বিশ্বনাথ কবিরাজ রচিত গ্রন্থের নাম কি?
A
অলঙ্কার চন্দ্রিকা
B
অভিনবভারতী
C
সাহিত্যদর্পণ
D
রসসমীক্ষা
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বনাথ কবিরাজ ছিলেন সংস্কৃত সাহিত্য ও আলঙ্কারশাস্ত্রের এক বিশিষ্ট পণ্ডিত, যিনি কাব্যতত্ত্বের গভীর বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যার জন্য খ্যাত। তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা “সাহিত্যদর্পণ” সংস্কৃত সাহিত্যতত্ত্বের এক প্রামাণ্য ও ক্লাসিক গ্রন্থ হিসেবে পরিচিত।
১. গ্রন্থের পরিচয়: “সাহিত্যদর্পণ” গ্রন্থে কাব্যের প্রকৃতি, রসতত্ত্ব, অলঙ্কার, ছন্দ, কাব্যগুণ ও দোষ প্রভৃতি বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
২. রচনার বৈশিষ্ট্য: এই গ্রন্থে সাহিত্যকে রসনামূলক অভিজ্ঞতা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং কাব্যকে “রসাত্মক শব্দার্থের সমন্বয়” বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
৩. সাহিত্যতত্ত্বে গুরুত্ব: সংস্কৃত কাব্যতত্ত্বে ভামহ, আনন্দবর্ধন, মম্মট প্রমুখের ধারাকে বিশ্লেষণ করে বিশ্বনাথ কবিরাজ নিজের স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছেন।
৪. অন্যান্য বিকল্পের বিশ্লেষণ:
-
অলঙ্কার চন্দ্রিকা: অন্য সাহিত্যিকের কাব্যশাস্ত্র বিষয়ক রচনা।
-
অভিনবভারতী: নাট্যশাস্ত্র ও দর্শন বিষয়ক গ্রন্থ, অভিনবগুপ্তের রচনা।
-
রসসমীক্ষা: রসতত্ত্বের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণধর্মী গ্রন্থ।
৫. উপসংহার: প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে একমাত্র “সাহিত্যদর্পণ”-ই বিশ্বনাথ কবিরাজের রচিত, যা সংস্কৃত সাহিত্য ও অলঙ্কারশাস্ত্রের এক অমূল্য সংকলন।

0
Updated: 1 day ago
মহাভারতের যুদ্ধে মোট কত অক্ষৌহিণী সৈন্য ছিল?
Created: 23 hours ago
A
৭ অক্ষৌহিণী
B
১১ অক্ষৌহিণী
C
১৮ অক্ষৌহিণী
D
১০ অক্ষৌহিণী
মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ ছিল ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ ও স্মরণীয় যুদ্ধ, যেখানে উভয় পক্ষ মিলিয়ে মোট ১৮ অক্ষৌহিণী সৈন্যবাহিনী অংশগ্রহণ করেছিল। এই বিশাল সেনাবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে মানব সভ্যতার প্রাচীনতম ও বৃহত্তম সংঘর্ষগুলোর একটি সৃষ্টি করে।
-
কৌরব পক্ষের সৈন্য সংখ্যা: ১১ অক্ষৌহিণী
-
পাণ্ডব পক্ষের সৈন্য সংখ্যা: ৭ অক্ষৌহিণী
-
একটি অক্ষৌহিণী সেনা বলতে বোঝানো হয় নির্দিষ্ট সংখ্যক রথ, হাতি, অশ্ব ও পদাতিকের সমন্বয়ে গঠিত এক বিশাল বাহিনী, যার মোট সদস্যসংখ্যা প্রায় ২১,৮৭,৮৭০ জন।
-
এই যুদ্ধেই কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে ন্যায় ও অন্যায়ের সংঘর্ষ ঘটে, যা মহাভারতের মূল কাহিনির কেন্দ্রবিন্দু।
-
যুদ্ধের সময় শ্রীকৃষ্ণ পাণ্ডবপক্ষের উপদেষ্টা ও অর্জুনের সারথি হিসেবে ভূমিকা রাখেন, যা পরবর্তীতে ভগবদ্গীতার শিক্ষার সূত্রপাত ঘটায়।

0
Updated: 23 hours ago
"ব্রহ্মসত্য জগৎ মিথ্যা" এই শিক্ষা কোন দর্শনে উল্লেখ আছে?
Created: 1 day ago
A
জৈন দর্শনে
B
ভারতীয় দর্শনে
C
বৌদ্ধদর্শনে
D
চার্বাক দর্শনে
এই উক্তিটি আদি শংকরাচার্যের অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের কেন্দ্রীয় তত্ত্ব, যা উপনিষদসমূহের মূল ভাবকে সংক্ষেপে প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, ব্রহ্মই একমাত্র চিরন্তন সত্য, জগৎ পরিবর্তনশীল ও মায়াময়, আর জীবাত্মা ও পরমাত্মা মূলত অভিন্ন।
-
ব্রহ্ম সত্য: ব্রহ্ম মানে সর্বব্যাপী, চিরন্তন ও অপরিবর্তনশীল চৈতন্য। এটি কখনও পরিবর্তিত হয় না এবং সর্বত্র বিরাজমান।
-
জগৎ মিথ্যা: “মিথ্যা” অর্থ এখানে অস্তিত্বহীন নয়, বরং অস্থায়ী বা পরিবর্তনশীল। জগৎ মায়ার দ্বারা আচ্ছাদিত, তাই এটি পরম সত্য নয়।
-
জীবো ব্রহ্মৈব নাপরঃ: ব্যক্তি আত্মা ও পরমাত্মা একই — তাদের মধ্যে কোনো প্রকৃত ভেদ নেই। এটাই অদ্বৈত (দ্বৈত নয়) ভাবের মূল।
-
উপনিষদীয় সূত্র: বৃহদারণ্যক উপনিষদে “অহম্ ব্রহ্মাস্মি” (আমি ব্রহ্ম), ছান্দোগ্যে “তত্ত্বমসি” (তুই সেই ব্রহ্ম), ও মাণ্ডূক্যে জগৎকে মায়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
-
শংকরভাষ্য ব্যাখ্যা: “যা পরিবর্তনশীল, তা মিথ্যা; যা অপরিবর্তনশীল, তা সত্য — সেই সত্য ব্রহ্ম।”
-
অন্যান্য দর্শনের পার্থক্য:
-
চার্বাক: শুধু ইহজগৎ সত্য, ব্রহ্ম বা পরলোক অস্বীকার।
-
বৌদ্ধ: অনিত্যতা ও অনাত্মবাদে বিশ্বাস, ব্রহ্মধারণা অনুপস্থিত।
-
জৈন: বহু বাস্তবতার স্বীকৃতি, আংশিকভাবে ভিন্ন।
-
অদ্বৈত বেদান্ত: ব্রহ্ম একমাত্র সত্য — এখানেই উক্তিটির উৎপত্তি।
-
-
উপসংহার: এই তত্ত্ব মুক্তির ধারণা ব্যাখ্যা করে — যখন মানুষ আত্মা ও ব্রহ্মের ঐক্য উপলব্ধি করে, তখনই সে পরম জ্ঞান ও মুক্তি লাভ করে।

0
Updated: 1 day ago
সরস্বতীর জলে অবগাহন করে মেঘ কোন নগরে যাবে?
Created: 1 day ago
A
কনখল
B
উজ্জয়িনী
C
গন্ধবতী
D
অলকা
মহাকবি কালিদাস রচিত “মেঘদূত” কাব্যটি প্রেম, প্রকৃতি ও বিরহের এক অনন্য সংমিশ্রণ, যেখানে এক যক্ষ তার প্রিয় স্ত্রীর কাছে বার্তা পাঠাতে একটি মেঘকে দূত হিসেবে প্রেরণ করেন। কাব্যটি কল্পনা ও অনুভূতির এক অপূর্ব কাব্যিক যাত্রা।
১. যক্ষ দেবরাজ কুবেরের অভিশাপে নির্বাসিত, এবং প্রিয় স্ত্রীর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ব্যথিত।
২. নিজের ব্যাকুল হৃদয়ের বার্তা পৌঁছে দিতে সে একটি গ্রীষ্মকালের মেঘকে দূতরূপে প্রেরণ করে।
৩. যক্ষ নির্দেশ দেয়, মেঘ যেন সরস্বতী নদীতে অবগাহন করে যাত্রা শুরু করে এবং পথে নানা পর্বত, নদী, নগর ও অরণ্যের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়।
৪. মেঘের এই যাত্রাপথে প্রকৃতির সৌন্দর্য, রোমাঞ্চ ও অনুভূতির সূক্ষ্ম বর্ণনা কালিদাসের অতুলনীয় কাব্যিক ক্ষমতা প্রকাশ করে।
৫. অবশেষে মেঘ পৌঁছায় অলকা নগরে, যা যক্ষের স্ত্রীর বাসস্থান — সেখানে পৌঁছে তাকে যক্ষের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়।
৬. সমগ্র কাব্যে মেঘের পথচারণা শুধু একটি বার্তাবাহক যাত্রা নয়, বরং তা বিরহ, প্রেম ও আশার প্রতীকী রূপ হিসেবে চিত্রিত হয়েছে।
“মেঘদূত” তাই শুধু একটি প্রেমবাণী নয়, এটি প্রকৃতির মধ্য দিয়ে প্রেমের অমর রূপের কাব্যিক প্রকাশ।

0
Updated: 1 day ago