"শ্রদ্ধাবান লভতে জ্ঞানম" শ্লোকাংশটি গীতার কোন অধ্যায়ে উল্লেখ আছে?
A
৪র্থ অধ্যায়
B
৭ম অধ্যায়
C
১০ম অধ্যায়
D
৯ম অধ্যায়
উত্তরের বিবরণ
“শ্রদ্ধাবান্ লভতে জ্ঞানম্” শ্লোকাংশটি ভগবদ্গীতার চতুর্থ অধ্যায় অর্থাৎ জ্ঞান–কর্ম–সন্ন্যাস যোগ থেকে গৃহীত, যা মানবজীবনে জ্ঞানলাভের মৌলিক শর্ত হিসেবে শ্রদ্ধা ও ইন্দ্রিয়সংযমের গুরুত্ব প্রকাশ করে।
১. শ্লোকাংশের সূত্র: এটি ভগবদ্গীতার ৪র্থ অধ্যায়ের ৩৯তম শ্লোক—
श्रद्धावान् लभते ज्ञानं तत्परः संयतेन्द्रियः।
ज्ञानं लब्ध्वा परां शान्तिमचिरेणाधिगच्छति॥ (ভগবদ্গীতা ৪.৩৯)
২. বাংলা অনুবাদ: যিনি শ্রদ্ধাশীল, একনিষ্ঠ ও ইন্দ্রিয়সংযমী, তিনিই প্রকৃত জ্ঞান লাভ করেন; আর সেই জ্ঞান প্রাপ্ত হয়ে তিনি শীঘ্রই পরম শান্তি অর্জন করেন।
৩. শব্দার্থ বিশ্লেষণ:
-
শ্রদ্ধাবান্: যে বিশ্বাসী ও ভক্তি–পরায়ণ।
-
লভতে জ্ঞানম্: সে জ্ঞান অর্জন করে।
-
তৎপরঃ: যে একাগ্রচিত্ত ও সাধনায় নিমগ্ন।
-
সংযতে ইন্দ্রিয়ঃ: যার ইন্দ্রিয়সমূহ নিয়ন্ত্রিত।
৪. ভাবার্থ: এখানে শ্রীকৃষ্ণ বোঝাতে চেয়েছেন, সত্য জ্ঞান কেবল বুদ্ধিবৃত্তির দ্বারা অর্জন করা যায় না; এর জন্য প্রয়োজন শ্রদ্ধা, একাগ্রতা ও আত্মসংযম।
৫. আধ্যাত্মিক তাৎপর্য: জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মানুষ অজ্ঞতা, দুঃখ ও মোহ থেকে মুক্ত হয়ে পরম শান্তি লাভ করে, যা গীতার শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য।
৬. মূল উপসংহার: তাই এই শ্লোক প্রমাণ করে যে শ্রদ্ধা ও সংযম ছাড়া জ্ঞানসাধনা অসম্পূর্ণ, এবং এই শিক্ষা ভগবদ্গীতার ৪র্থ অধ্যায়ের মূল সুরের সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago
নিম্নের কোনটি অশ্বঘোষের লেখা?
Created: 1 day ago
A
অভিষেক নাটক
B
মালবিকাগ্নিমিত্রম্
C
বুদ্ধচরিতম্
D
কুমারসম্ভবম্
অশ্বঘোষ প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বৌদ্ধ কবি ও দার্শনিক, যিনি খ্রিষ্টীয় প্রথম শতকে কণিষ্ক সম্রাটের রাজসভায় প্রধান সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর সর্বাধিক প্রসিদ্ধ সৃষ্টি হলো “বুদ্ধচরিতম্”, যা গৌতম বুদ্ধের জীবনকথাকে কাব্যরূপে উপস্থাপন করেছে।
১. রচনাকার পরিচয়: অশ্বঘোষ ছিলেন সংস্কৃত ভাষার প্রথমদিকের বৌদ্ধ কবিদের মধ্যে অন্যতম, যিনি ধর্মীয় ভাব ও সাহিত্যিক শৈলীর এক চমৎকার সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন।
২. গ্রন্থ পরিচয়: “বুদ্ধচরিতম্” একটি মহাকাব্য, যেখানে রাজকুমার সিদ্ধার্থের জাগতিক জীবন থেকে সন্ন্যাস গ্রহণ, বোধিলাভ এবং বুদ্ধত্বপ্রাপ্তির কাহিনি কাব্যরূপে বর্ণিত হয়েছে।
৩. ভাষা ও শৈলী: এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত, এবং এর ছন্দ, উপমা ও কাব্যিক বর্ণনার গভীরতা থেকে বোঝা যায়—অশ্বঘোষ ছিলেন কালিদাসের পূর্বসূরি ও প্রভাবশালী কবি।
৪. অন্য রচনাগুলির তুলনা:
-
অভিষেক নাটক — ভাসের রচনা।
-
মালবিকাগ্নিমিত্রম্ — কালিদাসের রচনা।
-
কুমারসম্ভবম্ — কালিদাসেরই আরেক কাব্য।
৫. মূল উপসংহার: প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে একমাত্র “বুদ্ধচরিতম্” অশ্বঘোষের রচনা, যা বৌদ্ধ দর্শন ও সাহিত্য উভয় ক্ষেত্রেই এক অমূল্য সম্পদ।

0
Updated: 1 day ago
রাজা নিজ দেশে পূজা পান- এর সংস্কৃত কি?
Created: 23 hours ago
A
রাজা স্বদেশে পূজা আপ্নাতি
B
স্বদেশে পূজ্যতে রাজা
C
নিজ দেশে রাজা পূজ্যতে
D
রাজা স্বদেশে অর্চতে
এই নীতিবাক্যটি একটি প্রাচীন সংস্কৃত সূত্র, যা সমাজে ব্যক্তির মর্যাদা ও স্বীকৃতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এখানে ভাষাগতভাবে এবং অর্থগতভাবে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য করা যায়—
-
“রাজা” শব্দটি হলো কর্তা, অর্থাৎ যে ক্রিয়াটি সম্পন্ন করে।
-
“স্বদেশে” শব্দটি অধিকরণ কারক, যার অর্থ নিজ দেশে বা নিজের ভূখণ্ডে।
-
“পূজ্যতে” হলো কর্মবাচ্য ক্রিয়া, যার অর্থ সম্মানিত হন বা পূজা পান।
-
পুরো বাক্যের অর্থ দাঁড়ায়— “রাজা নিজ দেশে পূজিত হন” বা “নিজ দেশে রাজা সম্মানিত হন”।
-
এই নীতিটি বোঝায় যে, ব্যক্তি তার নিজের দেশ, সমাজ বা পরিবেশেই সর্বাধিক মর্যাদা ও সম্মান পায়, অপরিচিত স্থানে নয়।
-
এটি মানুষের আত্মমর্যাদা, সামাজিক স্বীকৃতি এবং দেশপ্রেমের ধারণা তুলে ধরে।

0
Updated: 23 hours ago
নিচের কোন দুটি কালিদাসের রচিত?
Created: 23 hours ago
A
মালবিকাগ্নিমিত্র ও পঞ্চতন্ত্র
B
সৌন্দরনন্দ ও বজ্রসূচী
C
কর্ণভার ও বালচরিত
D
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ ও মেঘদূতম্
কালিদাস ছিলেন প্রাচীন ভারতের এক অমর প্রতিভা, যিনি সংস্কৃত ভাষায় কাব্য ও নাটকের মাধ্যমে বিশ্বসাহিত্যে অমরত্ব লাভ করেছেন। তাঁর রচনাগুলো প্রাচীন ভারতীয় জীবন, প্রকৃতি, প্রেম ও আধ্যাত্মিক ভাবনা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত।
১. অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ – এটি একটি বিখ্যাত নাটক, যেখানে রাজা দুষ্যন্ত ও শকুন্তলার প্রেমকাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। এতে মানব-প্রেম, বেদনা ও পুনর্মিলনের অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়।
২. মেঘদূত – এটি একটি খণ্ডকাব্য, যেখানে নির্বাসিত এক যক্ষ তার প্রিয়ার কাছে বার্তা পাঠানোর জন্য মেঘকে দূত হিসেবে কল্পনা করে। প্রকৃতি ও প্রেমের অনুপম বর্ণনা এই কাব্যের মূল সৌন্দর্য।
৩. রঘুবংশম্ – একটি মহাকাব্য, যেখানে রঘুবংশের রাজাদের বংশধারা ও তাঁদের বীরত্বের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
৪. কুমারসম্ভবম্ – আরেকটি মহাকাব্য, যা পার্বতী ও শিবের বিবাহ এবং তাঁদের পুত্র কার্তিকেয়ের জন্মকথা নিয়ে রচিত।
৫. তাঁর রচনায় প্রকৃতি, প্রেম, ধর্ম ও নন্দনতত্ত্বের সুষমা প্রকাশ পেয়েছে, যা তাঁকে ভারতীয় সাহিত্যজগতের শ্রেষ্ঠ কবিদের অন্যতম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

0
Updated: 23 hours ago