রাজা উদয়নের মন্ত্রীর নাম কি ছিল?
A
রুমথান
B
যৌগন্ধরায়ন
C
বিদুষক
D
সঞ্জয়
উত্তরের বিবরণ
ভাস রচিত বিখ্যাত নাটক “স্বপ্নবাসবদত্তম্”–এর প্রধান চরিত্র রাজা উদয়ন, আর তাঁর বিশ্বস্ত ও প্রজ্ঞাবান মন্ত্রী হলেন যৌগন্ধরায়ন (Yaugandharāyaṇa)। তিনি নাটকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, যিনি রাজা উদয়নের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেন।
-
যৌগন্ধরায়ন ছিলেন রাজা উদয়নের প্রধান মন্ত্রী, যিনি বুদ্ধি, কূটনীতি ও দূরদর্শিতায় অতুলনীয়।
-
নাটকের প্রথম অঙ্কেই তাঁর উল্লেখ পাওয়া যায়, যেখানে দেখা যায়, বন্দী অবস্থায় থাকা রাজা উদয়নের মুক্তির পরিকল্পনা যৌগন্ধরায়নই করেন।
-
তিনি কেবল একজন রাজভক্ত নন, বরং এক অসাধারণ রাজনীতিবিদ ও কৌশলজ্ঞ, যিনি রাজ্যের স্বার্থে সুচিন্তিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
-
যৌগন্ধরায়নের নেতৃত্বে উদয়ন বন্দিত্ব থেকে মুক্ত হয়ে পুনরায় রাজ্য পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হন।
-
তাঁর চরিত্রে বুদ্ধিমত্তা, কূটনীতিক প্রজ্ঞা ও রাজভক্তির অনন্য মিশ্রণ দেখা যায়।
-
সংস্কৃত সাহিত্য ইতিহাস ও ভাস নাটক সংগ্রহ (কৃষ্ণমূর্ত্তি, ১৯৮৩)–এও স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে, রাজা উদয়নের মন্ত্রী ছিলেন যৌগন্ধরায়ন।
অতএব, “স্বপ্নবাসবদত্তম্” নাটকে উদয়নের মন্ত্রীর নাম যৌগন্ধরায়ন, যিনি রাজাকে মুক্তি ও রাজ্য পুনরুদ্ধারে প্রধান ভূমিকা পালন করেন।

0
Updated: 1 day ago
গীতা গ্রন্থে কতজন এর উবাচ আছে?
Created: 1 day ago
A
দুইজন
B
তিনজন
C
চারজন
D
ছয়জন
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় মোট চারজন বক্তা “উবাচ” শব্দসহ বক্তব্য দিয়েছেন। এটি একটি সংলাপধর্মী গ্রন্থ, যেখানে অর্জুন ও কৃষ্ণের মধ্যে আলোচনা হয় এবং সঞ্জয় সেই সংলাপ ধৃতরাষ্ট্রকে বর্ণনা করেন।
-
ধৃতরাষ্ট্র উবাচ: কৌরব রাজা ধৃতরাষ্ট্র যুদ্ধক্ষেত্রের ঘটনা জানতে চান। তিনি মাত্র একবার বলেছেন — “ধৃতরাষ্ট্র উবাচ — ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে সমবেতা যুযুত্সবঃ…” (১.১)।
-
সঞ্জয় উবাচ: তিনি বর্ণনাকারী বা বার্তাবাহক, যিনি ধৃতরাষ্ট্রকে যুদ্ধের সব কথা জানান। যেমন — “সঞ্জয় উবাচ — তং তথা কৃপয়াবিষ্টম্…” (২.১)।
-
অর্জুন উবাচ: তিনি সংশয়গ্রস্ত ও প্রশ্নকারী যোদ্ধা, যিনি কৃষ্ণের কাছে আত্মিক ও নৈতিক প্রশ্ন করেন। যেমন — “অর্জুন উবাচ — স্থিরং মনঃ কৃষ্ণ…” (৬.৩৪), “অর্জুন উবাচ — মোঘং পার্থৈব মে মন্যে…” (১১.১)।
-
শ্রীভগবান উবাচ: ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন উপদেশদাতা ও মূল বক্তা, যিনি জ্ঞান, কর্ম, ভক্তি ও যোগের দর্শন ব্যাখ্যা করেন। তাঁর বক্তব্য শুরু — “শ্রীভগবান উবাচ — অশোচ্যানন্বশোচস্ত্বং…” (২.১১) থেকে।
এইভাবে গীতা একটি তিনস্তরীয় সংলাপ — কৃষ্ণ ও অর্জুনের মধ্যে মূল আলোচনা, সঞ্জয়ের মাধ্যমে তার বর্ণনা, এবং ধৃতরাষ্ট্রের শ্রবণ। এর ফলে গীতা শুধু ধর্ম ও নৈতিকতার আলোচনাই নয়, বরং এক গভীর দার্শনিক সংলাপের গ্রন্থ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

0
Updated: 1 day ago
কৃষক খেতে চাষ করছে- এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
কৃষকঃ ক্ষেত্রে কর্ষতি
B
কৃষকাঃ ক্ষেত্রে কর্ষণঃ
C
কৃষকঃ ক্ষেত্রেং কৃষতি
D
কৃষকঃ ক্ষেত্রায় কৃষতি
বাক্যটি “কৃষক খেতে চাষ করছে” এর সংস্কৃত অনুবাদ গঠিত হয় সঠিক কারক ও ক্রিয়াপদ প্রয়োগের মাধ্যমে, যেখানে প্রতিটি পদ নির্দিষ্ট ব্যাকরণগত ভূমিকা পালন করে।
-
কৃষকঃ: কর্তা বা কর্মসম্পাদক, তাই এটি কর্তৃকারক, প্রথমা বিভক্তি, একবচন, পুংলিঙ্গ।
-
ক্ষেতে (ক্ষেত্রে): কাজটি যেখানে সম্পন্ন হচ্ছে, অর্থাৎ অধিকরণ কারক, যা সপ্তমী বিভক্তি দ্বারা প্রকাশিত হয়।
-
কर्षতি: মূল ধাতু “কৃষ্” (চাষ করা) থেকে উৎপন্ন বর্তমানকালের ক্রিয়াপদ, যার অর্থ “চাষ করছে”।
অতএব, ব্যাকরণ অনুযায়ী সঠিক বাক্যগঠন হবে — “कृषकः क्षेत्रे कर्षति” (কৃষকঃ ক্ষেত্রে কর্ষতি), যার অর্থ — “কৃষক খেতে চাষ করছে।”

0
Updated: 1 day ago
মহাভারতের যুদ্ধে মোট কত অক্ষৌহিণী সৈন্য ছিল?
Created: 1 day ago
A
৭ অক্ষৌহিণী
B
১১ অক্ষৌহিণী
C
১৮ অক্ষৌহিণী
D
১০ অক্ষৌহিণী
মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ ছিল ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ ও স্মরণীয় যুদ্ধ, যেখানে উভয় পক্ষ মিলিয়ে মোট ১৮ অক্ষৌহিণী সৈন্যবাহিনী অংশগ্রহণ করেছিল। এই বিশাল সেনাবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে মানব সভ্যতার প্রাচীনতম ও বৃহত্তম সংঘর্ষগুলোর একটি সৃষ্টি করে।
-
কৌরব পক্ষের সৈন্য সংখ্যা: ১১ অক্ষৌহিণী
-
পাণ্ডব পক্ষের সৈন্য সংখ্যা: ৭ অক্ষৌহিণী
-
একটি অক্ষৌহিণী সেনা বলতে বোঝানো হয় নির্দিষ্ট সংখ্যক রথ, হাতি, অশ্ব ও পদাতিকের সমন্বয়ে গঠিত এক বিশাল বাহিনী, যার মোট সদস্যসংখ্যা প্রায় ২১,৮৭,৮৭০ জন।
-
এই যুদ্ধেই কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে ন্যায় ও অন্যায়ের সংঘর্ষ ঘটে, যা মহাভারতের মূল কাহিনির কেন্দ্রবিন্দু।
-
যুদ্ধের সময় শ্রীকৃষ্ণ পাণ্ডবপক্ষের উপদেষ্টা ও অর্জুনের সারথি হিসেবে ভূমিকা রাখেন, যা পরবর্তীতে ভগবদ্গীতার শিক্ষার সূত্রপাত ঘটায়।

0
Updated: 1 day ago