"রাজা বিজয়তে" - এই বাক্যে কোন পদবিধান কার্যকর হয়েছে?
A
আত্মনেপদবিধান
B
পরস্মৈপদ বিধান
C
কৃদন্তপদ
D
সমাসনিষ্পন্নপদ
উত্তরের বিবরণ
“রাজা বিজয়তে” বাক্যটি এমন এক ক্রিয়ার উদাহরণ যেখানে ক্রিয়ার ফল নিজ ক্রেতার ওপরেই বর্তায়। এজন্য এটি আত্মনেপদ বিধান অনুসারে গঠিত।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সঠিক উত্তর: ক) আত্মনেপদ বিধান।
-
মূল ধাতু: √জি (জয় করা)।
-
দুটি রূপ:
-
পরস্মৈপদী রূপ: জয়তি — অর্থ অন্যকে জয় করে।
-
আত্মনেপদী রূপ: বিজয়তে — অর্থ নিজে জয়ী হয় / জয়লাভ করে।
-
-
অর্থগত পার্থক্য:
-
জয়তি-তে ক্রিয়ার ফল অন্যের ওপর বর্তায়।
-
বিজয়তে-তে ক্রিয়ার ফল নিজের মধ্যেই ফিরে আসে।
-
-
উদাহরণ:
-
অর্জুনঃ জয়তি — “অর্জুন অন্যকে জয় করে।”
-
রাজা বিজয়তে — “রাজা নিজে জয়লাভ করেন।”
-
-
ব্যাকরণিক সূত্র (পাণিনী): “স্বার্থে আত্মনেপদম্” — অর্থাৎ যখন ক্রিয়ার ফল নিজের ওপর পড়ে, তখন আত্মনেপদ ব্যবহৃত হয়।
-
ধাতুপাঠ অনুসারে: “বিপরাভ্যাঞ্জেঃ” — অর্থাৎ বি বা পরা উপসর্গযুক্ত √জি ধাতু আত্মনেপদ হয়।
-
ফলত: বি + জি → বিজয়তে, যা আত্মনেপদী রূপ নির্দেশ করে।

0
Updated: 1 day ago
দ্রৌপদী যুধিষ্ঠিরকে কোন ধরণের বাক্য প্রয়োগের মাধ্যমে ক্রোধে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন?
Created: 1 day ago
A
ভৎসনামূলক
B
বিরহাত্বক
C
বিরুদ্ধাত্মক
D
শান্তনাসূচক
মহাভারতের বর্ণনা অনুযায়ী, দ্রৌপদী যুধিষ্ঠিরের অতিরিক্ত ধর্মনিষ্ঠ ও ধীর স্বভাব দেখে তাঁকে কঠোরভাবে তিরস্কার করেন, যাতে তাঁর মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা জাগে।
-
যুধিষ্ঠিরের স্বভাব: তিনি ছিলেন ধর্মনিষ্ঠ, সহিষ্ণু ও শান্তপ্রকৃতির রাজা, যিনি অন্যায় সহ্য করতেন ধর্মরক্ষার নামে।
-
দ্রৌপদীর বক্তব্য: তিনি ক্রোধভরে বলেন — “ধর্ম, ধর্ম বলে তুমি সব সহ্য করছ, অথচ অন্যায় হচ্ছে তোমার চোখের সামনে।”
-
বাক্যের প্রকৃতি: এই উক্তিগুলো তিরস্কারমূলক ও ক্রোধোদ্দীপক, যা যুধিষ্ঠিরের নীরবতা ভাঙাতে চেয়েছিল।
-
ধারার ধরন: এসব বাক্য ব্যঙ্গাত্মক বা বিরহজনিত নয়, বরং ভর্ৎসনা ও প্ররোচনামূলক, তাই এটি ভৎসনামূলক ধারা।

0
Updated: 1 day ago
নিম্নের কোনটি অশ্বঘোষের লেখা?
Created: 1 day ago
A
অভিষেক নাটক
B
মালবিকাগ্নিমিত্রম্
C
বুদ্ধচরিতম্
D
কুমারসম্ভবম্
অশ্বঘোষ প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বৌদ্ধ কবি ও দার্শনিক, যিনি খ্রিষ্টীয় প্রথম শতকে কণিষ্ক সম্রাটের রাজসভায় প্রধান সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর সর্বাধিক প্রসিদ্ধ সৃষ্টি হলো “বুদ্ধচরিতম্”, যা গৌতম বুদ্ধের জীবনকথাকে কাব্যরূপে উপস্থাপন করেছে।
১. রচনাকার পরিচয়: অশ্বঘোষ ছিলেন সংস্কৃত ভাষার প্রথমদিকের বৌদ্ধ কবিদের মধ্যে অন্যতম, যিনি ধর্মীয় ভাব ও সাহিত্যিক শৈলীর এক চমৎকার সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন।
২. গ্রন্থ পরিচয়: “বুদ্ধচরিতম্” একটি মহাকাব্য, যেখানে রাজকুমার সিদ্ধার্থের জাগতিক জীবন থেকে সন্ন্যাস গ্রহণ, বোধিলাভ এবং বুদ্ধত্বপ্রাপ্তির কাহিনি কাব্যরূপে বর্ণিত হয়েছে।
৩. ভাষা ও শৈলী: এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত, এবং এর ছন্দ, উপমা ও কাব্যিক বর্ণনার গভীরতা থেকে বোঝা যায়—অশ্বঘোষ ছিলেন কালিদাসের পূর্বসূরি ও প্রভাবশালী কবি।
৪. অন্য রচনাগুলির তুলনা:
-
অভিষেক নাটক — ভাসের রচনা।
-
মালবিকাগ্নিমিত্রম্ — কালিদাসের রচনা।
-
কুমারসম্ভবম্ — কালিদাসেরই আরেক কাব্য।
৫. মূল উপসংহার: প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে একমাত্র “বুদ্ধচরিতম্” অশ্বঘোষের রচনা, যা বৌদ্ধ দর্শন ও সাহিত্য উভয় ক্ষেত্রেই এক অমূল্য সম্পদ।

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোন দুটি কালিদাসের রচিত?
Created: 1 day ago
A
মালবিকাগ্নিমিত্র ও পঞ্চতন্ত্র
B
সৌন্দরনন্দ ও বজ্রসূচী
C
কর্ণভার ও বালচরিত
D
অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ ও মেঘদূতম্
কালিদাস ছিলেন প্রাচীন ভারতের এক অমর প্রতিভা, যিনি সংস্কৃত ভাষায় কাব্য ও নাটকের মাধ্যমে বিশ্বসাহিত্যে অমরত্ব লাভ করেছেন। তাঁর রচনাগুলো প্রাচীন ভারতীয় জীবন, প্রকৃতি, প্রেম ও আধ্যাত্মিক ভাবনা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত।
১. অভিজ্ঞানশকুন্তলম্ – এটি একটি বিখ্যাত নাটক, যেখানে রাজা দুষ্যন্ত ও শকুন্তলার প্রেমকাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। এতে মানব-প্রেম, বেদনা ও পুনর্মিলনের অপূর্ব সমন্বয় দেখা যায়।
২. মেঘদূত – এটি একটি খণ্ডকাব্য, যেখানে নির্বাসিত এক যক্ষ তার প্রিয়ার কাছে বার্তা পাঠানোর জন্য মেঘকে দূত হিসেবে কল্পনা করে। প্রকৃতি ও প্রেমের অনুপম বর্ণনা এই কাব্যের মূল সৌন্দর্য।
৩. রঘুবংশম্ – একটি মহাকাব্য, যেখানে রঘুবংশের রাজাদের বংশধারা ও তাঁদের বীরত্বের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
৪. কুমারসম্ভবম্ – আরেকটি মহাকাব্য, যা পার্বতী ও শিবের বিবাহ এবং তাঁদের পুত্র কার্তিকেয়ের জন্মকথা নিয়ে রচিত।
৫. তাঁর রচনায় প্রকৃতি, প্রেম, ধর্ম ও নন্দনতত্ত্বের সুষমা প্রকাশ পেয়েছে, যা তাঁকে ভারতীয় সাহিত্যজগতের শ্রেষ্ঠ কবিদের অন্যতম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

0
Updated: 1 day ago