনা করেন?
Created: 1 day ago
A
মাঘ
B
ভাস
C
বিষ্ণুশর্মা
D
রাজশেখর বসু
‘পঞ্চতন্ত্র’ (Panchatantra) প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নীতিগ্রন্থ, যার রচয়িতা হলেন আচার্য বিষ্ণুশর্মা (Viṣṇuśarma)। এটি নীতিকথা বা উপকথার মাধ্যমে মানবজীবনের বাস্তব শিক্ষা, বুদ্ধি ও রাজনীতি ব্যাখ্যা করে।
-
বিষ্ণুশর্মা ছিলেন একজন জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ ব্রাহ্মণ, যিনি নীতি ও রাজনীতির শিক্ষক হিসেবে পরিচিত।
-
কিংবদন্তি অনুসারে, রাজা অমরশক্তির তিন অজ্ঞ ও মূর্খ পুত্রকে শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান করে তোলার জন্যই বিষ্ণুশর্মা এই গ্রন্থ রচনা করেন।
-
তিনি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যম হিসেবে গল্প, উপকথা ও প্রাণী চরিত্র ব্যবহার করেন, যাতে শিক্ষাগুলি সহজে মনে রাখা যায়।
-
‘পঞ্চতন্ত্র’ মূলত পাঁচটি তন্ত্র বা বিভাগে বিভক্ত— প্রতিটি অংশে জীবনের নির্দিষ্ট নীতি বা কৌশল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
গ্রন্থটির মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজনীতি, প্রজ্ঞা, কূটনীতি, নৈতিকতা ও বাস্তবজীবনের জ্ঞান প্রদান।
-
এটি কেবল সংস্কৃত সাহিত্যেই নয়, বিশ্বের নানা ভাষায় অনূদিত হয়ে মানবজীবনের এক সর্বজনীন শিক্ষাগ্রন্থে পরিণত হয়েছে।
অতএব, ‘পঞ্চতন্ত্র’-এর রচয়িতা বিষ্ণুশর্মা, যিনি গল্পের মাধ্যমে জীবনের গভীর নীতিবোধ ও বাস্তব শিক্ষা উপস্থাপন করেছেন।

0
Updated: 1 day ago