'মেঘদূতম্' কাব্যের পূর্বমেঘে কি বিষয়ের বর্ণনা করা হয়েছে?
A
অলকাপুরীর
B
মেঘের যাত্রাপথের
C
যক্ষপত্নীর বিরহদশা
D
যক্ষপত্নীর সাথে মিলনের
উত্তরের বিবরণ
কালিদাসের ‘মেঘদূত’ কাব্যটি একটি শ্রেষ্ঠ কাব্যিক কল্পনাপ্রসূত রচনা, যা দুই ভাগে বিভক্ত— পূর্বমেঘ (Purvamegha) ও উত্তরমেঘ (Uttaramegha)। এই দুই অংশে কবি অনুভূতি ও প্রকৃতিবর্ণনার এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়েছেন।
-
পূর্বমেঘে কবি নির্বাসিত যক্ষের পক্ষ থেকে মেঘকে দূতের মতো যাত্রার নির্দেশ দেন।
-
এখানে মূলত মেঘের যাত্রাপথের বর্ণনা — অর্থাৎ পর্বত, নদী, বন, গ্রাম, নগর, প্রাসাদ ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ক্রমবিন্যাস — অত্যন্ত কাব্যিকভাবে উপস্থাপিত।
-
কবি যেন মেঘের জন্য এক মানচিত্র এঁকেছেন, যাতে সে সঠিক পথে যক্ষিণীর কাছে পৌঁছাতে পারে।
-
এই অংশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ভূগোল ও শিল্পকল্পনা একত্রে মিলিত হয়েছে।
-
অন্যদিকে, উত্তরমেঘে যক্ষের প্রিয়ার স্মৃতি, বেদনা ও অন্তরঙ্গ ভাব প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে।
-
ফলে বলা যায়, ‘পূর্বমেঘ’-এর মুখ্য বিষয় হলো মেঘের যাত্রাপথের বর্ণনা, আর ‘উত্তরমেঘ’-এর মূল ভাব প্রেম ও বিরহের আবেগ।
এইভাবে, কালিদাস প্রকৃতি ও প্রেমের সংলগ্নতার মাধ্যমে ‘মেঘদূত’-কে এক অনন্য রোমান্টিক ও দার্শনিক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন।

0
Updated: 1 day ago
ভাসের লেখা নাটকের সংখ্যা কয়টি?
Created: 1 day ago
A
৫ টি
B
১৫ টি
C
১৩ টি
D
১০ টি
ভাস ছিলেন ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও শ্রেষ্ঠ সংস্কৃত নাট্যকার, যিনি কালিদাসেরও পূর্ববর্তী যুগে সাহিত্যসাধনা করেছিলেন। তাঁর রচনাগুলি প্রাচীন ভারতীয় নাট্যসাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
ভাসের সময়কাল প্রায় খ্রিস্টীয় ২য়–৩য় শতক।
-
কালিদাস নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তিনি ভাসসহ প্রাচীন কবিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন— “ভাস, সৌমিল, কৌটিল্যাদি পুরাতন কবিদের পদাঙ্কে আমি চলেছি” (মালবিকাগ্নিমিত্রম, ভূমিকা অংশে)।
-
বহুদিন ভাসের নাটকগুলো হারিয়ে গিয়েছিল, তবে কেরালার পণ্ডিত টি. গণপতিশাস্ত্রী ১৯১২–১৯১৫ সালের মধ্যে ত্রিবাঙ্কুরের এক পান্ডুলিপি থেকে ভাসের ১৩টি নাটক উদ্ধার করেন।
-
এর মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয় যে, ভাসের রচিত নাটকের সংখ্যা ১৩টি।
ভাসের ১৩টি নাটক ও তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
-
প্রতিজ্ঞা যৗগন্ধরায়ণম্ — যৌগন্ধরায়ণের প্রতিজ্ঞা ও উদার নীতির কাহিনি
-
স্বপ্নবাসবদত্তম্ — উদয়ন ও বাসবদত্তার প্রেমগাথা
-
পাঞ্চরাত্রম্ — উদয়ন–বাসবদত্তা–সুশ্রুভার কাহিনি
-
দূতঘটোত্কচম্ — মহাভারতের ঘটোত্কচ ও কৃষ্ণসংক্রান্ত নাটক
-
দূতবাক্যম্ — কৃষ্ণের কৌরব সভায় দূতরূপে যাত্রা
-
উরুভঙ্গম্ — দুরু্যোধনের উরু ভাঙার কাহিনি
-
কর্ণভারম্ — কর্ণের দানশীলতার চিত্রণ
-
অবিমারক (অভিমারক) — রোমান্টিক প্রেমকাহিনি
-
বালচরিতম্ — কৃষ্ণের শৈশবজীবনের কাহিনি
-
দারিদ্রচরিতম্ — মানবজীবনের দারিদ্র্যচিত্র
-
মাধ্যম্যবয়নম্ — মধ্যমবীর নায়কের কাহিনি
-
অভিমারক (Abhimāraka) — রাজকুমার–রাজকন্যার প্রেমগাথা
-
প্রতিমা নাটকম্ — রামায়ণ অবলম্বনে রচিত নাটক
কিছু গবেষকের মতে, দারিদ্রচরিতম্ ও মাধ্যম্যবয়নম্ সম্ভবত ভাসের রচনা নয়, কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে এগুলোকেও তাঁর নামে স্বীকৃত দেওয়া হয়েছে।
ভাসের নাটকের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
সংক্ষিপ্ত অথচ নাটকীয় উপস্থাপনা— ঘটনা বিন্যাস দ্রুত ও সংলাপ শক্তিশালী।
-
মানবিক আবেগের গভীর প্রকাশ— করুণা, প্রেম, ত্যাগ ও বীরত্বের মিশ্রণ।
-
সাহিত্যিক উদ্ভাবনশক্তি— রামায়ণ ও মহাভারতের পরিচিত কাহিনিতে নতুন ব্যাখ্যা।
-
নাট্যরূপের পূর্বসূরী ভূমিকা— পরবর্তী নাট্যকার যেমন কালিদাস ও ভট্টনারায়ণ ভাসের নাটক থেকে প্রভাবিত হন।
এইভাবে ভাস সংস্কৃত নাট্যধারার ভিত্তি স্থাপন করেন, যা ভারতীয় নাট্যকলার বিকাশে এক যুগান্তকারী অবদান হিসেবে চিহ্নিত।

0
Updated: 1 day ago
মহাভারতের সর্বশেষ পর্বের নাম কি?
Created: 1 day ago
A
আদিপর্ব
B
সভাপর্ব
C
বনপর্ব
D
স্বর্গারোহণ পর্ব
মহাভারতের শেষ পর্বের নাম “স্বর্গারোহণ পর্ব”, যা এই মহাকাব্যের ১৮তম ও সমাপনী অধ্যায়। এটি মহর্ষি ব্যাসদেব রচিত মহাভারতের কাহিনির পরিণতি নির্দেশ করে, যেখানে পার্থিব জীবনের সমাপ্তি ও আত্মার চূড়ান্ত গমনপথ তুলে ধরা হয়েছে।
-
পর্বসংখ্যা: মহাভারতে মোট ১৮টি পর্ব রয়েছে।
-
প্রথম পর্ব: আদিপর্ব, যেখানে পাণ্ডব ও কৌরব বংশের উৎপত্তি ও প্রেক্ষাপট বর্ণিত।
-
শেষ পর্ব: স্বর্গারোহণ পর্ব, যেখানে পাণ্ডবদের জীবনের শেষ অধ্যায় ও যুধিষ্ঠিরের স্বর্গারোহণের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।
-
মূল বিষয়বস্তু: এই পর্বে পাণ্ডবদের তপস্যা, মৃত্যুর পর যুধিষ্ঠিরের ধর্মপরায়ণতা ও সত্যনিষ্ঠার পুরস্কার হিসেবে স্বর্গলাভের বিবরণ পাওয়া যায়।
-
আধ্যাত্মিক তাৎপর্য: এটি ধর্ম, ন্যায়, কর্মফল ও জীবনের চূড়ান্ত মুক্তির প্রতীক হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।
অতএব, মহাভারতের শেষ পর্ব বা সমাপ্তি অধ্যায় হলো “স্বর্গারোহণ পর্ব”।

0
Updated: 1 day ago
কবিষু কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ - এর অনুবাদ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
কবি কালিদাস শ্রেষ্ঠ
B
কালিদাস আমাদের বড় কবি
C
কালিদাস ছাড়া কবি নাই
D
কবিদের মধ্যে কালিদাস শ্রেষ্ঠ
এই উক্তিটি কালিদাসের অসামান্য প্রতিভা ও সাহিত্যকীর্তির স্বীকৃতি প্রকাশ করে। সংস্কৃত সাহিত্যে তাঁর স্থান অনন্য, এবং “কবিষু কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ” বাক্যটি তাঁকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
১. “কবিষু” অর্থ কবিদের মধ্যে, যা একটি সমষ্টিবাচক রূপ।
২. “কালিদাসঃ” দ্বারা বোঝানো হয়েছে মহান সংস্কৃত কবি কালিদাসকে।
৩. “শ্রেষ্ঠঃ” মানে সর্বোত্তম বা উৎকৃষ্টতম, যা তাঁর সাহিত্যমানের সর্বোচ্চ পর্যায়কে নির্দেশ করে।
৪. বাক্যটির অর্থ— “কবিদের মধ্যে কালিদাস শ্রেষ্ঠ”, যা তাঁর কাব্যপ্রতিভার সর্বজনস্বীকৃত অবস্থানকে প্রকাশ করে।
৫. কালিদাসের রচনায় প্রকৃতি, প্রেম, মানবতা ও নন্দনচেতনার গভীর প্রকাশ তাঁকে এই শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।

0
Updated: 1 day ago