অহিংসা শ্রেষ্ঠ ধর্ম- এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
A
অহিংসা বৃহৎ ধর্মঃ
B
অহিংসাহি পরম ধর্মঃ
C
অহিংসা পরমো ধর্মঃ
D
অহিসাং পরা ধর্মঃ
উত্তরের বিবরণ
বাক্যটি “অহিংসা শ্রেষ্ঠ ধর্ম” সংস্কৃত ভাষায় অনুবাদ করলে হয় “অহিংসা পরমো ধর্মঃ”। এটি একটি প্রসিদ্ধ নীতিবাক্য, যা বহু ধর্মগ্রন্থ ও শাস্ত্রে উদ্ধৃত হয়েছে এবং মানবধর্মের সারকথা প্রকাশ করে।
১. অহিংসা অর্থাৎ জীব বা প্রাণীর প্রতি কোনো প্রকার হিংসা না করা, কারো ক্ষতি না করা বা আঘাত না দেওয়া।
২. পরমঃ শব্দের অর্থ “শ্রেষ্ঠ” বা “সর্বোত্তম”।
৩. ধর্মঃ অর্থ নীতি, কর্তব্য বা মানবজীবনের সঠিক পথ।
৪. ফলে “অহিংসা পরমো ধর্মঃ”-এর অর্থ দাঁড়ায় — “অহিংসাই সর্বোত্তম ধর্ম” বা “অহিংসাই মানবতার শ্রেষ্ঠ আদর্শ।”
৫. এই নীতি বৌদ্ধ, জৈন ও হিন্দু ধর্মে সমভাবে গুরুত্ব পেয়েছে; মহাত্মা গান্ধীও অহিংসাকে জীবনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
৬. এই বাক্য মানবসভ্যতার সর্বজনীন নৈতিক আদর্শ হিসেবে আজও প্রাসঙ্গিক।
সঠিক উত্তর: গ) অহিংসা পরমো ধর্মঃ

0
Updated: 1 day ago
'মেঘদূতম্' কাব্যের পূর্বমেঘে কি বিষয়ের বর্ণনা করা হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
অলকাপুরীর
B
মেঘের যাত্রাপথের
C
যক্ষপত্নীর বিরহদশা
D
যক্ষপত্নীর সাথে মিলনের
কালিদাসের ‘মেঘদূত’ কাব্যটি একটি শ্রেষ্ঠ কাব্যিক কল্পনাপ্রসূত রচনা, যা দুই ভাগে বিভক্ত— পূর্বমেঘ (Purvamegha) ও উত্তরমেঘ (Uttaramegha)। এই দুই অংশে কবি অনুভূতি ও প্রকৃতিবর্ণনার এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়েছেন।
-
পূর্বমেঘে কবি নির্বাসিত যক্ষের পক্ষ থেকে মেঘকে দূতের মতো যাত্রার নির্দেশ দেন।
-
এখানে মূলত মেঘের যাত্রাপথের বর্ণনা — অর্থাৎ পর্বত, নদী, বন, গ্রাম, নগর, প্রাসাদ ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ক্রমবিন্যাস — অত্যন্ত কাব্যিকভাবে উপস্থাপিত।
-
কবি যেন মেঘের জন্য এক মানচিত্র এঁকেছেন, যাতে সে সঠিক পথে যক্ষিণীর কাছে পৌঁছাতে পারে।
-
এই অংশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ভূগোল ও শিল্পকল্পনা একত্রে মিলিত হয়েছে।
-
অন্যদিকে, উত্তরমেঘে যক্ষের প্রিয়ার স্মৃতি, বেদনা ও অন্তরঙ্গ ভাব প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে।
-
ফলে বলা যায়, ‘পূর্বমেঘ’-এর মুখ্য বিষয় হলো মেঘের যাত্রাপথের বর্ণনা, আর ‘উত্তরমেঘ’-এর মূল ভাব প্রেম ও বিরহের আবেগ।
এইভাবে, কালিদাস প্রকৃতি ও প্রেমের সংলগ্নতার মাধ্যমে ‘মেঘদূত’-কে এক অনন্য রোমান্টিক ও দার্শনিক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন।

0
Updated: 1 day ago
মেঘদূতম কাব্যের উৎস কোনটি?
Created: 1 day ago
A
মহাভারত
B
রামায়ণ
C
পুরাণ
D
ঋগ্বেদ
“মেঘদূতম্” মহাকবি কালিদাস রচিত এক অনন্য সংস্কৃত গীতিকাব্য, যার মূল প্রেরণা নিহিত আছে “রামায়ণ” মহাকাব্যে। রামায়ণের বিচ্ছেদ, বেদনা ও বার্তাপ্রেরণের ভাবধারাই মেঘদূতের কাহিনিকে আবেগপূর্ণ ও অনুরণিত করেছে।
১. কাব্যের বিষয়বস্তু: নির্বাসিত এক যক্ষ তার প্রিয় পত্নীর কাছে মেঘের মাধ্যমে বার্তা পাঠায়—এই কাহিনিই মেঘদূতের মূল কেন্দ্র।
২. রামায়ণের প্রভাব: রামায়ণে রাবণের হাতে বন্দী সীতা রামের প্রতি বার্তা পাঠানোর যে আকুলতা প্রকাশ করেন, তা-ই মেঘদূতের আবেগ ও ভাবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিলে যায়।
৩. ভাবগত সাদৃশ্য: উভয় কাহিনিতেই প্রিয়জনের বিচ্ছেদ, আকুলতা ও পুনর্মিলনের আকাঙ্ক্ষা গভীরভাবে প্রতিফলিত।
৪. পণ্ডিতমত: সাহিত্য বিশারদদের মতে, রামায়ণই মেঘদূতের মূল উৎস—কালিদাস সেখানে রাম-সীতার বেদনা থেকে প্রেরণা নিয়ে যক্ষ-যক্ষিণীর বিরহকে কাব্যময় রূপ দিয়েছেন।
৫. মূল ভাবার্থ: রামায়ণ যেমন প্রেম, বেদনা ও নিষ্ঠার প্রতীক; তেমনি মেঘদূতও সেই অনন্ত মানবীয় অনুভূতির শিল্পিত প্রতিচ্ছবি। তাই রামায়ণকে মেঘদূতের প্রেরণার উৎস বলা হয়।

0
Updated: 1 day ago
কিরাতার্জুনীয়ম্ মহাকাব্যে কোন বিষয়টি সমধিক ফুটে উঠেছে?
Created: 1 day ago
A
অর্থগৌরবম্
B
কাব্যালংকার
C
শাসনপ্রণালী
D
সিংহাসনলাভ
ভারবি ছিলেন প্রাচীন ভারতের এক অসাধারণ সংস্কৃত কবি, যার রচিত “কিরাতার্জুনীয়ম্” মহাকাব্য সংস্কৃত সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। এটি মহাভারতের বনপর্ব অবলম্বনে রচিত, যেখানে অর্জুনের তপস্যা ও শিবের কিরাতরূপে আবির্ভাবের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।
-
কাব্যটি মোট ১৮ সর্গে বিভক্ত, প্রতিটি সর্গে ভাব, ভাষা ও কৌশলের গভীর মেলবন্ধন রয়েছে।
-
ভারবির কাব্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো অর্থগৌরব (অর্থের গাম্ভীর্য)— তাঁর প্রতিটি শ্লোক চিন্তার গভীরতা ও তত্ত্বগভীর ভাবনায় পরিপূর্ণ।
-
দণ্ডী তাঁর ‘কাব্যাদর্শ’ (১.৬৩) গ্রন্থে বলেছেন — “ভারভিঃ অর্থগৌরবে”, অর্থাৎ ভারবি অর্থের গৌরবে শ্রেষ্ঠ।
-
তাঁর ভাষা সংযত ও মিতবাক, কিন্তু প্রতিটি শব্দ অর্থবহ ও চিন্তাসঞ্জাত।
-
ভারবির কাব্যে অলঙ্কার আছে, কিন্তু সেটি মূল নয়; বরং অর্থের দৃঢ়তা, তত্ত্বগভীরতা ও ভাবগাম্ভীর্যই মুখ্য বৈশিষ্ট্য।
-
সমালোচক বিশ্বনাথ কবিরাজ বলেছেন — “ভারবির কাব্যে অর্থগাম্ভীর্য সর্বোচ্চ।”
-
আনন্দবর্ধন তাঁর ‘ধ্বন্যালোক’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে ভারবির কাব্যে অর্থের শক্তি (ধ্বনি)-ই মুখ্য।
-
একটি বিখ্যাত উক্তি — “দুর্বোধ্যা হি পাণ্ডিতানামপি বাণী ভারবেরিভ।”, অর্থাৎ ভারবির ভাষা এত গভীর যে পণ্ডিতদের কাছেও তা দুর্বোধ্য মনে হয়।
-
এইসব মন্তব্য প্রমাণ করে যে ভারবির কাব্যশক্তির মূল নিহিত তাঁর অর্থগৌরবে, যেখানে চিন্তার গাম্ভীর্য ও ভাষার নিপুণতা একত্রে কাব্যকে দার্শনিক উচ্চতায় উন্নীত করেছে।
চূড়ান্তভাবে বলা যায় — “কিরাতার্জুনীয়ম্” মহাকাব্যে অর্থগৌরবম্ সর্বাধিক প্রকাশিত, কারণ ভারবির কাব্যে গভীর ভাব, তত্ত্বগাম্ভীর্য ও নিখুঁত অর্থনৈপুণ্যই তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের চিহ্ন।

0
Updated: 1 day ago