কিরাত কে?
A
মহাদেব
B
বনদেবতা
C
যুধিষ্ঠির সখা
D
অর্জুনের সখা
উত্তরের বিবরণ
“কিরাত” শব্দটি এখানে বোঝায় ভগবান মহাদেবকে, যিনি অর্জুনের তপস্যা পরীক্ষা করার জন্য শিকারীর রূপে আবির্ভূত হন। “কিরাতার্জুনীয়ম্” মহাকাব্যে (রচয়িতা: ভারবী) এই ঘটনার কাব্যিক চিত্রায়ণ হয়েছে।
১. ‘কিরাত’ শব্দের অর্থ হলো পাহাড়ি বা শিকারী রূপধারী ব্যক্তি, যা এখানে শিবের ছদ্মবেশ নির্দেশ করে।
২. অর্জুন স্বর্গীয় অস্ত্র লাভের উদ্দেশ্যে কঠোর তপস্যা করছিলেন, এবং তাঁর ভক্তি ও সংযম পরীক্ষা করার জন্য শিব কিরাতরূপে তাঁর সামনে উপস্থিত হন।
৩. অর্জুন প্রথমে কিরাতকে সাধারণ শিকারী ভেবে যুদ্ধের আহ্বান জানান, এবং এক কঠিন সংঘর্ষে অবতীর্ণ হন।
৪. দীর্ঘ যুদ্ধের পর অর্জুন শিবের প্রতি প্রণতি জ্ঞাপন করলে শিব তাঁর দিব্য রূপ প্রকাশ করে তাঁকে আশীর্বাদ প্রদান করেন।
৫. এই পরীক্ষার ফলস্বরূপ অর্জুন লাভ করেন শিবের প্রসাদস্বরূপ ‘পাশুপতাস্ত্র’, যা ছিল এক দেবদত্ত মহাস্ত্র।
৬. কিরাতার্জুনীয়ম্ মহাকাব্যের এই কাহিনি ভক্তি, ত্যাগ ও ঈশ্বরপ্রদত্ত শক্তির প্রতীক হিসেবে ভারতীয় সাহিত্য ও পুরাণে চিরস্মরণীয়।
সঠিক উত্তর: ক) মহাদেব

0
Updated: 1 day ago
কিরাতার্জুনীয়ম মহাকাব্যটি কতটি সর্গে বিভক্ত?
Created: 1 day ago
A
২০টি
B
১৫টি
C
১৭টি
D
১৮টি
প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংস্কৃত মহাকাব্য “কিরাতার্জুনীয়ম্” রচনা করেছিলেন মহান কবি ভারভী (Bharavi), যিনি কালীদাস-পরবর্তী যুগের একজন বিশিষ্ট মহাকবি হিসেবে পরিচিত। এই কাব্যের কাহিনি সংগৃহীত হয়েছে মহাভারতের বনপর্ব থেকে, যেখানে অর্জুনের তপস্যা, শিবের কিরাতরূপ ধারণ ও পাশুপত অস্ত্র প্রাপ্তি—এই ঘটনাগুলো কাব্যিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
১. “কিরাতার্জুনীয়ম্” নামটি এসেছে “কিরাত” (অর্থাৎ শিকারীর রূপে শিব) ও “অর্জুন”-এর নামের সংযোগ থেকে।
২. কাব্যে মূলত অর্জুনের ত্যাগ, অধ্যবসায় ও ঈশ্বরপ্রেমকে মহাকাব্যিক আকারে চিত্রিত করা হয়েছে।
৩. এতে রস, অলঙ্কার, ছন্দ ও ভাষার গৌরব অত্যন্ত উচ্চমানের, যা ভারভীর সাহিত্যপ্রতিভার পরিচায়ক।
৪. এই মহাকাব্যটি মোট ১৮টি সর্গে বিভক্ত, প্রতিটি সর্গে কাহিনির একটি স্বতন্ত্র ধাপ বর্ণিত — যেমন তপস্যা, কিরাতরূপ ধারণ, যুদ্ধ, অর্জুনের বিজয় ও শিবের আশীর্বাদ।
৫. এটি কেবল ধর্মীয় বা পৌরাণিক কাব্য নয়, বরং নায়কোচিত বীরত্ব ও আধ্যাত্মিক উপলব্ধির সমন্বয়।
সঠিক উত্তর: গ) ১৮টি সর্গে বিভক্ত

0
Updated: 1 day ago
√ শ্রু ধাতুর লট প্রথম পুরুষ একবচনের সঠিক রূপ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
শুনোতি
B
শূনুতঃ
C
শ্রেষ্যতি
D
শুনোতু
শৃণোতি (শুনোতি) শব্দটি সংস্কৃত ভাষার একটি ধাতুর রূপ, যা শ্রবণ বা শোনার ক্রিয়া প্রকাশ করে। এটি ধাতুর রূপগঠন ও ক্রিয়ারূপের নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়।
মূল তথ্যসমূহ:
-
মূল ধাতু: √শ্রু — অর্থ “শোনা”।
-
গণ বা শ্রেণি: পঞ্চম গণভুক্ত ধাতু।
-
প্রয়োগভেদ: পরস্মৈপদে ব্যবহৃত।
-
লকার: লট্ লকার অর্থাৎ বর্তমান কাল।
-
রূপগঠন প্রক্রিয়া:
-
ধাতুর সঙ্গে “নু” আগম যুক্ত হয় → “শ্রু + নু”।
-
এরপর প্রথম পুরুষ একবচনের প্রত্যয় “তিপ্” যোগ হয় → “শৃণোতি”।
-
-
অর্থ: “সে শোনে” বা “He hears”।
-
অন্য বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
-
“শৃণুতঃ” — দ্বিতীয় পুরুষ দ্বিবচন।
-
“শ্রেষ্যতি” — ভবিষ্যৎ কালের রূপ।
-
“শৃণোতু” — আদেশবাচক রূপ।
সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র “শৃণোতি”-ই সঠিক বর্তমানকালের প্রথম পুরুষ একবচন রূপ।
-

0
Updated: 1 day ago
মহাভারতের যুদ্ধে মোট কত অক্ষৌহিণী সৈন্য ছিল?
Created: 1 day ago
A
৭ অক্ষৌহিণী
B
১১ অক্ষৌহিণী
C
১৮ অক্ষৌহিণী
D
১০ অক্ষৌহিণী
মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ ছিল ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ ও স্মরণীয় যুদ্ধ, যেখানে উভয় পক্ষ মিলিয়ে মোট ১৮ অক্ষৌহিণী সৈন্যবাহিনী অংশগ্রহণ করেছিল। এই বিশাল সেনাবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে মানব সভ্যতার প্রাচীনতম ও বৃহত্তম সংঘর্ষগুলোর একটি সৃষ্টি করে।
-
কৌরব পক্ষের সৈন্য সংখ্যা: ১১ অক্ষৌহিণী
-
পাণ্ডব পক্ষের সৈন্য সংখ্যা: ৭ অক্ষৌহিণী
-
একটি অক্ষৌহিণী সেনা বলতে বোঝানো হয় নির্দিষ্ট সংখ্যক রথ, হাতি, অশ্ব ও পদাতিকের সমন্বয়ে গঠিত এক বিশাল বাহিনী, যার মোট সদস্যসংখ্যা প্রায় ২১,৮৭,৮৭০ জন।
-
এই যুদ্ধেই কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে ন্যায় ও অন্যায়ের সংঘর্ষ ঘটে, যা মহাভারতের মূল কাহিনির কেন্দ্রবিন্দু।
-
যুদ্ধের সময় শ্রীকৃষ্ণ পাণ্ডবপক্ষের উপদেষ্টা ও অর্জুনের সারথি হিসেবে ভূমিকা রাখেন, যা পরবর্তীতে ভগবদ্গীতার শিক্ষার সূত্রপাত ঘটায়।

0
Updated: 1 day ago