কৃষক খেতে চাষ করছে- এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
A
কৃষকঃ ক্ষেত্রে কর্ষতি
B
কৃষকাঃ ক্ষেত্রে কর্ষণঃ
C
কৃষকঃ ক্ষেত্রেং কৃষতি
D
কৃষকঃ ক্ষেত্রায় কৃষতি
উত্তরের বিবরণ
বাক্যটি “কৃষক খেতে চাষ করছে” এর সংস্কৃত অনুবাদ গঠিত হয় সঠিক কারক ও ক্রিয়াপদ প্রয়োগের মাধ্যমে, যেখানে প্রতিটি পদ নির্দিষ্ট ব্যাকরণগত ভূমিকা পালন করে।
-
কৃষকঃ: কর্তা বা কর্মসম্পাদক, তাই এটি কর্তৃকারক, প্রথমা বিভক্তি, একবচন, পুংলিঙ্গ।
-
ক্ষেতে (ক্ষেত্রে): কাজটি যেখানে সম্পন্ন হচ্ছে, অর্থাৎ অধিকরণ কারক, যা সপ্তমী বিভক্তি দ্বারা প্রকাশিত হয়।
-
কर्षতি: মূল ধাতু “কৃষ্” (চাষ করা) থেকে উৎপন্ন বর্তমানকালের ক্রিয়াপদ, যার অর্থ “চাষ করছে”।
অতএব, ব্যাকরণ অনুযায়ী সঠিক বাক্যগঠন হবে — “कृषकः क्षेत्रे कर्षति” (কৃষকঃ ক্ষেত্রে কর্ষতি), যার অর্থ — “কৃষক খেতে চাষ করছে।”

0
Updated: 1 day ago
চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রাচীনতম গ্রন্থ কোনটি?
Created: 23 hours ago
A
চরকসংহিতা
B
ভেলসংহিতা
C
অষ্টাঙ্গসংগ্রহ
D
আয়ুর্বেদ
চরকসংহিতা প্রাচীন ভারতের চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক অমূল্য গ্রন্থ, যা আয়ুর্বেদের ভিত্তি স্থাপন করেছে। এই গ্রন্থটি চরক নামে এক প্রখ্যাত ঔষধজ্ঞ দ্বারা রচিত বলে ধারণা করা হয় এবং এটি চিকিৎসাশাস্ত্রের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিকের বিস্তৃত বর্ণনা প্রদান করে।
-
এতে অভ্যন্তরীণ রোগসমূহ, তাদের লক্ষণ ও কারণ, এবং উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে।
-
ঔষধ প্রস্তুতি, প্রয়োগ ও ফলাফল সম্পর্কেও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যা প্রাচীন চিকিৎসাবিজ্ঞানের উচ্চমানের প্রমাণ বহন করে।
-
গ্রন্থে আয়ুর্বেদের মূল নীতিমালা, যেমন দেহ, মন ও আত্মার সামঞ্জস্য রক্ষা, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারার প্রভাব ইত্যাদি গুরুত্ব পেয়েছে।
-
চরকসংহিতা পরবর্তীকালে সুশ্রুত সংহিতা ও অষ্টাঙ্গ হৃদয়ম্-এর মতো অন্যান্য আয়ুর্বেদিক গ্রন্থের ভিত্তি স্থাপনেও ভূমিকা রেখেছে।
-
এটি আজও আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শিক্ষার প্রধান প্রামাণ্য গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।

0
Updated: 23 hours ago
বিশ্বনাথ কবিরাজ রচিত গ্রন্থের নাম কি?
Created: 1 day ago
A
অলঙ্কার চন্দ্রিকা
B
অভিনবভারতী
C
সাহিত্যদর্পণ
D
রসসমীক্ষা
বিশ্বনাথ কবিরাজ ছিলেন সংস্কৃত সাহিত্য ও আলঙ্কারশাস্ত্রের এক বিশিষ্ট পণ্ডিত, যিনি কাব্যতত্ত্বের গভীর বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যার জন্য খ্যাত। তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা “সাহিত্যদর্পণ” সংস্কৃত সাহিত্যতত্ত্বের এক প্রামাণ্য ও ক্লাসিক গ্রন্থ হিসেবে পরিচিত।
১. গ্রন্থের পরিচয়: “সাহিত্যদর্পণ” গ্রন্থে কাব্যের প্রকৃতি, রসতত্ত্ব, অলঙ্কার, ছন্দ, কাব্যগুণ ও দোষ প্রভৃতি বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
২. রচনার বৈশিষ্ট্য: এই গ্রন্থে সাহিত্যকে রসনামূলক অভিজ্ঞতা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং কাব্যকে “রসাত্মক শব্দার্থের সমন্বয়” বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
৩. সাহিত্যতত্ত্বে গুরুত্ব: সংস্কৃত কাব্যতত্ত্বে ভামহ, আনন্দবর্ধন, মম্মট প্রমুখের ধারাকে বিশ্লেষণ করে বিশ্বনাথ কবিরাজ নিজের স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছেন।
৪. অন্যান্য বিকল্পের বিশ্লেষণ:
-
অলঙ্কার চন্দ্রিকা: অন্য সাহিত্যিকের কাব্যশাস্ত্র বিষয়ক রচনা।
-
অভিনবভারতী: নাট্যশাস্ত্র ও দর্শন বিষয়ক গ্রন্থ, অভিনবগুপ্তের রচনা।
-
রসসমীক্ষা: রসতত্ত্বের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণধর্মী গ্রন্থ।
৫. উপসংহার: প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে একমাত্র “সাহিত্যদর্পণ”-ই বিশ্বনাথ কবিরাজের রচিত, যা সংস্কৃত সাহিত্য ও অলঙ্কারশাস্ত্রের এক অমূল্য সংকলন।

0
Updated: 1 day ago
পুরাণ সাহিত্যে কতটি লক্ষণের উল্লেখ আছে?
Created: 23 hours ago
A
৭ টি
B
৬ টি
C
৫ টি
D
৪ টি
পুরাণের প্রকৃত স্বরূপ বোঝাতে প্রাচীন পণ্ডিতরা এর নির্দিষ্ট লক্ষণ নির্ধারণ করেছেন, যেগুলোকে সম্মিলিতভাবে “পঞ্চলক্ষণ” বলা হয়। গরুড় পুরাণ ও নরদ পুরাণসহ অন্যান্য পুরাণেও এই পাঁচটি বিষয়ের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা পুরাণকে অন্য সাহিত্যধারা থেকে পৃথক করেছে।
১. সর্গ – ব্রহ্মার দ্বারা বিশ্বসৃষ্টির বর্ণনা, অর্থাৎ মহাবিশ্বের আদিরূপ সৃষ্টিকাহিনী।
২. প্রতিসর্গ – প্রলয়ের পর মহাবিশ্বের পুনঃসৃষ্টি, যা সৃষ্টির চক্রবৃত্ত ধারণাকে প্রকাশ করে।
৩. বংশ – দেবতা, ঋষি ও রাজাদের বংশাবলি, যা ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার বোঝায়।
৪. মন্বন্তর – প্রতিটি মনুর শাসনকাল ও সেই সময়কার গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি, যা যুগ বা পর্বভিত্তিক ইতিহাস তুলে ধরে।
৫. বংশানুচরিত – রাজবংশের বীর, পুণ্যবান ও খ্যাতনামা পুরুষদের কর্মজীবনের বিবরণ, যা নৈতিকতা ও আদর্শের দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপিত।
এই পাঁচটি লক্ষণের উপস্থিতিই পুরাণকে পূর্ণতা দেয় এবং ধর্ম, ইতিহাস ও দর্শনের সমন্বয়ে এক অনন্য সাহিত্যরূপ সৃষ্টি করে।

0
Updated: 23 hours ago